পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চালকের অদক্ষতা, অবহেলা ও নদীর নাব্যতা সঙ্কটে ঢাকা থেকে বরিশালমুখি দু’টি বেসরকারি যাত্রীবাহী নৌযানের সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন যাত্রী আহত হয়েছে। ভোলা ও বরিশালের মধ্যবর্তী ইলিশা পয়েন্ট এলাকার সরু চ্যানেলের ঐ সংঘর্ষে এমভি সুন্দরবন-১০ ও এমভি মানামী নামের নৌযান দু’টির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
গত বুধবার রাত ৯টার দিকে ঢাকা থেকে যাত্রী নিয়ে নৌযান দু’টি রাত সোয়া ২টার দিকে মেঘনার ইলিশা পয়েন্ট অতিক্রমকালে সংঘর্ষে ২টি নৌযানেরই ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার নৌপরিবহন অধিদফতরের চিফ নটিক্যাল সার্ভেয়ার ছাড়াও বিআইডবিøউটিএ’র দায়িত্বশীল কর্মকর্তাগণ পরিদর্শন করে দু’টি নৌযানেরই যাত্রা স্থগিত করেছেন।
একাধিক সূত্র জানায়, ঢাকা-বরিশাল নৌপথের মিয়ার চরের কাছে দিন পাঁচেক আগে একটি পণ্যবাহী নৌযান ডুবে যাওয়ায় চ্যানেলটি বন্ধ ঘোষণা করায় বিকল্প নৌপথে নৌযোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে। মিয়ারচর চ্যানলের পরিবর্তে বর্তমানে যাত্রীবাহী সব লঞ্চকে ভোলার ইলিশা লাল বয়া পয়েন্ট ব্যবহার করতে হচ্ছে। সুন্দরবন-১০ ইলিশা লাল বয়া পয়েন্ট অতিক্রম করে উলানিয়া প্রবেশকালে এমভি মানামীর মাস্টারকে সতর্ক করে। সুন্দরবন মাস্টারের ভাষ্যমতে, তার সতর্কতা উপেক্ষা করে মানামী ওভারটেক করার পর ডুবোচরে আটকে পড়ে। সে সময় তিনি মানামীর ঠিক পেছন থেকে ইলিশা লাল বয়া পয়েন্ট থেকে উলানিয়ার দিকে মোড় ঘুরছিলেন।
মানামীর মাস্টারও একই সময় পেছনে চালিয়ে চরামুক্ত হয়ে সুন্দরবন-১০-এর পেছনের বাম পাশে আছড়ে পড়ে। করোনার কারণে যাত্রী কম থাকায় কোন প্রাণহানি হয়নি বলেও জানান তিনি। তবে এ সংঘর্ষে সুন্দরবন-১০-এরই ক্ষতির পরিমাণ ১০ লাখ টাকা হবে বলে দাবি করেন নৌযান কর্তৃপক্ষ।
অপরদিকে মানামী নৌযানের মাস্টার সুন্দরবন-১০’র অভিযোগ অসত্য দাবি করে ভোলার ইলিশার লাল বয়া পয়েন্ট অতিক্রমকালে নদীর নাব্যতা সঙ্কটের কারণে তার লঞ্চ চরে আটকা পড়ার কথা জানান। এসময় ডান পাশ থেকে কাটিয়ে যাওয়ার মত যথেষ্ট স্থান থাকার পরও সুন্দরবন-১০ লঞ্চটি মোড় ঘুরাতে গিয়ে এমভি মানামীর পেছনের ডান পাশের নিচের অংশে আঘাত করে বলে অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে বিঅইডবিøউটিএ’র নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপ-পরিচালক মো. আজমল হুদা মিঠু সরকার জানান, নদীর নাব্যতা সঙ্কটে দুর্ঘটনা হয়ে থাকতে পারে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। কারো অনিয়ম বা ত্রæটি প্রমাণিত হলে নৌ-নিরাপত্তা আইনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।