বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চেয়ারম্যানের নির্দেশে গ্রাম পুলিশের পিটুনিতে গোলাম কুদ্দুস নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
নিহত গোলাম কুদ্দুস শেখ (৫০) উপজেলার চন্দনপুর ইউনিয়নের হিজলদি গ্রামের জোহর আলীর ছেলে। তিনি কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন।
নিহতের মেয়ে মনোয়ারা খাতুন জানান, প্রতিবেশী রাজিয়া বেগম বিবাহ ছাড়াই তার দেবর মনি ফকিরের সঙ্গে অনৈতিক কার্যকলাপ করে। বিয়ে ছাড়াই এক সঙ্গে থাকে। বিষয়টি নিয়ে আমার বাবা ওই মহিলাকে বলতো, তোমরা আর পাপ কাজ করো না। এনিয়ে ওই মহিলা বিরক্ত হয়ে চন্দনপুর ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলামের কাছে মৌখিক অভিযোগ দেয়।
অভিযোগের পর চেয়ারম্যানের নির্দেশে ১৭ জুলাই শুক্রবার ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ দিলিপ ও অশোক বাড়িতে এসে লাঠি দিয়ে বাবাকে বেধড়ক মারপিট করে। এরপর বাবাকে নিয়ে হাসপাতালে নিতেও বাঁধা দেয় চেয়ারম্যান মনিরুল।
তিনি আরও বলেন, ভয়ে বাবাকে আমি ও মা হাসপাতালেও নিয়ে যেতে পারিনি। আজ সকালে অবস্থা খুব খারাপ হয়ে যায়। তখন চুরি করে হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে যাওয়ার পর বাবা মারা গেছেন।
এ ঘটনায় আমার মা ফিরোজা বেগম কলারোয়া থানায় চেয়ারম্যান ও গ্রাম পুলিশের নামে মামলা দিলেও থানা থেকে চেয়ারম্যানের নাম বাদ দিয়েছে। এই মামলা আমি মানি না।
চন্দনপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ডালিম জানান, বেধড়ক মারপিটে মাথা, পিঠ, হাত ও কোমরে আঘাতপ্রাপ্ত হয় গোলাম কুদ্দুস। মঙ্গলবার সকালে অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাকে কলারোয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ভর্তির ঘন্টাখানেক পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। মারপিট করে হাসপাতালে নিতে বাঁধা দেওয়া এটা কোন সচেতন মানুষের কাজ নয়। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত। চেয়ারম্যান এর আগেও এমনিভাবে একাধিক মানুষকে গ্রাম পুলিশ দিয়ে পিটিয়েছে।
এ ঘটনায় চন্দনপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম মনির সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে ফোনকল রিসিভ করেন তার ছোট ভাই জাকির হোসেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, মনিরুল থানার ভিতরে আছেন।
কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুনীর উল গিয়াস বলেন, এ ঘটনায় চৌকিদারদের বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে। তবে চেয়ারম্যান ঘটনাস্থলে তাদের পাঠিয়েছিলেন। যার কারণে চেয়ারম্যানকে থানায় ডেকে আনা হলেও তাকে আমরা আটক করছি না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।