বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
![img_img-1719645097](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678506381_AD-1.jpg)
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
৩য় দফার বন্যায় বহু এলাকায় প্লাবিত হয়েছে সিলেট ও সুনামগঞ্জের। আরো ২-৩ দিন লাগাতার বৃষ্টি হতে পারে, এমন পূর্বাভাস আবহাওয়া অধিদপ্তরের। বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে পানি বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা স্বাভাবিক। সিলেটের সদও, গোয়াইনঘাট, কানাইঘাট, ফেঞ্চুগঞ্জ, কোম্পানীগঞ্জসহ বেশ কয়েকটি উপজেলার নিম্নাঞ্চল এখন প্লাবিত। যাতায়াত ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। অনেকের ঘরে পানি ঢুকায় খাটের উপর দিনরাত অতিবাহিত করছেন। গো-খাদ্য হুমকির মুখে। এতে লক্ষ গবাদিপশু পশুর জীন এখন শংকার মধ্যে। আবহাওয়া অধিদফতরের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, সিলেট ও সুনামগঞ্জে সারাদেশে ভারি বর্ষণের আশঙ্কা রয়েছে। বুধবার (২২ জুলাই) বেলা ১২টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ সিলেট, সুনামগঞ্জ, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা এবং বরিশাল বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি এবং সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারি বর্ষণের রয়েছে সম্ভাবনা। এদিকে, সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির আবারও হয়েছে অবনতি। উজানের পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় সুরমা, কুশিয়ারা, যাদুকাটা, পিয়াইন, খাঁশিয়ামাড়া ও চলতি নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। সুরমা নদীর পানি রেড়েছে ৩০ সেন্টিমিটার। আজ বুধবার সকাল ৯টায় সুনামগঞ্জ এর ষোলঘর পয়েন্টে প্রবাহিত হয়েছে বিপদসীমার ৩ সে:মিটার উপর দিয়ে । গত ২৪ ঘন্টায় ১৪০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ রেকর্ড করেছে । উজানের ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সুরমাসহ জেলার প্রায় সবগুলো নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে আবারও। ফলে জেলার ৮৭ ইউনিয়নের মধ্যে ৮৩ ইউনিয়নের লোকজনই ফের বন্যা বিপর্যস্ত। চারটি পৌরসভার নিম্নাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলের বাসিন্দারা আবারও বন্যার দূর্ভোগে। ভোগান্তিতে আছেন জেলার ৪ লাখেরও বেশী সাধারন মানুষ্ । ৩য় দফা বন্যায় বিপর্যস্ত সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চলের মানুষ। বন্যা মোকাবেলা করার মনোবল নড়েবড়ে হয়ে উঠেছে তাদের। এছাড়া প্রবাসী অধ্যূষিত জগন্নাথপুরে ৩য় দফা বন্যায় রয়েছেন পানিবন্দি লাখো মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত। প্রথম ও দ্বিতীয় দফা বন্যার ভোগান্তি শেষ হতে না হতেই তৃতীয় দফা বন্যায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে এ অঞ্চলের মানুষ। কাঁচা-পাকা রাস্তাঘাট, শ’ শ’ ঘরবাড়ি বানের পানিতে ভেঙ্গে ভেসে গেছে। রাস্তা-ঘাট ভেঙ্গে যাওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থার মারাত্মক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। টানা দু’দফা বন্যায় গ্রামীন সড়কগুলো ভেঙ্গে চলাচলের সম্পূর্ন অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন সড়কের ভাঙ্গাস্থানে দেয়া হয়েছে বাঁশের সাকো। তৃতীয় দফা এ বন্যায় এসব সড়কের অস্থিত্ব বিলীন হওয়ার আশংকা রয়েছে। বিছিন্ন হয়ে পড়েছে উপজেলার শহরের সাথে সব অঞ্চলের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা। বহু মানুষ ঘর-বাড়ি ছেড়ে আশ্রয় কেন্দ্রসহ বিভিন্ন উচুঁ স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। নতুন করে বীজ সংগ্রহ ও বীজতলা প্রস্তুতের জন্য কৃষকদের সকল পরিকল্পনাও ৩য় দফা বন্যায় ভেস্তে গেছে। আমন আবাদ নিয়েও দিশেহারা কৃষক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।