Inqilab Logo

বুধবার, ২৯ মে ২০২৪, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সিরাজদিখানে কমিউনিটি ক্লিনিকসহ পানিবন্দি হাজারো মানুষ

সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৪ জুলাই, ২০২০, ১:২৬ পিএম

টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে ধেয়ে আশা ঢলে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার মধ্যপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাড়ি ,কমিউনিটি ক্লিনিক,মহিলা মদরাসাসহ অনেক গ্রাম পানিতে প্লাবিত হয়েছে। ইউনিয়নের ৯ টি ওয়ার্ডের প্রায় সাড়ে ১২ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ইউনিয়নের মালপদিয়া, কাকালদী,পশ্চিম কাকালদী, বাহেরকুচি, পশ্চিম মধ্যপাড়া,উত্তর মধ্যপাড়া,মধ্যপাড়া,উত্তর মালপদিয়া,তেলিপাড়া,নাটেশ্বর,উত্তর ধামালিয়া, আদাবাড়ি,নয়াবাড়ি ,বকুলতলা, আল্লাহরদান আদর্শ মহিলা মাদরাসা,চেয়ারম্যান বাড়িসহ রাস্তার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় গ্রাম গুলো এখন পানিবন্দি হয়ে পরেছে। কোন যানবাহন চলছে না। আর এ কারনে বাজারেও যেতে পারছেনা স্থানিয়রা।
মালপদিয়া কমিউনিটি ক্লিনিকের প্রোভাইডার জান্নাতুল ফেরদৌসী বলেন, আমার এখানে অনেক রোগী আসে সেবা নিতে । এখানে যেহেতু প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয় এ কারনে শিশু, গর্ভবতী নারীহস অনেকে আসে। তবে পানি বাড়ার কারনে গর্ভবতী নারীদের নিয়ে আসতে পারছে না । পানির কারণে এখন তারা সেবাও পাচ্ছে না। তিনি আরো বলেন, আমি ইছাপুরা ইউনিয়ন থেকে এখানে আসি। এখানে যাতায়াত ব্যবস্থা তেমন ভালো না। এখন চারপাশে পানি হওয়ায় নৌকারও কোন ব্যবস্থা নেই । অনেক কষ্ট করে এসে রোগীদের সেবা দেই। আমার প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটাই দাবি আমার চাকরিটা জাতে রাজস্ব করে দেয়।
তেলীপাড়া গ্রামের হৃদয় শেখ বলেন, পানির কারণে এখন চলাফেরা করতে পারতেছি না । যেখানে পাঁচ মিনিট লাগে বাসায় যেতে সেখানে পায়ে হেটে আধা ঘন্টা লাগছে যেতে।
লৌহজং থানার গাসবুক গ্রামের হাবিবুর রহমান বলেন, রাস্তাঘাট সব পানিতে তলিয়ে গেছে । বাড়ি থেকে বের হতে পারছি না। আমাদের থানা লৌহজং হলেও আমরা এরাস্তা দিয়ে সিরাজদিখান ,তালতলা মধ্যপাড়া বাজারে যাতায়াত করে থাকি। এখন পানির কারনে সমস্যা হচ্ছে।
মধ্যপাড়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য দ্বীন ইসলাম বলেন, আমার ওয়ার্ডের পূর্ব কাকালদীতে মুক্তিযোদ্ধা চাঁনমিয়ার বাড়ি থেকে সরদার বাড়ি পর্য়ন্ত রাস্তায় পানিবন্দি হওয়ার কারণে প্রায় ৪ হাজার ৫ শত মানুষ যাতায়াতে ভোগান্তিতে পরতে হচ্ছে।
৪ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আলমগীর শেখ বলেন ,হঠাৎ বন্যার পানিতে রাস্তা ভেঙে আমার তিন লক্ষ টাকার মাছ চলে গেছে এবং আমার ইউনিয়নের প্রায় চার হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে আছে।
মালপদিয়া তিনাত্তলার দোকানদার আঃ কুদ্দুস বলেন, পানির কারনে হাটবাজারে যেতে পারছিনা। গরু নিও সমস্যা। এখন পানির কারনে দোকানে ক্রেতাও কম। প্রতিদিন এ রাস্তাটি হাজার লোক ব্যবহার করতো। তাছাড়া এখন সাপের উপদ্রব বেড়েছে।
মধ্যপাড়া ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি অফিসার শরিফুল ইসলাম বলেন, মধ্যপাড়ায় পানি প্রবেশর কারনে ইউনিয়নের দুই হেক্টর জমির রোপা আমন এক হেক্টর জমি সবজি নষ্ট হয়ে গেছে । বন্যার পানি এভাবে বৃদ্ধি পেলে আরও বেশি ক্ষতি হতে পারে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশফিকুন নাহার বলেন,কয়েকদিনের অতিবৃষ্টি বর্ষণের কারনে কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এটা ঠিক হয়ে যাবে।অ ামরা সার্বক্ষনিক মনিটরিং করছি।উপজেলার ১৪ ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের বলা আছে।এবং আমাদের কট্্েরাল রুম খোলা আছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বন্যা পরিস্থিতি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ