Inqilab Logo

রোববার ১০ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ কার্তিক ১৪৩১, ০৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আগামী বছর জলাবদ্ধতা তৈরি হবে না : মেয়র আতিক

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২২ জুলাই, ২০২০, ৯:৪২ পিএম

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, আমরা একটা প্রজেক্ট হাতে নিয়েছি। এটার অনুমোদন যদি পেয়ে যাই তাহলে কথা দিতে পারি, আগামী বছর জলাবদ্ধতা তৈরি হবে না। আমরা ২৬টি জায়গা চিহ্নিত করেছি। পর্যায়ক্রমে এই বর্ষায় ১০টি এলাকা ঠিক করে ফেলতে পারব।

আজ বুধবার (২২ জুলাই) রাজধানীর কারওয়ান বাজার এলাকার জলাবদ্ধতা পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

মেয়র আতিকুল বলেন, আমরা গতবার যখন এসেছিলাম, তখন মাছরাঙা টেলিভিশনের সামনে পানি জমেছিল। এখন পানি কিন্তু জমে না। কালশীর জলাবদ্ধতার সমাধানও আমরা করেছি। আমরা কাওলা খাল নিজেদের উদ্যোগে খনন করেছি। আজ সকালে মন্ত্রী মহোদয়ের সাথে মিটিং ছিল। দক্ষিণের মেয়রসহ আমি বলেছি ওয়াসা থেকে আমাদের খালগুলো দিয়ে দিন। আমরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে এসেছি। আমরা কথা দিতে পারি, এ খাল আমরা পুনরুদ্ধার করব। ড্রেন থেকে খাল এবং খাল থেকে নদীতে আমরা সংযোগ করব। আমরা দেখেছি কারওয়ান বাজারে গতকাল কোমর পানি ছিল। কী কারণে ছিল আমরা তার ব্যাখ্যা করেছি। এখানে দুটো মাস্টার প্ল্যান করতে হবে।

পরিদর্শনকালে কারওয়ান বাজারের টিসিবি ভবনের সামনে তাজুল ইসলাম বলেন, আগে যে পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করা হয়েছে, অর্থাৎ ড্রেনের পাইপ যত মোটা করা হয়েছে, যতটুকু পানি ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন করা হয়েছে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে তার চেয়ে আরও বেশি স্পেস (জায়গা) লাগবে। কতগুলো বিষয়ে কাজ করা দরকার। যেমন- খাল ভালো করে পরিষ্কার করা। যদিও আমরা এসব বিষয়ে প্রথম থেকে পদক্ষেপ নিয়েছি। কিন্তু সবগুলো এখনো ঠিকমতো পরিষ্কার হয় না।

তিনি বলেন, এজন্য আমি আজ মাঠে পরিদর্শনে এসেছি। যেসব তথ্য পাচ্ছি, সে অনুযায়ী একটা স্থায়ী সমাধানের জন্য ধীরে ধীরে সামনে এগিয়ে যাব। পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার ত্রুটি ছিল। যেমন এখানে পানি আউটলেট হওয়ার মতো যথেষ্ট স্পেস নেই। অর্থাৎ যে ব্যবস্থাপনা আছে, এ ব্যবস্থাপনার ত্রুটি আছে। এখানে আরও বর্ধিত ব্যবস্থাপনা লাগবে। আমরা ভবিষ্যতে এসব প্রকল্প নিয়ে কাজ করব। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শহরের মানুষ যাতে দুর্ভোগের সম্মুখীন না হয় সে জন্য চেষ্টা করব।


তিনি আরও বলেন, একটা হচ্ছে সাফিশিয়েন্ট পাম্প লাগাতে হবে, যাতে পানি হাতিরঝিল থেকে পানি ওপারে যায়। আমাদের কানেক্টিভিটি আরও স্ট্রং করতে হবে। আমরা দেখেছি মগবাজারে কী অবস্থা। আমি মন্ত্রীকে বলেছি ঢাকা শহরের কারওয়ান বাজার, মগবাজার, মীরবাগ, মধুবাগে পানি জমে। জলাবদ্ধতা কেন সৃষ্টি হচ্ছে? ওয়াসার কাজগুলো আমাদের দিন। আমরা দেখিয়ে দিতে চাই, নগরবাসীকে আমরা যে কথা বলি সে কাজ করি। কথার সাথে কাজের মিল আছে।

পরিদর্শনকালে প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহ. আমিরুল ইসলাম ও অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. শরীফ উদ্দীন উপস্থিত ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মেয়র আতিক


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ