Inqilab Logo

বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ১৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

কুড়িগ্রামে বানভাসি মানুষের চরম দুর্ভোগ

বন্যায় ডুবে মৃত ১২, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত সাড়ে ৬ হাজার

প্রকাশের সময় : ২ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

কুড়িগ্রাম জেলা সংবাদদাতা : কুড়িগ্রামে বন্যার পানি কমে গেলেও বানভাসি মানুষের দুর্ভোগ কমেনি। পনের দিনের বন্যায় মানুষের জীবনযাত্রা অচল হয়ে পড়েছে। বন্যায় পানিতে ডুবে মারা গেছে ১২জন। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১ লাখ ৫০ হাজার ৫৮৬ পরিবারের মধ্যে প্রায় সাড়ে ৬ লাখ মানুষ। এরমধ্যে নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত ২২ হাজার ৬৭৫ জন। ৭হাজার ১২ হে. জমির ফসল নষ্ট হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের সংখ্যা ১ লাখ ৫৯ হাজার ৯৬৩ জন। বন্যায় ৫৪ কিলোমিটার বাঁধ ও ৩৯টি ব্রিজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কাচা সড়ক ৪৭৪ কিলোমিটার ও পাকা সড়ক ৫২ কিলোমিটার ভেঙে গেছে। প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২৪৮টি। ৫৩টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৩ হাজার ৬৮৪ পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। গবাদিপশু মারা গেছে ৭৭টি।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহফুজার রহমান জানান, মঙ্গলবার ধরলা নদীর পানি ৫ সেন্টিমিটার ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ২২ সেন্টিমিটার বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
কুড়িগ্রাম ত্রাণ বিভাগের কর্মকর্তা আব্দুল মোত্তালিব মোল্লা জানান, সরকারি হিসাবে জেলার ৯ উপজেলার ৭৩টি ইউনিয়নের মধ্যে ৫৭ টি ইউনিয়নের ৭২৮ গ্রাম এখন পানির নীচে। ১ হাজার ১৪৫ দশমিক ৮৬ বর্গকিলোমিটার এলাকা পানির নীচে অবস্থান করছে। এখন পর্যন্ত জিআর চাল বিতরণ করা হয়েছে এক হাজার ২৭৫ মে.টন এবং জিআর ক্যাশ দেয়া হয়েছে ৩৮ লাখ। মজুদ আছে ১০ মে.টন চাল ও ৫ লাখ টাকা।
কুড়িগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কন্ট্রোল রুমের কর্মকর্তা আখের আলী জানান, চলতি বন্যায় পানিতে ডুবে মারা গেছে ১২ জন। মৃতরা হলেন, রৌমারীর ঝগড়ার চরের আলম হোসেনের পুত্র জাহিদ (১), গয়টাপাড়ার মজুন মিয়ার কন্যা আশা মনি (২), কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের চর বড়াইবাড়ীর তাজুল ইসলামের পুত্র মোস্তাকিন (২), নাগেশ্বরীর বেরুবাড়ী এলাকার আব্দুল মান্নানের কন্যা মারুফা (১৬), কালিগঞ্জ ইউনিয়নের ভবানন্দের কুটি এলাকার মৃত: রজনী চন্দ্র নন্দীর পুত্র নারায়ণ চন্দ্র নন্দী (৫৫), হাসনাবাদ ইউনিয়নের সিংহের হাটের ছোলায়মানের কন্যা খাদিজা (১৮), ভুরুঙ্গামারীর বলদিয়ার নবী হোসেনের পুত্র শহীদ হোসেন (১৫মাস), উলিপুরের অনন্তপুর এলাকার কান্তারা চন্দ্র দাসের পুত্র সারু চন্দ্র দাস (১৮), চিলমারীর অস্টমীরচরের আব্দুস ছামাদের কন্যা শিল্পী (১৬মাস), রমনা সরকার পাড়ার মৃত: পনির উদ্দিনের পুত্র উসমান আলী (৪৫), সবুজ পাড়া এলাকার শাহিনের পুত্র নাজিম (১৫) এবং রাজিবপুরে অজ্ঞাতনামা নূর মোহম্মদ (৭০)। এরা সকলেই পানিতে ডুবে মারা যায়। এ সময়ে জেলায় ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে ৬হাজার ৬৩১জন।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ