Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

উপসর্গে মৃত ৮

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২২ জুলাই, ২০২০, ১২:০০ এএম

করোনা উপসর্গ সর্দি, জ্বর, কাশি, গলাব্যথা ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে সারা দেশে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে এদের কারো শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ছিল কিনা তা নিশ্চিত নয় বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
যশোর ব্যুরো জানায়, যশোর ২৫০ বেড হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে করোনা উপসর্গ নিয়ে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালের আরএমও ডা. আরিফ আহম্মেদ গতকাল এই তথ্য জানান। হাসপাতাল সূত্র জানায়, বেনাপোল পোর্ট থানার গাজীপুর গ্রামের মৃত আক্কাস আলীর ছেলে শহিদুল ইসলাম(৮৫) এবং মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলার খলিলুর রহমানের ছেলে রেজাউল আলম (৬৫) করোনা উপসর্গ নিয়ে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি হন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।
এদিকে, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেণ্টারে গতকাল ঘোষিত করোনার টেস্টের ফলাফলে ৮১ জনের কোভিড-১৯ পজিটিভ রিপোর্ট পাওয়া গেছে।
যবিপ্রবি সূত্র জানায়, যশোরের ১১৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩২ জনের, মাগুরার ২৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৯ জনের, সাতক্ষীরার ৯০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩০ জনের ও বাগেরহাটের ৪৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১০ জনের নমুনাতে কোভিড-১৯ পজিটিভ পাওয়া গেছে। অর্থাৎ যবিপ্রবির ল্যাবে মোট ২৭৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৮১ জনের করোনা পজিটিভ এবং ১৯৮ জনের নেগেটিভ ফলাফল এসেছে।
বরিশাল ব্যুরো জানায়, বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা ও পিরোজপুরে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে একদিনের ব্যবধানেই দক্ষিণাঞ্চলে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির অবনতি ঘটল। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ১০৩ জন সহ আক্রান্তের সংখ্যা দক্ষিণাঞ্চলে ৫ হাজার ছুতে চলেছে। তবে নতুন কোন মৃত্যুর খবর নেই। যা আগের দিন ছিল ৮৯। এ নিয়ে দক্ষিণাঞ্চলে মোট আক্রান্তের সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৯৯৩। এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৯৭ জনের। এরমধ্যে চলতি মাসের ২১ দিনেই আক্রান্ত দু হাজারের কাছে, ১ হাজার ৯৯৩। ২১ দিনে মৃত্যু হয়েছে ৩৫ জনের। তবে গতকাল নতুন ১শ জন সহ মোট সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৫০৯ জন। গতকাল প্রাপ্ত হিসেব অনুযায়ী বারিশালে আক্রান্তের সংখ্যা আগের দিনের ১৮ থেকে বেড়ে ৪৩ হয়েছে। জেলায় এ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ২ হাজার ১৬৭। মৃত্যু হয়েছে ৩৭ জনের। সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ১০৮জন। পটুয়াখালীতেও আগের দিনের ১১ থেকে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৪। জেলাটিতে এ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা যথাক্রমে ৮৯৩ ও ২৫। মোট সুস্থ হয়েছেন ৪৩৭ জন। ভোলাতেও আক্রান্তের সংখ্যা ১২ থেকে ১৫’তে উন্নীত হয়েছে। জেলাটিতে মোট আক্রান্ত ৪৬১। মৃত্যু হয়েছে এ পর্যন্ত ৫ জনের। তবে গতকাল নতুন করে কেউ সুস্থ না হলেও মোট সংখ্যাটা ৩১৮। পিরোজপুরেও আক্রান্তের সংখ্যা আগের দিনের ১২ থেকে গতকাল ২০’তে উন্নীত হয়েছে। এ জেলাতেও মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৫২৭জন। মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের। সুস্থ হয়েছেন ২৫৮ জন।
তবে বরগুনাতে আক্রান্তের সংখ্যা আগের দিনের ২৫ থেকে গতকাল দুপুর পর্যন্ত ১ জনেই সীমাবদ্ধ ছিল। জেলাটিতে এ পর্যন্ত ৫১২ জন আক্রান্ত হলেও মারা গেছেন ১০ জন। আর সুস্থ হয়েছেন ২৬৭ জন। ঝালকাঠিতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন কোন আক্রান্তের খবর ছিলনা স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে। আগের দিন সংখ্যাটা ছিল ১৬। জেলাটিতে এ পর্যন্ত মোট ৪০৩ জন আক্রান্তের বিপরীতে মারা গেছেন ১২ জন। এ জেলায়ও মোট সুস্থ হয়েছেন ২৬৭ জন। এদিকে বরিশাল শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে নানা উপসর্গ নিয়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায়। এসময়ে ওয়ার্ডটিতে নতুন করে ১৩ জনকে ভর্তি করা হলেও ছাড়পত্র পেয়ছেন ২৪ জন। করোনা ওয়ার্ডে নতুন কোন রোগী ভর্তি না হলেও ছাড়পত্র পেয়েছেন ৪ জন। হাসপাতালটিরে এদুটি ওয়ার্ডে গতকাল সকাল পর্যন্ত ৮৫ জন চিকিৎসাধীন ছিল। যার মধ্যে করোনা ওয়ার্ডেই রোগী ছিল ৪৩ জন। এ পর্যন্ত হাসপাতালটির এ দুটি ওয়ার্ডে ১ হাজার ৪৫ জনকে ভর্তি করা হলেও ছাড়া পেয়েছেন ৮১০ জন। আর হাসপাতালটির এ দুটি ওয়ার্ড থেকে মৃত্যুর মিছিলে যোগ হয়েছেন ১৫০জন। গত ২৪ ঘণ্টায় এ হাসপাতালে ভর্তিকৃতদের মধ্যে ১১ জনের নমুনা পরিক্ষায় ৪ জনের দেহে করোনা পজেটিভ পাওয়া গেছে।
স্টাফ রিপোর্টার নারায়ণগঞ্জ থেকে জানান, নারায়ণগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ১৫ জন। এই নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্ত হলেন ৫ হাজার ৭৭২ জন। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এই পর্যন্ত মারা গেছেন ১২৪ জন। গতকাল সকালে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে এই তথ্য জানা যায়। নতুন করে সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ৬ জন, সদরে ৬ জন, বন্দরে ২ জন, ও রূপগঞ্জে ১ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
স্টাফ রিপোর্টার, চাঁদপুর থেকে জানান, চাঁদপুর আরো ৩০ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। জেলায় এ নিয়ে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ১৫১৯জন। এর মধ্যে মৃতের সংখ্যা ৭১জনে। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে চাঁদপুর সদরে ২২জন, মতলব উত্তরে ১জন, ফরিদগঞ্জে ১জন, হাজীগঞ্জে ৩জন, কচুয়ায় ১জন এবং শাহরাস্তিতে ২জন। চাঁদপুর সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, গতকাল সকালে ৭৮টি রিপোর্ট আসে। এর মধ্যে ৩০টি পজেটিভ। ৪৮টি নেগেটিভ।
জেলায় ১৫১৯জন করোনা আক্রান্ত রোগীর উপজেলাভিত্তিক পরিসংখ্যান হচ্ছে; চাঁদপুর সদরে ৫৭৪জন, মতলব দক্ষিণে ১৬৯জন, শাহরাস্তিতে ১৫৭জন, হাজীগঞ্জে ১৫১জন, ফরিদগঞ্জে ১৭৫জন, হাইমচরে ১১৪জন, কচুয়ায় ৬৯জন এবং মতলব উত্তরে ১১০জন। চাঁদপুর জেলায় করোনায় মৃত ৭১জনের মধ্যে চাঁদপুর সদরে ২০ জন, হাজীগঞ্জে ১৭জন, ফরিদগঞ্জে ৯জন, কচুয়ায় ৬ জন, মতলব উত্তরে ৯জন, শাহরাস্তিতে ৬জন, মতলব দক্ষিণে ৩জন এবং হাইমচরে ১জন।
গোপালগঞ্জ থেকে স্টাফ রিপোর্টার জানান, গোপালগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১ চিকিৎসক সহ ৩০ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। গোপালগঞ্জে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২৭৮ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় ২০ জন সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৮৫৫ জন। জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৩৯৮ জন । গোপালগঞ্জ সদর, কোটালীপাড়া মুকসুদপুর, কাশিয়ানী ও টুঙ্গিপাড়ায় মারা গেছেন ২৪ জন। মুকসুদপুরে আত্মহত্যা করেছে ১ করোনা রোগী।
গত ২৪ ঘণ্টায় গোপালগঞ্জ জেলা থেকে করোনা পরীক্ষা করার জন্য ৬৭ জনের নমুনা সংগ্রহ করে ফরিদপুরে পাঠানো হয়েছিলো। এর মধ্যে নতুন করে ৩০ জনের শরীরে করোনা সনাক্ত হয়েছে। গতকাল সকালে গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ এ তথ্য জানান।
তিনি আরো জানান, নতুন করে গত ২৪ ঘণ্টায় গোপালগঞ্জ সদরে ৬ জন, টুঙ্গিপাড়ায় ৭ জন, কোটালীপাড়ায় ৮ জন, কাশিয়ানীতে ৪ জন ও মুকসুদপুরে ৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন । সিভিল সার্জন জানান, আক্রান্তদের বসতবাড়ি সহ আশপাশের বেশ কয়েকটি বাড়িঘর লকডাউন করা হয়েছে। সেই সাথে আক্রান্তদের পরিবারের সদস্যদের হোম কোয়ারেণ্টিনে থাকার পারমর্শ দেয়া হয়েছে।
তিনি আরো জানান, এ পর্যন্ত ৬ হাজার ৭৫১ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে গোপালগঞ্জ সদরে ৪০৭ জন, টুঙ্গিপাড়ায় ২০৯ জন, কোটালীপাড়া উপজেলায় ১৯৭ জন, কাশিয়ানীতে ২৩০ জন ও মুকসুদপুরে ২৩৫ জনের দেহে করোনা সনাক্ত হয়েছে।
স্টাফ রিপোর্টার, কুষ্টিয়া থেকে জানান, কুষ্টিয়ায় নতুন করে আরো ৪৩ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ১২৩৬ জন। সোমবার রাতে কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডাক্তার এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানান। তিনি জানান সোমবার জেলার মোট ১৯৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয় কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে। এর মধ্যে ৪৩টি নমুনা পজিটিভ আসে। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় ২২ জন, দৌলতপুর উপজেলায় ৫ জন, ভেড়ামারা উপজেলায় ৩ জন, কুমারখালী উপজেলয় ১০ জন, মিরপুর উপজেলায় ১ জন ও খোকসা উপজেলায় ২ জন রয়েছেন। এদের মধ্যে ৩২ জন পুরুষ ও ১১ জন মহিলা রোগী। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ১২৩৬ জন। এখন পর্যন্ত জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ২৭ জন। আর সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৭১৭ জন রোগী।
নওগাঁ জেলা সংবাদদাতা জানান, নওগাঁর পোরশা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নজরুল হামিদ রেজা ও ১২জন স্বাস্থ্যকর্মীসহ নতুন করে আরও ৬০ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা আক্রান্ত ৮৩৯ জন। সুস্থ হয়েছেন ৫৯১ জন। মৃত্যুবরণ করেছেন ১৪ জন। গতকাল সকালে নওগাঁর ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা: মঞ্জুর র্মোশেদ এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সোমবার রাতে আইইডিসিআর থেকে গত ১৬ ও ১৮ তারিখের ২০১টি নমুনার ফলাফল আসে। এর মধ্যে ৬০ জনের দেহে করোনা ভাইরাস সনাক্ত হয়। আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছে, সদর উপজেলায় ২১ জন, মহাদেবপুর উপজেলায় ৩ জন, মান্দা উপজেলায় ২ জন, বদলগাছি উপজেলায় ৪ জন, পত্মীতলা উপজেলায় ২ জন, নিয়ামতপুর উপজেলায় ৯ জন, সাপাহার উপজেলায় ১০ জন এবং পোরশা উপজেলায় ৯ জন।
সাতক্ষীরা জেলা জেলা সংবাদদাতা জানান, সাতক্ষীরায় উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে করোনা রোগী ও মৃতের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় চারজন র‌্যাব সদস্য, একজন লেডি ডাক্তারসহ নতুন সংক্রমিত হয়েছেন ৩৭ জন। এনিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৫৪৬ জনে। আর উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন দুইজন। সর্বশেষ দুইজনের মৃত্যু নিয়ে জেলায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৪৯। এর মধ্যে করোনা পজেটিভ রিপোর্ট ১৪ জনের। গতকাল বিকালে সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. জয়ন্ত কুমার নতুন আক্রান্ত ও মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, নতুন আক্রান্ত ৩৭ জনের মধ্যে খুলনা র‌্যাব ৬ এর সাতক্ষীরা ক্যাম্পের ৪ জন র‌্যাব সদস্য, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একজন লেডি ডাক্তার, কালিগঞ্জ উপজেলার ৯ জন, তালা উপজেলার ৫ জন, কলারোয়ার ২ জন, শ্যামনগরের ৩ জন ও সদর উপজেলার আনসার ব্যাটালিয়নের এক সদস্যসহ সদরের ১৩ জন।
এদিকে, সাতক্ষীরা মেডিকেলে সবশেষ মৃত দুইজন হলেন, দেবহাটা উপজেলার খেজুরবাড়িয়া গ্রামের সোহরাব হোসেনের স্ত্রী রহিমা খাতুন (৪৫) ও সাতক্ষীরা পৌরসভার কামালনগরের সৈয়দ আলীর ছেলে আব্দুর রহমান (৮০)। গতকাল সকালে আব্দুর রহমান এবং সোমবার দিবাগত মধ্যরাতে রহিমা খাতুন মারা যান। সাতক্ষীরায় ক্রমশ আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় উদ্বেগ বাড়াচ্ছে জনমনে।
শেরপুর জেলা সংবাদাতা জানান, শেরপুরের নতুন করে আরও ৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এই তিনজন শেরপুর সদরের বাসিন্দা। এ নিয়ে জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ২৯২ । এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২৪৩ জন। মারা গেছেন ৫ জন।
গত সোমবার রাতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাব থেকে পাঠানো প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে সিভিল সার্জন ডা. একেএম আনওয়ারুর রউফ ওইসব তথ্য জানান।
জানা যায়, এপর্যন্ত আক্রান্তদের মধ্যে শেরপুর সদরে ১২৭, নকলায় ৫৩, নালিতাবাড়ীতে ৬০, ঝিনাইগাতীতে ২৭ ও শ্রীবরদী উপজেলায় ২৫ জন রয়েছেন। তাদের মধ্যে ৯ জন চিকিৎসকসহ ৫০ জন স্বাস্থ্যকর্মী, ৩২ জন পুলিশ সদস্য, ১ জন জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা এবং ১জন সাংবাদিকও রয়েছেন।
সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের বামনডাঙ্গা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ৫ পুলিশ করোনা আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে করোনা আক্রান্ত চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ১৫ জনে।
পুঠিয়া (রাজশাহী) উপজেলা সংবাদদাতা জানান পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সহধর্মিণী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সহধর্মিণী ডাক্তার নিশাত জামান (২৬) কে নিয়ে উপজেলায় করোনায় আক্রন্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৩ জন।
নান্দাইল (ময়মনসিংহ) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় নতুন আক্রান্ত হয়েছেন ০১ জন। তিনি নান্দাইল পৌর সদরের সিনেমা হল রোডের বাসিন্দা। এনিয়ে এ পর্যন্ত উপজেলার মোট ৩৮ জন করোনায় আক্রান্ত হলো। তন্মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ৩১ জন এবং হোম আইসোলোশনে আছে ৭ জন।
ঈশ্বরদী : ঈশ্বরদীতে আরও ৯ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছে। এনিয়ে এখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ২ শতাধিক। ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্হ্য কর্মকর্তা ডা. এফ এ আসমা খান জানান, এপর্যন্ত ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মাধ্যমে মোট ২ হাজার ১ শ ৬০ জনের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকা, রাজশাহী ও বগুড়া ল্যাবে পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করা হয়। এর মধ্যে ১ হাজার ৮শ ৪৪ জনের নমুনা পরীক্ষার ফলাফল পাওয়া গেছে। এ পর্যন্ত ঈশ্বরদীতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে ৫ জন। করোনা উপসর্গ নিয়ে মারাগেছে ৬ জন।
কিশোরগঞ্জ : কিশোরগঞ্জে করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে রাজিয়া আহমেদ (৮০) নামে এক বৃদ্ধা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। গত সোমবার রাত ১০টার দিকে কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া রাজিয়া আহমেদ কিশোরগঞ্জ শহরের চরশোলাকিয়া এলাকার প্রয়াত তাহের উদ্দিনের স্ত্রী।
কুমিল্লা : কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা উপসর্গ নিয়ে আরও দুইজন নারীর মৃত্যু হয়েছে। মৃতরা হলেন- কুমিল্লার মনোহরগঞ্জের রুহুল আমীনের স্ত্রী পেয়ারা বেগম (৬৫) ও কুমিল্লা মুরাদনগরের আবদুল মজিদের স্ত্রী নুর জাহান (৬০)।
চুয়াডাঙ্গা : চুয়াডাঙ্গায় করোনা উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় গৌরচন্দ্র বিশ্বাস (৭০) নামের এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল দুপুরে সদর হাসপাতালের করোনা আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত গৌরচন্দ্র বিশ্বাস আলমডাঙ্গা উপজেলার রথতলা এলাকার জতিশচন্দ্র বিশ্বাসের ছেলে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ