পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ওষুধের পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ মেডিক্যাল প্রটেক্টিভ গিয়ার বিদেশে রপ্তানি করছে বাংলাদেশের বৃহত্তম গ্রুপ অব কোম্পানিজ বেক্সিমকো। গত মে মাসে আমেরিকার ইমারজেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সিকে প্রায় ৬ দশমিক ৫ মিলিয়ন মেডিক্যাল গাউন সরবরাহ করে প্রতিষ্ঠানটি।
তাছাড়া দেশের চাহিদা মেটাতে মাসে প্রায় ৫০ মিলিয়ন পিস পিপিই উৎপাদন করছে বেক্সিমকো টেক্সটাইল এন্ড অ্যাপারেল ইউনিট। এভাবেই করোনাভাইরাস চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নিজেদের দক্ষতার দারুণ স্বাক্ষর রেখে চলেছে বেক্সিমকো গ্রুপ। করোনার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বেক্সিমকোর বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরে জাপানের বহুল প্রচারিত ও বিশ্বের অন্যতম অর্থনীতি বিষয়ক দৈনিক পত্রিকা নিক্কেই এশিয়ান রিভিউ’ স¤প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের প্রথম ফার্মাসিটিক্যাল কোম্পানি হিসেবে কোভিড-১৯ চিকিৎসায় ব্যবহৃত রেমডিসিভির ওষুধের প্রথম ক্লোন তৈরি করে বেক্সিমকো ফার্মাসিটিক্যালস। এছাড়াও কোভিড-১৯ চিকিৎসায় কার্যকরী আভিগান, হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন, আইভারমেক্সিনের জেনেরিক কপি বাজারে ছেড়েছে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় এই ফার্মাসিটিক্যাল কোম্পানিটি। এ পর্যন্ত বেক্সিমকো ফার্মা নাইজেরিয়া, আজারবাইজান, ফিলিপাইন, ভেনিজুয়েলা ও পাকিস্তানে প্রায় ২৫ হাজার রেমডিসিভিরের জেনেরিক কপি বেমিসিভির বিক্রয় করে।
এই প্রসঙ্গে কোম্পানির চীফ অপারেটিং অফিসার রাব্বুর রেজা জানান, আমরা প্রায় ৩০টি দেশের সাথে বেমিসিভির রপ্তানির চেষ্টায় আছি। বর্তমানে প্রতিমাসে ৮০ হাজার ভাইল বেমিসিভির উৎপাদনে সক্ষম যা আমরা আগস্ট মাস নাগাদ দ্বিগুণ করতে চাই।
বেক্সিমকো গ্রুপ গত মার্চ মাসে পিপিই ইউনিটে প্রায় ৩০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করে। বর্তমানে এই ইউনিট মাসে ৫০ মিলিয়ন মাস্ক, গাউনসহ বিভিন্ন ধরনের প্রটেক্টিভ গিয়ার উৎপাদন করছে। বেক্সিমকো গ্রুপের চীফ এক্সিকিউটিভ ও গ্রুপ ডিরেক্টর সৈয়দ নাভেদ হোসেন বলেন, আমরা আমাদের বিশ্বমানের উৎপাদন, প্রযুক্তি ও ডিজাইনের দক্ষতাকে পিপিই তৈরিতে কাজে লাগিয়েছি। আমরা বাংলাদেশকে একটি পিপিই হাব হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। তার মতে, এই খাতে রপ্তানি থেকে বছর শেষে কোম্পানি প্রায় ২৫০ মিলিয়ন ডলার আয় করবে। সামনে বছর দেশে ১২০ মিলিয়ন ও রপ্তানি আয় দ্বিগুণ করার লক্ষ্য রয়েছে কোম্পানির।
ইতিমধ্যেই আমেরিকার ফেডারেল ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সির (ফেমা) সাথে ওয়াশেবল লং ¯িøভ গাউন সরবরাহের চুক্তি হয়েছে বেক্সিমকোর। আমেরিকার কোম্পানি হেনসব্র্যান্ডসের মাধ্যমে এই চুক্তিটি সম্পন্ন হয়, যারা এপ্রিল মাসে প্রায় ২৫০ মিলিয়ন ডলারের এই ধরনের ২০ মিলিয়ন পণ্য তৈরির অর্ডার পেয়েছে।
বেক্সিমকো ফার্মাসিটিক্যালসের ম্যানেজিং ডিরেক্টর নাজমুল হাসান বলেন, বেক্সিমকো প্রতিযোগিতামূলক গবেষণা, উন্নয়ন ও উৎপাদন দক্ষতার মাধ্যমে সম্ভাব্য সকল উপায়ে এই অভূতপূর্ব মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াই করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
১৯৭০ সালে আহমেদ সোহেল ফসিউর রহমান ও প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান এমপি দুই সহোদর মিলে কোম্পানিটি প্রতিষ্ঠা করেন। ফার্মাসিটিক্যালস ও টেক্সটাইলের ব্যবসা ছাড়াও বাংলাদেশে বেক্সিমকো গ্রুপের এনার্জি, ব্যাংকিং, মিডিয়া ও রিয়াল এস্টেটের ব্যবসা রয়েছে। কোম্পানিটির বার্ষিক আয় প্রায় ১ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার এবং কর্মী সংখ্যা ৬৫ হাজার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।