বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে একজন ট্রাক হেল্পারের ফোন পেয়ে যমুনা নদীর মাঝখানে ভেসে থাকা ছয় ব্যক্তিকে উদ্ধার করেছে নৌ-পুলিশ। ভেসে থাকা ব্যক্তিরা নৌকাডুবির পর বস্তা ধরে বাঁচার চেষ্টা করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু সেতু থেকে এই দৃশ্য দেখে বুদ্ধি করে ৯৯৯-এ ফোন দেন ওই ট্রাক হেল্পার। মঙ্গলবার (২১ জুলাই) জাতীয় জরুরি সেবার পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার এ তথ্য জানান।
এক মেইল বার্তায় আনোয়ার সাত্তার জানান, ২০ জুলাই সন্ধ্যার ঠিক আগ মুহূর্তের ৯৯৯ নম্বরে এক ব্যক্তি বঙ্গবন্ধু সেতু থেকে ফোন করে জানান, তিনি একজন ট্রাক হেল্পার। তিনি ব্রিজের ওপর চলন্ত ট্রাক থেকে দেখতে পান যমুনা নদীর মাঝখানে ব্রিজের নিচের দিকে ছয়-সাত জন লোক বস্তা ধরে ভাসছেন। তারা চিৎকার করছিলেন তাদের উদ্ধারে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। নদীতে তীব্র স্রোত আর ঢেউয়ে তারা বারবার পানিতে ডুবে যাচ্ছিলেন আবার ভেসে উঠছিলেন। তিনি ৯৯৯-এ ফোন করে তাদের দ্রুত উদ্ধারের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান। ৯৯৯ তাৎক্ষণিকভাবে ওই ব্যক্তিকে ‘বঙ্গবন্ধু সেতু’ পশ্চিম নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জের সঙ্গে কথা বলিয়ে দেয়। এরপর সংবাদ পেয়ে নৌ পুলিশ ফাঁড়ির একটি দল ঘটনাস্থলে যায় এবং দ্রুত উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে। পরে ‘বঙ্গবন্ধু সেতু’ পশ্চিম নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইন্সপেক্টর মান্নান ৯৯৯-কে ফোনে জানান, তারা ছয় জন নৌকা আরোহীকে জীবিত উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছেন।
নৌকা আরোহীদের একজন সিরাজগঞ্জ সদরের বাসিন্দা আল আমিন (২৫) জানান, তারা ছয় জন নৌকা নিয়ে সিরাজগঞ্জের বড়টিয়া চরে গিয়েছিলেন গরুর ঘাস কাটতে। ঘাস কেটে ফেরার পথে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায়, তীব্র স্রোতের তোড়ে ও প্রবল ঢেউয়ে তাদের নৌকাটি ‘বঙ্গবন্ধু সেতু’র ৬ নম্বর পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ডুবে যায়। তারা ঘাসের বস্তা ধরে ভেসে থাকার চেষ্টা করছিলেন।
ইন্সপেক্টর মান্নান জানান, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে উদ্ধার তৎপরতায় ঝুঁকি ছিল। তবে সবকিছুই ঠিকঠাকভাবে হয়েছে। ডুবে যাওয়া নৌকাটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।