Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দক্ষিণাঞ্চলে ঈদ উল আজহায় করেনার বিরূপ অর্থনৈতিক প্রভাব করোনার বিরূপ অর্থনৈতিক প্রভাব

বরিশাল ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২১ জুলাই, ২০২০, ১:৪৪ পিএম

ক্রমশ প্রলম্বিত হওয়ায় দক্ষিণাঞ্চলে এবারের ঈদ উল আজহায় পশু কোরবানি আশংকাজনক ভাবে হ্রাস পাবার কথা জানিয়েছেন ওয়াকিবাহাল মহল। ফলে এ অঞ্চলের দরিদ্র জনগোষ্ঠী ছাড়াও অর্ধলক্ষাধীক এতিমখানা, লিল্লাহ বোর্ডিং ও মাদ্রাসা সমুহে এবারো একটি বড় ধরনের দানÑঅনুদান থেকে বঞ্চিত হবার আশংকা সৃষ্টি হয়েছে। গতবছর চামড়া সিন্ডিকেটের কারসাজীতে এঅঞ্চলের কোরবানিদাতাগন পশুর চামড়া বিনা মূল্যেই দিতে বাধ্য হন। এমনকি ঐ সিন্ডিকেটের কারসাজিতে মাদ্রাসা ও এতিমখানাগুলোও কোন পশুর চামড়া সংগ্রহ করতে পারেনি। ফলে সারা বছরের প্রতিক্ষিত একটি বড় আয় থেকে বঞ্চিত হয় ঐসব দ্বীনি প্রতিষ্ঠানগুলো। 

বরিশাল বিভাগীয় প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তর ইতোমধ্যে দক্ষিণাঞ্চলে কোরবানিযোগ্য পশুর জরিপ সম্পন্ন করে সদর দপ্তর সহ মন্ত্রনালয়কে অবহিত করেছে। মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব ইতোমধ্যে বরিশাল বিভাগীয় সদরে দক্ষিণাঞ্চলের ৬টি জেলা ও ৪২টি উপজেলার প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তাদের নিয়ে পশুর হাট সহ কোরবানির পশু জবাই-এর ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরনে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশনা দিয়ে গেছেন। এমনকি এবার দক্ষিণাঞ্চলের পশুর হাটগুলোতে দেড় শতাধীক মেডিকেল টিমও নিয়োগ করছে প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তর। 

কিন্তু এবার করোনা মহামারি সারা দেশের মত দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনীতিতেও বিরূপ থাবা বসিয়েছে ইতোমধ্যে। যার প্রভাবে সাধারন মানুষের পশু কোরবানী করার সাধ্য অনেকটাই সিমিত হয়ে পড়ায় সংখ্যাটা গত বছরের চেয়ে প্রায় ৪০ভাগ হ্রাস পাবার আশংকার কথা জানিয়েছেন ওয়াকিবাহল মহল। এমনকি গতবছর এ অঞ্চলে যে প্রায় ৩শ অস্থায়ী পশুর হাট বসেছিল এবার সেখানেও কোন ইজারাদারের আগ্রহ লক্ষনীয় নয়। খোদ বরিশাল মহানগরীতে পশুর হাটের ইজারা নিয়ে আগ্রহ নেই কারো। অথচ বিগত দিনে এসব হটের অনুমোদন ও ইজারা নিয়ে রিতিমত কাড়াকাড়ি পড়ে যেত। চলতিবছর প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর থেকে দক্ষিণাঞ্চলের ৬ জেলায় প্রায় পৌনে ৩শ পশুরহাট বসার প্রাক্কলন করা হলেও তা নিয়ে ওয়াকিবাহল মহলে এখন পর্যন্ত সন্দেহ ষোল আনা। 

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মতে গত বছর ঈদ উল আজহায় দক্ষিণাঞ্চলের ছয় জেলাতে ৪ লাখ ৩৪ হাজার পশু কোরবানি হয়েছিল। যা ছিল আশাতিত এবং আগের বছরের চেয়ে অন্তত ১৫% বেশী। কোরবানিকৃত ঐসব পশুর মধ্যে প্রায় ৩ লাখ ষাড়, ২৩ হাজার গরু ও বকনা এবং ১ হাজার মহিষ ছাড়াও প্রায় একলাখ ১৭ হাজার ছাগল ও খাশি সহ প্রায় ১২শ ভেড়া ও অন্যান্য প্রাণি ছিল। দক্ষিণাঞ্চলেও বছর যুড়ে যত পশু জবাই হয়, তার অর্ধেকই হয়ে থাকে ঈদ উল আজহার সময়ে। অধিদপ্তরের মতে দেশ প্রতিবছর সোয়া দুকোটি পশু জবাই হলেও গত বছর তা আরো কিছুটা বৃদ্ধি পায়। দেশ ইতোমধ্যে গোসত উৎপাদনে সয়ম্ভরতা অর্জন করেছে। 

চলতি বছর বরিশাল বিভাগীয় প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তর থেকে সাম্প্রতিক এক জরিপে দক্ষিণাঞ্চলে কোরবানি যোগ্য প্রায় পৌনে ৩ লাখ পশুর হিসেব পেস করা হয়েছে। যদিও গত বছরের হিসেব কোরবানির প্রাক্কলন প্রায় সাড়ে ৪ লাখ। কিন্তু এবার কোরবানির সংখ্যা হ্রাস পাবার আশংকায় বেপারিরা পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলো থেকে গরু আমদানির চিন্তা করছেন না এখনো। অধিদপ্তরের সদর দপ্তর ও মন্ত্রনালয়ে পেস করা ঐ পরিসংখানে দক্ষিণাঞ্চলের ৬ জেলায় প্রায় ২০ হাজার খামারির কাছে ১ লাখ ১৩ হাজার ১১২ টি ষাড়, প্রায় ২১ হাজার ৫শ বলদ, ১৭ হাজার গাভী, ৫ হাজার ৮শ মহিষ, ৩০ হাজার ছাগল ও খাশি এবং প্রায় ৬শ ভেড়া মজুদের কথা বলা হয়েছে। এছাড়াও পারিবারিক পর্যায়ে আরো প্রায় ১০ হাজার বিভিন্ন ধরনের কোরবানিযোগ্য পশু রয়েছে এ অঞ্চলে। 

কিন্তু করোনার বিরূপ অর্থনৈতিক প্রভাবে এবার দক্ষিণাঞ্চলে কোরবানি দাতার সংখ্যা আশংকাজনক হারে হ্রাস পাচ্ছে। প্রতিবছর ঈদ উল ফিতর ও ঈদ উল আজহার আগেপড়ে অন্তত দশ লাখ করে মানুষ সড়ক, নৌ ও আকাশ পথে দক্ষিণাঞ্চলে যাতায়াত করতেন। বিগত ঈদ উল ফিতরে সে সংখ্যাটা ছিল এক লাখেরও কম। আসন্ন ঈদ উল আজহায় সংখ্যাটা আর বাড়বে কিনা তা নিয়ে সন্দিহান পরিবহন সেক্টরের সংশ্লিষ্টগন। অর্থনৈতিক সংকটের সাথে করোনা সংক্রমণের আশংকায় ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বসবাসকারী বেশীরভাগ পরিবারই কোরবানী করতে দক্ষিণাঞ্চলে মূল বসত ভিটায় আসছেন না। ফলে দক্ষিণাঞ্চলে এবার পশু কোরবানির সংখ্যাটা লক্ষণীয়ভাবেই হ্রাস পাচ্ছে।

`wÿYv‡j C` Dj AvRnvq K‡ibvi weiƒc A_©‰bwZK cÖfve

 

ewikvj ey¨‡iv/ K‡ibvi weiƒc A_©‰bwZK cÖfve µgk cÖjw¤^Z nIqvq `wÿYv‡j Gev‡ii C` Dj AvRnvq cï †Kvievwb AvksKvRbK fv‡e n«vm cvevi K_v Rvwb‡q‡Qb IqvwKevnvj gnj| d‡j G A‡ji `wi`ª Rb‡Mvôx QvovI Aa©jÿvaxK GwZgLvbv, wjjøvn †evwW©s I gv`ªvmv mgy‡n Gev‡iv GKwU eo ai‡bi `vbÑAby`vb †_‡K ewÂZ nevi AvksKv m„wó n‡q‡Q| MZeQi Pvgov wmwÛ‡K‡Ui KvimvRx‡Z GA‡ji †Kvievwb`vZvMb cïi Pvgov webv g~‡j¨B w`‡Z eva¨ nb| GgbwK H wmwÛ‡K‡Ui KvimvwR‡Z gv`ªvmv I GwZgLvbv¸‡jvI †Kvb cïi Pvgov msMÖn Ki‡Z cv‡iwb| d‡j mviv eQ‡ii cÖwZwÿZ GKwU eo Avq †_‡K ewÂZ nq Hme Øxwb cÖwZôvb¸‡jv|

ewikvj wefvMxq cÖvwY m¤ú` Awa`ßi B‡Zvg‡a¨ `wÿYv‡j †Kvievwb‡hvM¨ cïi Rwic m¤úbœ K‡i m`i `ßi mn gš¿bvjq‡K AewnZ K‡i‡Q| gš¿bvj‡qi AwZwi³ mwPe B‡Zvg‡a¨ ewikvj wefvMxq m`‡i `wÿYv‡ji 6wU †Rjv I 42wU Dc‡Rjvi cÖvwY m¤ú` Kg©KZ©v‡`i wb‡q cïi nvU mn †Kvievwbi cï RevB-Gi †ÿ‡Î ¯^v¯’¨wewa Abymi‡b m‡e©v”P mZK©Zv Aej¤^‡bi wb‡`©kbv w`‡q ‡M‡Qb| GgbwK Gevi `wÿYv‡ji cïi nvU¸‡jv‡Z ‡`o kZvaxK ‡gwW‡Kj wUgI wb‡qvM Ki‡Q cÖvwY m¤ú` Awa`ßi|

wKš‘ Gevi K‡ivbv gnvgvwi mviv †`‡ki gZ `wÿYv‡ji A_©bxwZ‡ZI weiƒc _vev ewm‡q‡Q B‡Zvg‡a¨| hvi cÖfv‡e mvavib gvby‡li cï †Kvievbx Kivi mva¨ A‡bKUvB wmwgZ n‡q covq msL¨vUv MZ eQ‡ii †P‡q cÖvq 40fvM n«vm cvevi AvksKvi K_v Rvwb‡q‡Qb IqvwKevnj gnj| GgbwK MZeQi G A‡j †h cÖvq 3k A¯’vqx cïi nvU e‡mwQj Gevi †mLv‡bI ‡Kvb BRviv`v‡ii AvMÖn jÿbxq bq| †Lv` ewikvj gnvbMix‡Z cïi nv‡Ui BRviv wb‡q AvMÖn †bB Kv‡iv| A_P weMZ w`‡b Gme n‡Ui Aby‡gv`b I BRviv wb‡q wiwZgZ KvovKvwo c‡o †hZ| PjwZeQi cÖvwYm¤ú` Awa`ßi †_‡K `wÿYv‡ji 6 †Rjvq cÖvq †cŠ‡b 3k cïinvU emvi cÖv°jb Kiv n‡jI Zv wb‡q IqvwKevnj gn‡j GLb ch©šÍ m‡›`n †lvj Avbv|

cÖvwYm¤ú` Awa`߇ii g‡Z MZ eQi C` Dj AvRnvq `w¶Yv‡ji Qq †Rjv‡Z 4 jvL 34 nvRvi cï †Kvievwb n‡qwQj| hv wQj AvkvwZZ Ges Av‡Mi eQ‡ii †P‡q AšÍZ 15% †ekx| †KvievwbK…Z Hme cïi g‡a¨ cÖvq 3 jvL lvo, 23 nvRvi Miæ I eKbv Ges 1 nvRvi gwnl QvovI cÖvq GKjvL 17 nvRvi QvMj I Lvwk mn cÖvq 12k †fov I Ab¨vb¨ cªvwY wQj| `w¶Yv‡jI eQi hy‡o hZ cï RevB nq, Zvi A‡a©KB n‡q _v‡K C` Dj AvRnvi mg‡q| Awa`߇ii g‡Z †`k cÖwZeQi †mvqv `y‡KvwU cï RevB n‡jI MZ eQi Zv Av‡iv wKQzUv e„w× cvq| ‡`k B‡Zvg‡a¨ ‡MvmZ Drcv`‡b mq¤¢iZv AR©b K‡i‡Q|

PjwZ eQi ewikvj wefvMxq cÖvwY m¤ú` Awa`ßi †_‡K mv¤úªwZK GK Rwi‡c `wÿYv‡j †Kvievwb †hvM¨ cÖvq †cŠ‡b 3 jvL cïi wn‡me ‡cm Kiv n‡q‡Q| hw`I MZ eQ‡ii wn‡me ‡Kvievwbi cÖv°jb cÖvq mv‡o 4 jvL| wKš‘ Gevi †Kvievwbi msL¨v n«vm cvevi AvksKvq †ecvwiiv cwðgv‡ji †Rjv¸‡jv †_‡K Miæ Avg`vwbi wPšÍv Ki‡Qb bv GL‡bv| Awa`߇ii m`i `ßi I gš¿bvj‡q ‡cm Kiv H cwimsLv‡b `wÿYv‡ji 6 †Rjvq cªvq 20 nvRvi Lvgvwii Kv‡Q 1 jvL 13 nvRvi 112 wU lvo, cÖvq 21 nvRvi 5k ej`, 17 nvRvi Mvfx, 5 nvRvi 8k gwnl, 30 nvRvi QvMj I Lvwk Ges cªvq 6k ‡fov gRy‡`i K_v ejv n‡q‡Q| GQvovI cvwievwiK ch©v‡q Av‡iv cÖvq 10 nvRvi wewfbœ ai‡bi †Kvievwb‡hvM¨ cï i‡q‡Q G A‡j|

wKš‘ K‡ivbvi weiƒc A_©‰bwZK cÖfv‡e Gevi `wÿYv‡j †Kvievwb `vZvi msL¨v AvksKvRbK nv‡i n«vm cv‡”Q| cÖwZeQi C` Dj wdZi I C` Dj AvRnvi Av‡Mc‡o AšÍZ `k jvL K‡i gvbyl moK, †bŠ I AvKvk c‡_ `wÿYv‡j hvZvqvZ Ki‡Zb| weMZ C` Dj wdZ‡i †m msL¨vUv wQj GK jv‡LiI Kg| Avmbœ C` Dj AvRnvq msL¨vUv Avi evo‡e wKbv Zv wb‡q mw›`nvb cwienb †m±‡ii mswkøóMb| A_©‰bwZK msK‡Ui mv‡_ K‡ivbv msµg‡Yi AvksKvq XvKv mn ‡`‡ki wewfbœ ¯’v‡b emevmKvix ‡ekxifvM cwieviB ‡Kvievbx Ki‡Z `wÿYv‡j g~j emZ wfUvq Avm‡Qb bv| d‡j `wÿYv‡j Gevi cï ‡Kvievwbi msL¨vUv jÿYxqfv‡eB n«vm cv‡”Q|



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ