Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

উপসর্গে মৃত ১১

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৬ জুলাই, ২০২০, ১২:০০ এএম

করোনা উপসর্গ সর্দি, জ্বর, কাশি, গলাব্যথা ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে সারা দেশে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে এদের কারো শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ছিল কিনা তা নিশ্চিত নয় বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
যশোর ব্যুরো জানায়, গতকাল যশোরে নতুন আরো ১৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এই নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ১ হাজার ৭৯৬। যশোর সিভিল সার্জন দপ্তর জানায়, এ পর্যন্ত যশোর জেলায় করোনা মোট আক্রান্ত ১ হাজার ৫৪৯ জনের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৭৯৬ জন। মৃত্যু ২২জন। উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু ৩১জন।যবিপ্রবি স‚ত্র জানায়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) ল্যাবে গতকাল চার জেলায় আরো ৭৫ জনের নমুনা টেস্টে করোনা পজেটিভ রিপোর্ট পাওয়া গেছে। এর মধ্যে যশোরের ৭৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৪ জন, মাগুরার ৪০ জনের মধ্যে ১২জন, সাতক্ষীরার ১২৩ জনের মধ্যে ২৬ জন এবং বাগেরহাটের ৪৪ জনের মধ্যে ১১ জনের করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে।
রাজশাহী ব্যুরো জানায়, রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তারের পরিচালক ডা. গোপেন্দ্র নাথ আচার্য্য গতকাল দুপুরে এক প্রতিবেদনে জানান, রাজশাহী বিভাগের আট জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ২৩৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহীতে ৩ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১ জন, বগুড়ায় ৪ জন করোনা আক্রান্ত রোগী মারা গেছেন। একই সময় সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন ১৪৩ জন। গতকাল গতকাল দুপুর পর্যন্ত রাজশাহী বিভাগে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ৩৪২ জনে। এ বিভাগে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ১৫৫ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৫ হাজার ৬৩৭ জন। ডা. গোপেন্দ্র নাথ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন শনাক্তের মধ্যে রাজশাহীর ৯১ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ১৪ জন, নওগাঁর ৬৮ জন, নাটোরের ৩ জন, জয়পুরহাট ২ জন, বগুড়ায় ২৬ জন, সিরাজগঞ্জে ৩০ জন ও পাবনায় ৪ জন। তিনি জানান, রাজশাহী বিভাগে আক্রান্তদের মধ্যে সর্বোচ্চ বগুড়ায় ৪ হাজার ৪৪৬ জন। এছাড়াও মহানগরীতে ২ হাজার ৪৯ জনসহ রাজশাহী জেলায় ২ হাজার ৬০৩ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৩৩২ জন, নওগাঁয় ৯১৯ জন, নাটোরে ৩৯১ জন, জয়পুরহাটে ৬৬১ জন, সিরাজগঞ্জে ১ হাজার ২৪৪ জন ও পাবনায় ৭৪৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তিনি বলেন, সরকারি হিসেবে এ পর্যন্ত বিভাগের আট জেলার মধ্যে ছয় জেলায় মৃতের সংখ্যা ১৫৫ জন। এর মধ্যে রাজশাহীতে ২২ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৩ জন, নওগাঁয় ১৩ জন, নাটোরে একজন, জয়পুরহাটে দুইজন, বগুড়ায় ৯৫ জন, সিরাজগঞ্জে ১০ জন ও পাবনায় নয়জনের মৃত্যু হয়েছে করোনাভাইরাসে। এ পর্যন্ত রাজশাহী বিভাগে সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন ৫ হাজার ৬৩৭ জন করোনা আক্রান্ত রোগি। এর মধ্যে রাজশাহীর ৯৬৯, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১৫৩ জন, নওগাঁয় ৬৪৫ জন, নাটোরে ১৫২ জন, জয়পুরহাট ১৯৭ জন, বগুড়ায় ২ হাজার ৮৪৫ জন, সিরাজগঞ্জ ৩৫৩ জন ও পাবনায় ৩২৩ জন। এদিকে, রাজশাহীতে উপসর্গ নিয়ে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতরা হলেন, নওগাঁর পোরশা উপজেলার আবদুল আজিজ (৪৫) ও রাজশাহী মহানগরীর মহিষবাথান এলাকার বাসিন্দা দিলরোজ আরা (৬০) ও রাজশাহী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রাশেদুল ইসলাম (২৪)। দিলরোজ আরা রাজশাহী টিচার্স ট্রেনিং কলেজের অবসরপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল ছিলেন।
বরিশাল ব্যুরো জানায়, বরিশাল ও বরগুনায় সংক্রমণ বৃদ্ধির ফলে একদিনের ব্যবধানেই দক্ষিণাঞ্চলে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা আবার বাড়লেও নতুন কোন মৃত্যু ছিলনা। গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশালে আক্রান্তের সংখ্যা আগের দিনের দেড়গুণ ও বরগুনাতে প্রায় তিন গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে পটুয়াখালীতে সংখ্যাটা প্রায় এক-তৃতীয়াংশ এবং ভোলা, পিরোজপুর ও ঝালকাঠীতে সামান্য হ্রাস পেয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণাঞ্চলের ছয় জেলায় নতুন করে ৮৬ জন আক্রান্তের ফলে সর্বমোট সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৩৬৮। এপর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১০৫ জনের। এরমধ্যে চলতি মাসের ২৫ দিনেই ২ হাজার ১৯৬ আক্রান্ত ও ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে স্বাস্থ্য বিভাগের অনুমিত হিসেবনুযায়ী পিরোজপুর ও ঝালকাঠি বাদে গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের অন্য ৪ জেলায় ৮৮ জনসহ মোট ২ হাজার ৯৭৬ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন বলে জানা গেছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণাঞ্চলে করোনার হটস্পট বরিশালে আক্রান্তের সংখ্যা আগের দিনের ২৫ থেকে ৩৮ জনে উন্নীত হয়েছে। ফলে এ জেলায় মোট আক্রন্তের সংখ্যা ২ হাজার ৩০৫-এ উন্নীত হলেও মৃতের সংখ্যা ৪০’ই রয়েছে। আগেরদিন জেলায় একজন কোভিড-১৯ রোগীর মৃত্যু হলেও গতকাল কেউ মারা যায়নি। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে মহানগরীতেই সংখ্যাটা অন্তত ২৮। তবে স্বাস্থ্য বিভাগের অনুমিত হিসেবনুযায়ী এসময়ে নতুন ৪৪ জন সহ জেলায় মোট ১ হাজার ২৯২ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
বরগুনাতেও আক্রান্তের সংখ্যা আগের দিনের ৮ থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় ২২-এ উন্নীত হয়েছে। তবে নতুন কোন মৃত্যু না হলেও এপর্যন্ত জেলাটিতে মোট আক্রান্তর সংখ্যা ৫৭৭। মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। আর গতকাল দুপুরের প‚র্ববর্তি ২৪ ঘণ্টায় স্বাস্থ্য বিভাগের অনুমিত হিসেবনুযায়ী আরো ১২ জন সহ জেলাাটিতে মোট সুস্থ হয়েছেন ৩০২ জন। অপরদিকে দ্বীপজেলা ভোলা’তে আক্রান্তের সংখ্যা আগের দিনের ৪ থেকে গতকাল পাঁচজনে উন্নীত হয়েছে। জেলাটিতে এ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ৪৮৬, আর মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। ৭ জুলাইয়ের পরে এ জেলায় কোন কোভিড-১৯ রোগীর মৃত্যু হয়নি। গতকাল আরো ৪ জন সহ মোট ৩৩৬ জন সুস্থ হয়ে উঠছেন বলে স্বাস্থ্য বিভাগের অনুমিত হিসেবে বলা হয়েছে।
পটুয়াখালীতে আক্রান্তের সংখ্যা আগের দিনের ২৪ থেকে গতকাল ৭ জনে হ্রাস পেয়েছে। তবে জেলাটিতে এ পর্যন্ত ৯৬০ আক্রান্তের মধ্যে মারা গেছেন ২৭ জন। আর স্বাস্থ্য বিভাগের হিসব অনুযায়ী গতকাল আরো ২৮ জনসহ জেলায় এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যা ৫৩০। ঝালকাঠিতেও আক্রান্তের সংখ্যা আগের দিনের ৯ থেকে ৮-এ হ্রাস পেয়েছে। তবে জেলাটিতে সর্বমোট ৪২৮ আক্রান্তের মধ্যে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এ জেলায় নতুন কোন সুস্থতার খবর না থাকলেও এপর্যন্ত মোট ২২৫ জনের সুস্থ হয়ে ওঠার কথা বলা হয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে।
পিরোজপুরে আক্রান্তের সংখ্যা গত ২৪ ঘণ্টায় আগের দিনের ৯ থেকে ৮-এ হ্রাস পেলেও এসময়ে নতুন কোন সুস্থতার খবর নেই। জেলাটিতে এ পর্যন্ত ৯ জনের মৃত্যু ও ৬১৪ জন আক্রান্তের কথা জানা গেছে। আর মোট সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২৯০ জন।
এদিকে বরিশাল শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ৬ জনকে ভর্তি করা হলেও সুস্থ হয়ে ছাড়া পেয়েছেন ৫ জন। তবে করোনা ওয়ার্ডে নতুন কোন রোগী ভর্তি না হলেও এসময়ে ৮ জনকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। ফলে হাসপাতালটির করেনা ও আইসোলেশন ওয়ার্ডে এ পর্যন্ত ভর্তিকৃত ১ হাজার ১১০ জনের মধ্যে ৮৬২জন ছাড়পত্র পেলেও মারা গেছের ১৫৪ জন। যার মধ্যে করোনা ওয়ার্ডেই ৬০ জনের মৃত্যু ঘটেছে। বর্তমানে হাসপাতালটির এ দুটি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ৯৬ জনের মধ্যে করোনা ওয়ার্ডেই রয়েছেন ৪৩জন ।
বগুড়া ব্যুরো জানায়, বগুড়া জেলায় শুক্রবার পর্যন্ত ২৫ হাজার ৭৫৭ জনের করোনা সংক্রান্ত নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে । এর মধ্যে পরীক্ষা শেষে ফলাফল পাওয়া গেছে ২৩ হাজার ৫৭২ জনের। অপেক্ষমান ২হাজার ১৮৫টি নমুনার ফলাফলকে ব্যাকলক ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল এক ভার্চুয়াল ব্রিফিংএ বগুড়া জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষে এ তথ্য জানান ডা. ফারজানুল ইসলাম । তিনি জানান, ৪ মাস আগের এসব ফলের কোন দাবিদার নেই ।
এদিকে বগুড়ায় করোনা সংক্রমণ অনেকটা কমে এসেছে। গত এক মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম আক্রান্ত হয়েছে গত শুক্রবারের পরীক্ষার ফলাফলে। এদিন ২৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন । এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪হাজার ৪৪৬ জন । নতুন আরো ৮৫ জন সহ সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে গেছেন ২৮৪৫ জন। সরকারী হিসেবে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ৪ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। এ নিয়ে জেলায় মোট মৃত্যু সংখ্যা ৯৫ জন। গতকাল দুপুর পর্যন্ত হোম আইসোলেসনসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন করোনা রোগী রয়েছেন ১৫৯২ জন।
স্টাফ রিপোর্টার, চাঁদপুর থেকে জানান, চাঁদপুর আরো ৩৮জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। জেলায় এ নিয়ে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ১ হাজার ৬৩২জন। এর মধ্যে মৃতের সংখ্যা ৭১জনে। চাঁদপুর সদরে আক্রান্তের সংখ্যা ৬০০ ছাড়ালো নতুন আক্রান্তদের মধ্যে চাঁদপুর সদরে ১৭জন, হাইমচরে ৭জন, মতলব দক্ষিণে ৯জন,ফরিদগঞ্জে ২জন, হাজীগঞ্জ ১জন, কচুয়ায় ২জন । চাঁদপুর সিভিল সার্জন কার্যালয় স‚ত্র জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে ৭০টি রিপোর্ট আসে । এর মধ্যে ৩৮টি পজেটিভ। ৩২টি নেগেটিভ। জেলায় ১ হাজার ৬৩২জন করোনা আক্রান্ত রোগীর উপজেলাভিত্তিক পরিসংখ্যান হচ্ছে; চাঁদপুর সদরে ৬২৫জন, মতলব দক্ষিণে ১৮২জন, শাহরাস্তিতে ১৬১জন, হাজীগঞ্জে ১৫৪জন, ফরিদগঞ্জে ১৮৫জন, হাইমচরে ১২৪জন, কচুয়ায় ৭২জন এবং মতলব উত্তরে ১৩০জন। চাঁদপুর জেলায় করোনায় মৃত ৭১জনের মধ্যে চাঁদপুর সদরে ২০ জন, হাজীগঞ্জে ১৭জন, ফরিদগঞ্জে ৯জন, কচুয়ায় ৬ জন, মতলব উত্তরে ৯জন, শাহরাস্তিতে ৬জন, মতলব দক্ষিণে ৩জন এবং হাইমচরে ১জন।
গোপালগঞ্জ থেকে স্টাফ রিপোর্টার জানান, গোপালগঞ্জে করোনায় আক্রান্ত ১ হাজার ৪ শ’ ছাড়াল। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৩৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। গোপালগঞ্জে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪০৭ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৮ জন সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৯৬৬ জন। জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৪১৩ জন । গত ২৪ ঘণ্টায় গোপালগঞ্জ জেলা থেকে করোনা পরীক্ষা করার জন্য ৬৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করে ফরিদপুরে পাঠানো হয়েছিলো। এর মধ্যে নতুন করে ৩৩ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। গতকাল সকালে গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ এ তথ্য জানান।
তিনি আরো জানান, নতুন করে গত ২৪ ঘণ্টায় গোপালগঞ্জ সদরে ১৮ জন, টুঙ্গিপাড়ায় ৪ জন, কোটালীপাড়ায় ৬ জন, কাশিয়ানীতে ৪ জন ও মুকসুদপুরে ১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন । সিভিল সার্জন জানান, আক্রান্তদের বসতবাড়ি সহ আশপাশের বেশ কয়েকটি বাড়িঘর লকডাউন করা হয়েছে। সেই সাথে আক্রান্তদের পরিবারের সদস্যদের হোম কোয়ারেণ্টিনে থাকার পারমর্শ দেয়া হয়েছে।
তিনি আরো জানান, এ পর্যন্ত ৭০৬৪ টি নম‚না পরীক্ষা করা হয়েছে।এর মধ্যে গোপালগঞ্জ সদরে ৪৫৪ জন, টুঙ্গিপাড়ায় ২৩৩ জন, কোটালীপাড়া উপজেলায় ২২৪ জন, কাশিয়ানীতে ২৪৪ জন ও মুকসুদপুরে ২৪৮ জনের দেহে করোনা সনাক্ত হয়েছে।
কুষ্টিয়া থেকে স্টাফ রিপোর্টার জানান, কুষ্টিয়া জেলায় নতুন করে আরো ৩৪ জনের করোনা পজিটিভ বলে শনাক্ত করা হয়েছে। এ নিয়ে কুষ্টিয়ায় এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৩২৭ জন কোভিড রোগী শনাক্ত হল। গতকাল পর্যন্ত জেলায় মৃত্যু হয়েছে ২৯ জনের। কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন অফিস থেকে এ তথ্য জানান। গতকাল শুক্রবার কোভিড ১৯ আপডেটে জানানো হয়, কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে বৃহস্পতিবার কুষ্টিয়ার ১৯৪ টি নমুনা ছিল। এতে জেলায় নতুন করে ৩৪ জনকে করোনা পজিটিভ বলে শনাক্ত করা হয়েছে। এছাড়া সদরের ৩টি ও দৌলতপুরের ১টি মোট ৪টি নমুনার ফলাফল ফলোআপ পজিটিভ। নতুন আক্রান্তের মধ্যে দৌলতপুরে ১ জন, ভেড়ামারায় ২ জন, মিরপুরে ২ জন, সদরে ২৭ জন, খোকসায় ২ জন। নতুন আক্রান্তের মধ্যে পুরুষ ২৩ জন, মহিলা ১১ জন। কুষ্টিয়ায় এখন পর্যন্ত ১৩২৭ জন কোভিড রোগী সনাক্ত হল (বহিরাগত বাদে)। উপজেলা ভিত্তিক রোগী শনাক্তের মধ্যে দৌলতপুর ১৫৭, ভেড়ামারা ১০৪, মিরপুর ৭০, সদর ৭৬১, কুমারখালী ১৯১, খোকসা ৪৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ রোগী ৯৬০ জন, নারী ৩৬৭ জন। সুস্থ হয়েছেন মোট ৮৪৯ জন (দৌলতপুর ১০৩, ভেড়ামারা ৯০, মিরপুর ৪৭, সদর ৪৯৪, কুমারখালী ৯১, খোকসা ২৪)। বর্তমানে হোম আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন ৪০৯ জন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৪০ জন। মৃত ২৯ জন (দৌলতপুর-২, ভেড়ামারা-১, কুষ্টিয়া সদর-২১, কুমারখালী -৪, খোকসা-১)। খোকসার থানাপাড়ায় ৭৭ বছর বয়স্ক একজন পুরুষ রোগী মৃত্যুবরণ করেন। মৃত পুরুষ ২৫জন, মহিলা ৪ জন। কুষ্টিয়া জেলায় এ পর্যন্ত সন্দেহ জনক রোগীর নমুনা প্রেরণ ৯১০২টি, ল্যাব রিপোর্ট প্রাপ্তি ৮৬৫৪ টি, ১৩২৭ টি পজিটিভ এবং ৭৩২৭ টি নেগেটিভ।
মাদারীপুর জেলা সংবাদদাতা জানান, মাদারীপুরে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ২৭ জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে সদর উপজেলায় ১৪ জন, রাজৈর ৭, শিবচর ৪ এবং কালকিনি ২ জন। এছাড়া সুস্থ হয়েছেন ১০ জন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জেলায় করোনাভাইরাস আক্রান্ত শনাক্তের সংখ্যা ১১৩৯ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ৮২০ জন। স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সর্বশেষ জেলায় ফলাফল প্রাপ্ত হয়েছে ১৪৮টি এবং নমুনা প্রেরণ করা হয়েছে ৫৮টি। জেলায় মোট নমুনা প্রেরণ করা হয়েছে ৭৪৩৫টি এবং মোট ফলাফল প্রাপ্ত হয়েছে ৭৩৭৭টি। বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২৭৫ জন। এছাড়া আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যুবরণ করেছেন ১৭ জন। নতুন শনাক্তদের আইসোলেশনে নেওয়া প্রক্রিয়াধীন। গত ২১ ও ২২ জুলাই তারিখের সংগ্রহকৃত নমুনার ফলাফল প্রাপ্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন ১৭ জন। স্বাস্থ্য বিভাগ মতে, জেলায় মোট করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্তের সংখ্যা ১১৩৯ জন। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৪৬০ জন, শিবচর উপজেলায় ১৮২ জন, রাজৈর উপজেলায় ৩১৪ জন এবং কালকিনি উপজেলায় ১৮৩ জন।
মির্জাপুর ( টাঙ্গাইল ) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে গত ২৪ ঘণ্টায় পুলিশের এক এসআইসহ এ পর্যন্ত সর্বমোট ৫৪ পুলিশ সদস্য করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এরমধ্যে মহেড়া পুলিশ ট্রেনিং সেণ্টারের এক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও এক পরিদর্শকসহ ৫০ জন এবং মির্জাপুর থানা পুলিশের এক এসআইসহ ৪ পুলিশ সদস্য রয়েছেন।
নওগাঁ জেলা সংবাদদাতা জানান, নওগাঁ জেলায় করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার দিন দিন বাড়ছে। গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টায় প্রাপ্ত রিপোর্ট-এর ফলাফলে জানা গেছে জেলায় আরও ৬৮ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
ডেপুটি সিভিলসার্জন ডা. মঞ্জুর মোর্শেদ জানিয়েছেন আক্রান্তদের মধ্যে নওগাঁ সদর উপজেলায় ১৪ জন, রানীনগর উপজেলায় ১ জন, আত্রাই উপজেলায় ১ জন, মহাদেবপুর উপজেলায় ৮ জন, বদলগাছি উপজেলায় ৫ জন, পত্মীতলা উপজেলায় ১০ জন, ধামইরহাট উপজেলায় ৫ জন, নিয়ামতপুর উপজেলায় ৪ জন, সাপাহার উপজেলায় ১২ জন এবং পোরশা উপজেলায় ৮ জন। এ নিয়ে জেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের মোট সংখ্যা ৯১৯ জন-এ দাঁড়ালো।
সাতক্ষীরা জেলা সংবাদদাতা জানান, সাতক্ষীরায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরো ৩১ জন করোনা শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় মোট ৬৪৬ জন করোনায় আক্রান্ত হলেন। গতকাল বিকালে সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডাক্তার জয়ন্ত সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নতুন করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে র‌্যাব, ব্যাংকারসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ রয়েছেন। এদিকে, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা উপসর্গ নিয়ে মহিউদ্দীন গাজী (৬০) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তিনি তালা সদর ইউনিয়নের বারুইহাটী গ্রামের সরফুদ্দীন গাজীর ছেলে।
মৌলভীবাজার : মৌলভীবাজার সদর উপজেলায় কোভিডের উপসর্গ নিয়ে আরেকজনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে মারা গেছেন।
পটুয়াখালী : করোনার উপসর্গ নিয়ে গতকাল পটুয়াখালীতে দুজন মারা গেছেন। এর মধ্যে একজন পটুয়াখালী ২৫০ শয্যার সদর হাসপাতালে এবং অপরজন বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মারা যান। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র এসব তথ্য দিয়েছে।
মাগুরা : মাগুরায় করোনা উপসর্গ নিয়ে নিমাই চন্দ্র সাহা (৫৫) নামে এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। গত শুক্রবার রাত আড়াইটার দিকে তার মৃত্যু হয়। নিমাই চন্দ্র সাহা শহরের নতুন বাজার বটতলা এলাকার মৃত শিবু সাহার (শিবু মাষ্টার) পুত্র । তিনি নতুন বাজারে মুদি, পাট ও ভ‚মি মালের ব্যবসা করতেন।
কুমিল্লা : কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে করোনা উপসর্গ নিয়ে আরও তিনজন মারা গেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে তারা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। গতকাল কুমেক হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. মজিবুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার ইদ্রিস মিয়ার ছেলে আবুল বাশার (৭০), লাকসাম উপজেলার মৃত গোলাম কাদেরের ছেলে আতর আলী (৮৫) এবং মনোহরগঞ্জ উপজেলার নাথেরপেটুয়া এলাকার আজিজুল হকের ছেলে মীর হোসেন (৫৫)।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ