বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
টাঙ্গাইলের সখিপুরে এপেন্ডিস অপারেশনের পর জানা গেল ব্লাড ক্যান্সার দীর্ঘ ১৮দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে বুধবার (২২জুলাই) দিবাগত রাত ৩টা ৫০ মিনিটে মৃত্যুবরন করলো উপজেলা লাঙ্গুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেনীর ছাত্র সৌরভ। সৌরভ দেওবাড়ি চাকলাপাড়া এলাকার প্রবাসী শাহাদত হোসেনের ছেলে। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, জ¦র-সর্দি-কাশি নিয়ে সৌরভকে সখিপুর মডার্ণ ডক্টরস হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। এ সময় রিনা ও গুলশানের কথায় বিশ^াস করে সৌরভকে লাইফ কেয়ার ক্লিনিকে ভর্তি করলে ডা.ডি আই রেজাউল করিম ও ডা.আব্দুস ছাত্তার সৌরভের এপেন্ডিস এর অপারেশন করেন। অপারেশনের পর প্রচুর ব্লিডিং হওয়ায় লাইফ কেয়ার ক্লিনিকের তত্ত্বাবধানে এম্বুলেন্সে ওই ক্লিনিকের স্টাফ নজরুলকে দিয়ে প্রথমে টাঙ্গাইল মুক্তা ক্লিনিকে পরে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এতেও ব্লিডিং বন্ধ না হওয়ায় পর পর আট ব্যাগ ব্লাড পুশ করা হয় এবং বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরিক্ষার পর জানা যায় সৌরভের ব্লাড ক্যান্সার হয়েছে। পরবর্তীতে ব্লাড পুশ করতে না পারায় ২২ জুলাই ডাক্তার জানিয়ে দেয় সৌরভের ব্লাড ক্যান্সার হয়েছে। সে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে মারা যাবে। এরপর পরিবারের লোকজন তাকে বাড়িতে নিয়ে আসে এবং বুধবার(২২জুলাই) রাত ৩টা ৫০মিনিটে মারা যায়। সৌরভের মা লোপা বলেন,আমি আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই। ৭নং দাড়িয়াপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আব্দুর রউফ তালুকদার,দাড়িয়াপুর ইউপি যুবলীগ সাধারন সম্পাদক আলামিন সহ দেওবাড়ি-চাকলাপাড়াবাসী স্কুল ছাত্র সৌরভ অকালে মৃত্যুবরন করার পিছনে যারা দায়ী তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেছেন। এ বিষয়ে লাইফ কেয়ার ক্লিনিকের ডা.ডি আই রেজাউল করিম বলেন, অপারেশনে কোন ভুল হয়নি,কিছু লোক ক্লিনিকের দুর্নাম করার জন্য ইন্ধন দিচ্ছে। যা কামাইছি আর আমারা ডাক্তারী না করলেও চলবে,তবে সখিপুরের লোক সাফার করবে। আর ব্লাড ক্যান্সারের রোগী অপারেশন না করলেও মারা যেতো। ডা.আব্দুস ছাত্তার বলেন, এখানে তো আর ব্লাড ক্যান্সার পরীক্ষা করা যায় না, এপেন্ডিসের সমস্যা থাকায় সৌরভকে এপেন্ডিসের অপারেশন করা হয়েছে। সৌরভের পরিবারের লোকজনও ব্লাড ক্যান্সারের কথা জানায়নি। সখিপুর থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই বদিউজ্জামান বলেন, ঘটনাটি শুনেছি এবং ছেলেটি মারা গেছে। থানায় কেউ কোন লিখিত অভিযোগ করেনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।