পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনা মহামারীতে ক্ষমতাসীনরাই ‘সুখে’ আছে মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগের পাত্তা থাকবে না। মঙ্গলবার দুপুরে এক অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করে তিনি বলেন, তারা চলে যাচ্ছে দেশের বাইরে ভালো থাকার জন্য। শুনেছি তাদের অনেকেরই হচ্ছে বেগম পল্লীতে বাড়ি আছে কানাডায়, কারো নাকী সেকেন্ড হোম আছে মালয়েশিয়ায়। এর মধ্যে দিয়ে তারা অত্যন্ত সুখে আছেন। তারা অনেক টাকা করেছেন, অনেকে টাকা দেশের বাইরে নিয়ে চলে গেছে। সেগু্লো তো সুখে-শান্তিতে থাকার জন্য তারা ব্যবস্থা করেছে।
মঙ্গলবার সকালে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা-জাসাস এর উদ্যোগে সংগঠনের শিল্পীদের ঈদ শুভেচ্ছা প্রদান উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানে হয়। পরে রিজভী শিল্পী-কলাকৌশলীদের ঈদ শুভেচ্ছা প্রদান করেন। যুক্তরাষ্ট্র থেকে মোবাইল টেলিফোনে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হেলাল খান অনুষ্ঠানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন। জাসাসের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন রোকনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে ইথুন বাবু, রফিকুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম রিপন, মীর সানাউল হক, হাসান চৌধুরী, আরিফুর রহমান মোল্লা, আবদুল হান্নান মাসুম, রফিকুল ইসলাম স্বপন, চৌধুরী আজহার আলী শিবাসানু, মিজানুর রহমান প্রমূখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির অবস্থা তুলে ধরে রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিএনপি হলে তো কষ্টের সীমা পরিসীমা নেই। তার চাকুরি থাকবে না, তার ব্যবস্থা থাকবে না, তার জীবন-যাপন থাকবে না তার কিছুই থাকবে না। সে বাড়িতে থাকতে পারবে না, এলাকায় থাকতে পারবে না, সে তার বাড়িতে থাকতে পারবে না, তার পরিবারের সাথে থাকতে পারবে না, ঈদের মধ্যেও বাড়িতে যেতে পারবে না। তাকে অসংখ্য মামলা দিয়ে এলাকা ছাড়া, গ্রাম ছাড়া করা হচ্ছে। আজকে শফিউল বারী বাবু মারা গেলেন। কত সংগ্রাম, চরাই-উতরাই, স্বৈরাচারের কত উতপীড়ন সহ্য করেছে সে। সেই নেতৃত্বেকে আমরা বাঁচাতে পারিনি। এই যে মৃত্যু, এই যে লাশ, এই যে দাফন এর মধ্য দিয়ে আমাদের জীবন কাটছে।
তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হলেই আওয়ামী লীগের পাত্তা থাকবে না। সুষ্ঠু নির্বাচনকে তারা জাদুঘরে পাঠিয়ে দিয়ে্ছে। আওয়ামী মার্কা নির্বাচন, হাসিনা মার্কা নির্বাচন সেই নির্বাচনে ভোটার দরকার পড়েনি, সেই নির্বাচনকে তারা প্রতিষ্ঠিত করেছে। সুতরাং এখানে নাগরিক স্বাধীনতা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকবে কেনো? মত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকলে তো কথা বলতে হবে। এই যে অন্যায়, অনাচার, এই যে জিকেজি, রিজেন্ট হাসপাতাল, এই যে করোনার জাল সার্টিফিকেট এগুলোর বিরুদ্ধে মানুষ সোচ্চার, মানুষ রাস্তায় নামে। সেই কারণে গণতান্ত্রিক অধিকার যে অধিকারের জন্য ছাত্র-জনতা এতো রক্ত দিয়েছে তারা ক্ষমতায় এসে প্রথমেই টার্গেট করে গণতন্ত্র। ’৭২ সালেও তারা গণতন্ত্রকে টার্গেট করেছিলো। আজকেও ক্ষমতাকে কবজা করে একদলীয় শাসনে দেশ চালাচ্ছে তারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।