পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনা মহামারি সঙ্কটের মধ্যে আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এবার দক্ষিণাঞ্চলমুখী বড় ধরনের জনস্রোতের সম্ভবনা নেই। তবুও বেসরকারি পরিবহন ব্যবসায়ীরা সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। তবে সড়ক, নৌ ও আকাশপথে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর এখনো কোন তৎপড়তা নেই। করোনা সঙ্কটের শুরুতে সরকারি যাত্রী পরিবহন সার্ভিসগুলো বন্ধ হবার পরে নৌ ও আকাশ পথে তা এখনো চালুর কোন উদ্যোগ নেই। সড়ক পথে কিছু যাত্রী পরিবহন করছে বিআরটিসি।
রাষ্ট্রীয় সড়ক পরিবহন সংস্থা বিআরটিসি তার নতুন-পুরানো বাস দিয়ে দক্ষিণাঞ্চলে কোনমতে সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছে। তবে ঈদকে সামনে রেখে তারা কোন বিশেষ সার্ভিস পরিচালনা করছে না। এমনকি বরিশাল-মাওয়া পর্যন্ত যে নিয়মিত বাস চলছে সেখানেও কোন বিশেষ সার্ভিস দেয়া হচ্ছে না। দক্ষিণাঞ্চল থেকে খুলনা, রাজশাহী ও রংপুর অঞ্চলেও আলাদা করে কোন সার্ভিস থাকছে না সংস্থাটির।
নৌ পরিবহন সেক্টরে ঢাকা থেকে চাঁদপুর হয়ে বরিশাল ও খুলনা বিভাগের ঐতিহ্যবাহী রকেট স্টিমার সার্ভিসের ৪টি প্যাডেল জাহাজের সবগুলোই বন্ধ। ৩টি স্ক্র-হুইল নৌযানের ১টি বিনা দরপত্রে দীর্ঘ মেয়াদী ইজারায় রয়েছে। অপর ২টি নৌযান দিয়ে সপ্তাহে মাত্র দু’দিন ঢাকা থেকে বরিশাল হয়ে বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ পর্যন্ত যাত্রী পরিবহন করছে সংস্থাটি। আসন্ন ঈদ উপলক্ষে সংস্থাটি বিশেষ সার্ভিস তো দূরের কথা নিয়মিত যাত্রীবাহী সার্ভিসটিও পরিচালনা করবে না বলে জানা গেছে। ২০১১ সালে নৌযান সঙ্কটের কথা বলে বরিশাল-চট্টগ্রাম নৌপথে যাত্রী ও পণ্যবাহী স্টিমার সার্ভিস বন্ধের পরে আর তা চালু হয়নি। অথচ এ রুটের জন্য ১টি নতুন ও দুটি পুরানো নৌযান রয়েছে বিআইডবিøউটিসির।
করোনা সঙ্কটে অন্য বছরের তুলনায় আসন্ন ঈদে যাত্রী চলাচল অন্তত ৭০ ভাগ কম হবে ধারণা করলেও শুধু ঢাকা-বরিশাল নৌপথেই ৩০টি বেসরকারি নৌযান পরিপূর্ণ সক্ষমতা নিয়ে প্রস্তুত করা হয়েছে। বিগত বছরগুলোতে ঈদের আগে ও পরে রাজধানী ঢাকা ছাড়াও চাঁদপুর হয়ে চট্টগ্রাম অঞ্চলের অন্তত দশ লাখ মানুষ দক্ষিণাঞ্চলে যাতায়াত করত। করোনা সঙ্কটে এবার তা দু’লাখ অতিক্রম করবে কিনা তা নিয়ে সন্দিহান বেসরকারি নৌযান মালিক-কর্মচারীরা।
রাষ্ট্রীয় আকাশ পরিবহন সংস্থাটিও ২৫ মার্চ বরিশালে ফ্লাইট বন্ধ করার পরে তা আর চালু করার কোন উদ্যোগ নেয়নি। অথচ গত ১২ জুলাই থেকে দুটি বেসরকারি এয়ারলাইন্স বরিশালে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করেছে। শুরুতে ২টি ফ্লাইট যাত্রী পরিবহন করলেও এখন প্রতিদিন ৪টি ফ্লাইটে যাত্রী পরিবহন করছে বেসরকারি দুটি আকাশ পরিবহন সংস্থা। কিন্তু বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স দীর্ঘদিন পরে আজ থেকে অন্য অভ্যন্তরীণ রুটে যাত্রী পরিবহনের কথা জানালেও বরিশালে চলাচলের ব্যাপারে কিছু জানায়নি। এ ব্যাপারে বিমানের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের সাথে আলাপ করা হলেও তারা কিছু বলতে পারে নি। তবে সংস্থাটির দুটি ‘ড্যাস-৮ কিউ-৪৪০’ উড়োজাহাজের একটি কারিগরি ত্রুটির কারণে বন্ধ বলে জানা গেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।