Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আরো ৪১ জনসহ মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৭০৯

দেশে করোনাভাইরাস

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৩ জুলাই, ২০২০, ১২:২৫ এএম

দেশে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর তালিকা দিনে দিনে দীর্ঘ হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এ তালিকায় যুক্ত হয়েছেন আরও ৪১ জন। এতে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল দুই হাজার ৭০৯ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত হয়েছে আরও তিন হাজার ৫৭ জনের দেহে। এ নিয়ে মোট করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল দুই লাখ ১০ হাজার ৫১০ জনে।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস বিষয়ক নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানান অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা। তিনি নমুনা পরীক্ষার তথ্য তুলে ধরে জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১২ হাজার ১৪৯টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় আগের কিছু মিলিয়ে ১২ হাজার ৮৯৮টি নমুনা। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ১০ লাখ ৫৪ হাজার ৫৫৯টি।

নতুন নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে আরও তিন হাজার ৫৭ জনের দেহে। এতে শনাক্ত করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল দুই লাখ ১০ হাজার ৫১০ জনে। আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে আরও ৪১ জনের। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল দুই হাজার ৭০৯ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও এক হাজার ৮৪১ জন। এতে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল এক লাখ ১৫ হাজার ৩৯৯ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় যাদের মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে পুরুষ ৩৪ জন এবং নারী সাতজন। এদের মধ্যে ২১ বছরের বেশি বয়সী একজন, ত্রিশোর্ধ্ব দুইজন, চল্লিশোর্ধ্ব ছয়জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১২ জন, ষাটোর্ধ্ব ১১ জন, সত্তরোর্ধ্ব সাতজন এবং ৮০ বছরের বেশি বয়সী দুইজন ছিলেন। তাদের ১৫ জন ঢাকা বিভাগের, ১৫ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, পাঁচজন রাজশাহী বিভাগের, পাঁচজন খুলনা বিভাগের এবং একজন রংপুর বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। হাসপাতালে মারা গেছেন ৩১ জন এবং বাসায় মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের।

বুলেটিনে বলা হয়, করোনার নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় গত ২৪ ঘণ্টায় রোগী শনাক্তের হার ২৩ দশমিক ৭০ শতাংশ এবং এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ। শনাক্ত রোগী বিবেচনায় এ পর্যন্ত সুস্থতার হার ৫৪ দশমিক ৮২ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ২৯ শতাংশ। বুলেটিনে আরও বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে ৭১০ জনকে এবং এ পর্যন্ত আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে ৪৩ হাজার ৬৮০ জনকে।
গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে মুক্ত হয়েছেন ৬৫১ জন এবং এ পর্যন্ত আইসোলেশন থেকে মুক্ত হয়েছেন ২৫ হাজার নয়জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৮ হাজার ৬৭১ জন। ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে দুই হাজার ২২ জনকে এবং এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে চার লাখ ১৪ হাজার ৫০৩ জনকে। ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টাইন থেকে মুক্ত হয়েছেন দুই হাজার ৩৭৫ জন এবং এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড় পেয়েছেন তিন লাখ ৫৫ হাজার ৪২৪ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৫৯ হাজার ৭৯ জন।

করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকা মহানগরীর সাধারণ শয্যায় ভর্তি আছেন দুই হাজার ২১২ জন এবং আইসিইউতে ভর্তি আছেন ১৬৮ জন। চট্টগ্রাম মহানগরীর সাধারণ শয্যায় ভর্তি আছেন ২৯০ জন এবং আইসিইউতে ভর্তি আছেন ২২ জন। সারাদেশের অন্যান্য হাসপাতালে সাধারণ শয্যায় ভর্তি আছেন এক হাজার ৭৫৯ জন এবং আইসিইউতে আছেন ৯২ জন। সারাদেশে সাধারণ শয্যার সংখ্যা ১৫ হাজার ৪৬৮টি। রোগী ভর্তি আছেন চার হাজার ২৬১ জন।

সারাদেশে আইসিইউ শয্যা ৫১১টি, রোগী ভর্তি আছেন ২৮২ জন। সারাদেশে অক্সিজেন সিলেন্ডারের সংখ্যা ১২ হাজার ২৩৩টি, হাই ফ্লো নেজাল ক্যানোলা ২৭৭টি এবং অক্সিজেন কনসেনট্রেটরের সংখ্যা ১১০টি। বুলেটিনে বরাবরের মতো সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান ডা. নাসিমা। তিনি বন্যা পরিস্থিতিতে অন্যান্য সতর্কতা মেনে চলতেও দেশবাসীকে পরামর্শ দেন।



 

Show all comments
  • jahid ২২ জুলাই, ২০২০, ৯:৪৩ এএম says : 0
    শতকরা ৪০% লোক ঢাকা শহরে মাস্ক পরে কিন্তু নাক খোলা রাখে ! ৩০% লোক ঢাকা শহরে মাস্ক পরে না ! এদের থেকে আমাদের কে সেভ করবে !!!
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ