Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

চট্টগ্রামে ভেজাল মৎস্য খাদ্য উৎপাদন কারখানা সিগালা ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৫ জুলাই, ২০২০, ৯:৫৩ পিএম

নগরীতে একটি ভেজাল মৎস্য খাদ্য কারখানা সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। জরিমানা করা হয়েছে ৫০ হাজার টাকা।

নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ও বাজারে সয়লাব হওয়া ভেজাল মৎস্য খাদ্য উৎপাদন ও চিংড়ীতে জেলী পুশিং প্রতিরোধে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ উমর ফারুকের নেতৃত্বে শনিবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ আদালতের এ অভিযান পরিচালিত হয়।

নগরীর নতুন ব্রীজ সংলগ্ন চাক্তাই, বাকলিয়া এলাকায় অবস্থিত সিএফসি ফিস ফুড নামের একটি মৎস্য কারখানায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানে বিভিন্ন অনিয়মের কারণে সিএফসি ফিস ফুড নামের কারখানা মালিককে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয় ভ্রাম্যমান আদালত। এসময় কারখানাটি সিলগালা করে দেয়া হয়।
উমর ফারুক বলেন, কারখানার নাম সিএফসি ফিস ফুড হলেও কারখানার মালিক মৎস্য খাদ্য উৎপাদন করে এমন কিছু কোম্পানির নাম সর্বস্ব বস্তা দিয়ে তার নিজস্ব খাদ্য বাজারজাত করে আসছে।দেখা যায় নাহার এগ্রো, নারিশ ফিশ, কোয়ালিটি ফিড, ক্যপ্সি বাংলা, মেগা ফিড, আর আর ফিড, মিট ক্যাটল ফিড, ফ্রেশ ফিড, কর্ণফুলী তেলাপিয়া ফুড, বিডি ফিসফুডসহ প্রায় ৩০ টির বেশি কোম্পানির বস্তায় তার পণ্য সরবরাহ করে। বস্তা গুলো জব্দ করা হয়েছে। কারখানার মালিক মো রেহান উদ্দিন ভাই ভাই এগ্রো ট্রেডিং নামের চালান কপিতে মালামাল সরবরাহ করতেন মর্মে বলেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক বলেন, সিএফসি ফুড মৎস্য খাদ্য উৎপাদন করতে মৎস্য অধিদপ্তর থেকে লাইসেন্স নেয়নি এবং মৎস্য খাদ্যের মান নিশ্চিত করতে ল্যাব টেস্টের মাধ্যমে লাইসেন্স নিতে হয়। অনুমোদন ছাড়া বিক্রি, লেভেলিং এবং মজুদ নিষিদ্ধ। এমনকি পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্রের প্রয়োজন হয়
যা ব্যতিরেকে কারখানা পরিচালিত হচ্ছিল ফলে মৎস্য ও পশু খাদ্য আইন ২০১০ ও বিধিমালা ২০১১ অনুযায়ী আইন পরিপন্থী।
তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন নামী বেনামী কোম্পানির নাম প্যাকেটে ব্যাবহার করে তার নিজস্ব কারখানার মৎস্য খাদ্য উৎপাদনে ও বাজারজাতকরনে জড়িত যা প্রতারণার শামিল।
একই সময়ে নগরীর বহদ্দারহাট বাজারে চিংড়িতে জেলি পুশ করার কারনে দুই মাছ ব্যাবসায়ীকে ৩০০০ টাকা অর্থদণ্ড করা প্রদান করে ভ্রাম্যমান আদালত। পাশাপাশি বিপুল পরিমান চিংড়ি মাছ ও আফ্রিকান মাগুর মাছ জব্দ করে ধ্বংস করা হয়।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেনের নির্দেশে ভবিষ্যতেও এ ধরনের অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান জেলা প্রশাসনের এই কর্মকর্তা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ