পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনা মোকাবিলায় বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কিমিটি করোনাভাইরাসের হটস্পট ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও চট্টগ্রামে কোরবানির পশুর হাট না বসানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন। তারপরও পশুর হাট বসানো হচ্ছে। আবার তারা ঈদের বাজারে স্বাস্থ্যবিধি মানার পরামর্শ দেন। কিন্তু রাজধানীর ঈদ বাজারে স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই নেই। ঢাকার ঈদ মার্কেটগুলোতে উপচে পড়ছে ক্রেতা।
করোনা সংক্রমণের আতঙ্ক থাকলেও ক্রমেই জমে উঠছে রাজধানীর ঈদের বাজার। দুই মাস বন্ধ থাকার পর সরকারি নির্দেশে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার শর্তে গত পহেলা জুন থেকে রাজধানীর বিভিন্ন ছোটবড় শপিংমল, মার্কেট, বিপণিবিতান খুলে দেয়া হয়েছে। তবে এ রোগে সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কায় প্রথমদিকে মার্কেটগুলোতে ক্রেতার সংখ্যা ছিল খুবই কম। কিন্তু গত দুইদিন ফুটপাথ থেকে শুরু করে বিভিন্ন মার্কেটগুলোতে ক্রেতাদের আগমন বেড়ে গেছে। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে নগরবাসীদের অনেকেই প্রয়োজনীয় পোশাকাদিসহ বিভিন্ন পণ্য কিনতে মার্কেটে ছুটে আসছেন। কিন্তু কোথাও স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। ক্রেতাদের আগমনে খুশি বিক্রেতারা। তারা বলেন, করোনার আগে ক্রেতারা কেনার চেয়ে ঘুরেফিরে দামাদামি করতেন বেশি। কিন্তু এখন যেসব ক্রেতা মার্কেটে আসছেন তারা কেনার জন্যই আসছেন। দামে পোষালে দ্রæত প্রয়োজনীয় পণ্য কিনে চলে যাচ্ছেন।
গতকাশ শুক্রবার রাজধানীর ধানমন্ডি, নিউ মার্কেট, শাহবাগ এলাকার বিভিন্ন ছোট-বড় শপিংমল ও ফুটপাথ এবং যাত্রাবাড়ী, মালিবাগ, শান্তিনগরের বাজারগুলো সরেজমিন পরিদর্শনকালে দেখা যায় মার্কেটে বিপুল সংখ্যক ক্রেতা। বেচাকেনাও চলছে রমরমা। অনেকেই পরিবার-পরিজন-শিশুদের সঙ্গে নিয়ে এসেছেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় ঘর থেকে বের হলেই মাস্ক পরার নির্দেশনা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এর আগে করোনার সংক্রমণ এড়াতে ঘরের বাইরে বের হলে মুখে মাস্ক পরিধান এবং নির্দিষ্ট শারীরিক দ‚রত্ব মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছে সরকার। তবে লক্ষণীয় বিষয় হলো মার্কেটগুলোতে আগত ক্রেতাদের বেশিরভাগেরই মুখে মাস্ক ছিল না। এমনকি গায়ে গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে কেনাকাটা করলেও দোকানিরা সতর্ক করাচ্ছে না।
জানতে চাইলে নিউ মার্কেটের রেডিমেড গার্মেন্টস ব্যবসায়ী মো. আবু তাহের বলেন, গত দু’দিন যাবত বেচাকেনা বেশ ভালো। অনেকেই রমজানের ঈদে কোনো কেনাকাটা করেনি। তাই এবারের ঈদে পোশাকাদি কিনতে আসছেন। মানুষের মধ্যে করোনা আতঙ্ক কমেছে দাবি করে তিনি বলেন, করোনার কারণে আমাদের ব্যবসায় লোকসান হয়ে গেছে। এ ক্ষতি পোষাতে কয়েকমাস লেগে যাবে।
শনিরআখড়া এলাকার গৃহবধূ সেফালি বলেন, করোনার কারণে ঈদুল ফিতরে কেনাকাটা করতে পারিনি। এবার সীমিতভাবে কেনাকাটা করতে এসেছি। কিন্তু কেউ স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। দোকানে গাদাগাদি করে কাপড় দেখতে হচ্ছে। ধানমন্ডি এলাকার বাসিন্দা গৃহবধূ মিসেস সুলতানা জামান দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে শাহবাগ আজিজ সুপার মার্কেটে এসেছেন। ওদের জন্য টি-শার্ট ও নিজের জন্য পোশাক কিনেছেন। তিনি বলেন, গত সাড়ে তিনমাস বলতে গেলে ঘরবন্দি। তাই ঈদকে সামনে রেখে টুকটাক কেনাকাটা করতে বের হয়েছি। যাত্রাবাড়ি মোড়ে ভিড় ঠেলে কেনাকাটা করে ফিরছিলেন হেমায়েত। তিনি বলেন, কেনাকাটার জন্য তিন চারটি মার্কেটে ঢুকেছি। কোথাও স্বাস্থ্য বিধি মানা হচ্ছে না। দু’চারটি দোকানে লোক দেখানো স্যানিটাইজার রাখা হলেও বাস্তবে সামাজিক দূরত্বের কোনো নির্দেশনাই মানা হচ্ছে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।