Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আসন্ন ঈদে দক্ষিণাঞ্চলে যাত্রী চলাচল ৭০ ভাগ কম হলেও বেসরকারী পরিবহন প্রতিষ্ঠানের প্রস্তুতি

সড়ক, নৌ ও আকাশপথে সরকারী সংস্থাগুলো নিশ্চুপ

বরিশাল ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৫ জুলাই, ২০২০, ৪:১৬ পিএম

করোনা মহামারি সংকটে আসন্ন ঈদ উল আজহা উপলক্ষে রাজধানী সহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এবার দক্ষিণাঞ্চলমুখি বড়ধরনের জনশ্রোতের সম্ভবনা না থাকলেও বেসরকারী পরিবহন ব্যবসায়ীগন সবধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। তবে সড়ক, নৌ ও আকাশপথে সরকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর এখনো কোন হেলদোল নেই। করোনা সংকট শুরুর প্রাক্কালে সরকারী যাত্রী পরিবহন সার্ভিসগুলো বন্ধ হবার পরে নৌ ও আকাশ পথে তা এখনো পূণর্বহালে কোন উদ্যোগ নেই। সড়ক পথে কিছু যাত্রী পরিবহন করছে বিআরটিসি। ফলে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ এখন সম্পূর্ণভাবেই বেসরকারী সেক্টরের মর্জির ওপর নির্ভরশীল।
রাষ্ট্রীয় সড়ক পরিবহন সংস্থা, বিআরটিসি তার নতুন-পুরনো বাস দিয়ে দক্ষিণাঞ্চলে কোনমতে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখলেও ঈদকে সামনে রেখে কোন বিশেষ সার্ভিস পরিচালন করছে না। এমনকি দক্ষিণাঞ্চলের সাথে ঢাকার সংক্ষিপ্ত সড়ক পথের মাওয়া পর্যন্ত যে নিয়মিত বাস সার্ভিস চলছে সেখানেও কোন বিশেষ সার্ভিস দেয়া হচ্ছে না। দক্ষিণাঞ্চল থেকে খুলনা, রাজশাহী ও রংপুর অঞ্চলেও অলাদা করে কোন সার্ভিস থাকছে না সংস্থাটির।
নৌ পরিবহসন সেক্টরে ঢাকা থেকে চাঁদপুর হয়ে বরিশাল ও খুলনা বিভাগের ঐতিহ্যবাহী রকেট স্টিমার সার্ভিসের কফিনে এখন শেষ পেরেক পোতাই বাকি বলে মনে করছেন যাত্রী সাধারন। এ সেক্টরের ৪টি প্যাডেল জাহাজের সবগুলেই বন্ধ। ৩টি স্ক্র-হুইল নৌযানের ১টি বিনা দরপত্রে দীর্ঘ মেয়দী ইজারায় রয়েছে। অপর ২টি নৌযান দিয়ে সপ্তাহে মাত্র দুদিন ঢাকা থেকে বরিশাল হয়ে বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ পর্যন্ত যাত্রী পরিবহন করছে সংস্থাটি। আসন্ন ঈদ উপলক্ষে সংস্থাটি বিশেষ সার্ভিস দুরের কথা নিয়মিত যাত্রীবাহী সার্ভিসটিও পরিচালন করছে না বলে জানা গেছে। সংস্থাটির কথিত যাত্রীসেবা ইউনিট ও এর যাত্রীবাহী নৌযানগুলোতে কয়েকশ কর্মকর্তা-কর্মচারী এখন সেবার পরিবর্তে বিনা কাজেই বেতন নিতে আগ্রহী বলে অভিযোগ যাত্রী সাধারনের। ২০১১ সালে কথিত নৌযান সংকটের কথা বলে বরিশালÑচট্টগ্রাম নৌপথে যাত্রী ও পণ্যবাহী স্টিমার সার্ভিস বন্ধের পরে আর তা চালু হয়নি। অথচ এরুটের জন্য ১টি নুতন ও দুটি পূণর্বশনকৃত নৌযান রয়েছে বিআইডব্লিউটিসি’র।
করোনা সংকটে অন্যন্য বছরের তুলনায় আসন্ন ঈদে যাত্রী চলাচল অন্তত ৭০ ভাগ কম হলেও শুধু ঢাকা-বরিশাল নৌপথেই ৩০টি বেসরকারী নৌযান পরিপূর্ণ সক্ষমতা নিয়ে প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানা গেছে। অন্যান্য বছরগুলোতে ঈদের আগে পরে রাজধানী ঢাকা ছাড়াও চাঁদপুর হয়ে চট্টগ্রাম অঞ্চলের অন্তত দশ লাখ মানুষ দক্ষিনাঞ্চলে যাতায়াত করত। করোনা সংকটে এবার তা দু লাখ অতিক্রম করবে কিনা তা নিয়ে সন্দিহান বেসরকারী নৌযান মালিক-কর্মচারীগন।
রাষ্ট্রীয় আকাশ পরিবহন সংস্থাটিও ২৫ মার্চ বরিশাল সেক্টরে ফ্লাইট বন্ধ করার পরে আর তা চালু করার কোন উদ্যোগ নেয়নি। অথচ গত ১২ জুলাই থেকে দুটি বেসরকারী এয়ারলাইন্স বরিশাল সেক্টরে ফ্লাইট পরিচালন শুরু করেছে। এমনকি শুরুতে ২টি ফ্লাইট নিয়ে যাত্রী পরিবহন শুরু করে এখন বরিশাল বিমান বন্দরে প্রতিদিন ৪টি ফ্লাইটে যাত্রী পরিবহন করছে বেসরকারী আকাশ পরিবহন সংস্থা দুটি। কিন্তু বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স দীর্ঘনিরবতার পরে রবিবার থেকে অন্য অভ্যন্তরীন সেক্টরে যাত্রী পরিবহন শুরু করার কথা জানালেও বরিশালের ব্যপারে নিশ্চুপ। এব্যাপরে বিমান-এর দায়িত্বশীল মহলে আলাপ করা হলেও তারা কোন কিছু বলতে পারেন নি। তবে সংস্থাটির দুটি ‘ড্যাস-৮ কিউ-৪৪০’ উড়জাহাজের একটি কারিগরি ত্রুটির কারনে বন্ধ বলে জানিয়েছেন দায়িত্বশীল মহল।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ