Inqilab Logo

বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ১৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ভূরুঙ্গামারীর সোনাহাট স্থলবন্দর সড়কের বেহাল দশা

চরম ভোগান্তিতে আমদানী রপ্তানীকারকরা

ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৫ জুলাই, ২০২০, ৪:০১ পিএম

ভূরুঙ্গামারীর সোনাহাট স্থলবন্দরগামী এ্যাপ্রোচ সড়কের বেহাল দশায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে বাংলাদেশ ও ভারতের পণ্য আমদানী রপ্তানীকারকরা। দেশের ১৮তম স্থলবন্দটির সড়ক সংস্কার কাজে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ধীরগতি ও অনিয়মের কারণে টানা বৃষ্টিতে খানা-খন্দে ভরে গেছে সোনাহাট ব্রীজ থেকে স্থল বন্দরগামী ৩.৪৩ কিলোমিটার এপ্রোচ সড়ক।
জানা গেছে, এডিপি’র অর্থায়নে ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে ৪৪ কোটি ৬২লক্ষ ৮হাজার ৮২৪ টাকা ব্যয়ে ৩ দশমিক ৪৩ কিঃ মিঃ দীর্ঘ সোনাহাট ব্রীজ থেকে স্থলবন্দর পর্যন্ত সড়কের কাজ শুরু করা হয় ৫ ডিসেম্বর ২০১৯ খ্রীঃ। সড়কটি বাস্তবায়ন করছে রোডস এন্ড হাইওয়ের কুড়িগ্রামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মোজাহার এন্টার প্রাইজ প্রাঃ লিঃ।
সরেজমিনে গিয়েও রাস্তার এই বেহাল দশা লক্ষ্য করা গেছে। বন্দর ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, সড়ক সংস্কারে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ধীর গতি ও চরম গাফিলাতির কারণেই স্থলবন্দরগামী সড়কটি চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। একটু বৃষ্টি হলেই পণ্যবাহী ট্রাক গর্তে ফেসে যাচ্ছে। এতে বিকল হয়ে যাচ্ছে ট্রাকের ইঞ্জিন। তারা আরো জানায়, স্থলবন্দরগামী এই সড়কে প্রতিদিন প্রায় ২০০ ভারতীয় গাড়ী বাংলাদেশে প্রবেশ করতো কিন্তু রাস্তার বেহাল অবস্থার কারণে বর্তমানে গাড়ী আসছে ২০ থেকে ৩০টি। ফলে একদিকে যেমন রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার অপরদিকে দিনদিন বন্দর ব্যবসায়ীদের লোকসানের পাল্লাও ভারী হচ্ছে ।
ভারতীয় ট্রাক ড্রাইভার আবুল হোসেন ও খলিল শেখ বলেন, পণ্য বোঝাই ট্রাক কাদা কিংবা খানা-খন্দে ফেঁসে গেলে গাড়ীর অনেক যন্ত্র-পাতি বিকল ও ভেঙ্গে যায় ,এগুলো মেরামত করতে দুই চার দিন সময় লেগে যায়। ফলে আমরা বাংলাদেশে ট্রাক নিয়ে আসার আগ্রহ হারিয়ে ফেলছি।
আমদানী ও রপ্তানীকারক ব্যাবসায়ী এরশাদুল হক ক্ষোভের সাথে জানান, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের অনিয়মের কারণে রাস্তার এই বেহাল দশা। সড়কের ডাইভারশনের কাজ শুরু করলেও খোয়ার পরিমান কম দিয়ে বেশির ভাগ রাবিশ দিয়ে কাজ করায় রাস্তার এই দূরবস্থা। এতে আমরা ক্ষাতিগ্রস্থ হচ্ছি।
আমদানী ও রপ্তানীকারক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ও কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণে সড়কের এই অবস্থা আমরা বারবার সংশ্লিষ্টদের অবগত করলেও তারা কোণ ব্যবস্থা নেননি। ব্যবসায়ীরা এল সি করলেও রাস্তার দূরবস্থার কারণে আনতে পারছে না মালামাল। ফলে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে ব্যবসায়ীরা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার ।
বন্দর ট্রাফিক ইন্সপেক্টর কিবরিয়া জলিল তুহিন এ প্রসঙ্গে বলেন, বর্তমানে আসামে সহিংস অবস্থা বিরাজ করার কারণে এ বন্দরটি বেশির ভাগ সময়ই বন্ধ থাকে। উপরোন্তু যোগাযোগ ব্যবস্থা খারাপ হয়ে পড়ায় প্রতিদিন গড়ে ৮ থেকে ১০টি গাড়ী বিকল হয়ে পড়ায় ভারত থেকে গাড়ী কম আসছে। এতে বন্দর ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে ।
রোডস এন্ড হাইওয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী আলী নুরায়ইন এর কাছে সোনাহাট স্থলবন্দরগামী সড়কটির ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমি অবগত হয়ে ঠিকাদারের সাথে কথা বলেছি, তারা শীঘ্রই বন্দরগামী সড়কটির কাজ শুরু করবে বলে জানিয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ