Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১, ০৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শ্রমিকদের বেতন দিতে টাকা পাচ্ছেন গার্মেন্টস মালিকরা

বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে বাংলাদেশ ব্যাংকের চিঠি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৫ জুলাই, ২০২০, ১২:০০ এএম

ঈদের আগে শ্রমিক-কর্মচারীদের জুলাইয়ের বেতন ভাতা পরিশোধের জন্য বিশেষ প্যাকেজ থেকে ঋণ পাবেন গার্মেন্টসহ রফতানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিকরা। তবে জুনে যেসব উদ্যোক্তা ঋণ পেয়েছিলেন, তারাই এই ঋণ পাবেন। নতুন করে কেউ এই ঋণ পাবেন না। এজন্য করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প ও সেবা খাতের প্রতিষ্ঠানের চলতি ম‚লধন বাবদ ঋণ দিতে ঘোষিত ৩০ হাজার কোটি টাকার তহবিলে ৩ হাজার কোটি টাকা বাড়ানো হয়েছে। ফলে তহবিল এখন ৩৩ হাজার কোটি টাকায় দাঁড়াচ্ছে।

চলতি মাসের (জুলাই) বেতন ভাতা পরিশোধে রফতানিমুখী শিল্পের জন্য গঠিত তহবিল থেকে ঋণ দিতে গত বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট বাণিজ্যিক ব্যাংককে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এর আগে গার্মেন্টস শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন ভাতা দেওয়ার জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার বিশেষ তহবিল থেকে সর্বোচ্চ ২ শতাংশ হারে সার্ভিস চার্জ দিয়ে ঋণ নিয়ে এপ্রিল, মে ও জুন মাসের বেতন দিয়েছে অনেক রফতানিমুখী কারখানার মালিক। কিন্তু করোনার প্রার্দুভাবে চলমান সংকটে পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় কর্মচারীদের আরও তিন মাসের বেতন ভাতা দেওয়ার জন্য বিশেষ অর্থ বরাদ্দ চেয়েছেন দেশের তৈরি পোশাক শিল্পের মালিকরা। তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আরও এক মাসের বেতন দেয়ার জন্য ঋণ দেওয়া হবে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, শেষবারের মতো চলতি মাসের মজুরি দিতে তহবিল থেকে ঋণ পাবেন রফতানিকারকরা। গত জুনে যেসব উদ্যোক্তা ঋণ পেয়েছিলেন, তার বাইরে কেউ নতুন কেউ পাবেন না। ওই ঋণের বিপরীতে প্রথম তিন মাসের সার্ভিস চার্জ ২ শতাংশ। চলতি মাসের ক্ষেত্রে অবশ্য সেটি হবে সাড়ে ৪ শতাংশ। এক্ষেত্রে সরকার সাড়ে ৪ শতাংশ ভর্তুকি দেবে। পোশাক শিল্প মালিকদের এই সুবিধা দেওয়ার জন্য করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প ও সেবা খাতের প্রতিষ্ঠানের চলতি ম‚লধন বাবদ ঋণ দিতে ঘোষিত ৩০ হাজার কোটি টাকার তহবিল বাড়িয়ে ৩৩ হাজার কোটি টাকা করা হয়েছে।

করোনার কারণে পোশাকের বিপুল সংখ্যক ক্রয়াদেশ স্থগিত ও বাতিল হলে সরকার রফতানিমুখী খাতের শ্রমিক-কর্মচারীদের মজুরি দেওয়ার জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার তহবিল ঘোষণা করে। সেই তহবিলের বড় অংশই নিয়েছেন পোশাক শিল্পের মালিকরা। চলতি জুলাইয়ের মজুরি দিতে রফতানিমুখী প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রয়োজন পড়বে ২ হাজার ৯০৩ কোটি টাকা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ঈদ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ