Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কুড়িগ্রামে বন্যায় ভোগান্তিতে বানভাসীরা

নতুন করে ১০ গ্রাম প্লাবিত

কুড়িগ্রাম জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২১ জুলাই, ২০২০, ৯:৫৫ এএম

পানি কিছুটা কমলেও এখনও ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমার ৪২ সেন্টিমিটার, নুনখাওয়ায় বিপদসীমার ২৬ সেন্টিমিটার ও ধরলার পানি ব্রীজ পয়েন্টে বিপদসীমার ৩৫সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বইছে। নদীর পানি বিপদসীমার উপরে অবস্থান করায় টানা তিন সপ্তাহ ধরে মানুষ অবর্ণনীয় কষ্টের মধ্যে রয়েছে। এদিকে চিলমারী উপজেলার কাঁচকোল এলাকায় ভাঙ্গা রাস্তা দিয়ে বন্যার পানি প্রবেশ করে চিলমারী ও উলিপুর উপজেলার আরো ১০টি গ্রাম নতুন করে প্লাবিত করেছে। এনিয়ে জেলার ৩ লক্ষ পানিবন্দী মানুষ মানবেতর জীবন যাপন করছে। জেলার ৭৩টি ইউনিয়নের মধ্যে ৫৬টি ইউনিয়নের ৪৭৫টি গ্রাম পানির নীচে তলিয়ে আছে। লোকজন বন্যার পানির মধ্যে বাড়ির ভিতর চৌকি উঁচু করে, রাস্তায়, রেললাইন, সড়ক ও বাঁধে অবস্থান নিয়েছে। গত কয়েক দিনের বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে রৌমারীতে এলজিইডি কর্তৃক নির্মিত উপজেলা শহর রক্ষা সেমিবাঁধ ৩০ মিটার ছিঁড়ে যাওয়ায় পানিতে তলিয়ে গেছে উপজেলা পরিষদসহ রৌমারী বাজার। ফলে চরম বিপাকে রয়েছে এখানকার মানুষ। একই অবস্থা বিরাজ করছে চর রাজিবপুর উপজেলায়। বন্যায় উপজেলা পরিষদে পানি ওঠায় স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। এছাড়াও চিলমারীতে কাঁচকোল ব্রীজের কাছে রাস্তার উপর দিয়ে পানি ওঠায় চিলমারী শহরে পানি ঢুকেছে। এছাড়াও কুড়িগ্রাম পৌরসভা ও নাগেশ্বরী পৌরসভার নি¤œাঞ্চল তলিয়ে গেছে। বাড়িঘরে পানি ওঠায় লোকজন নিরাপদ আশ্রয় না পাওয়ায় মহাসড়ক, বাঁধ অথবা অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে ওইসব এলাকার পরিবারগুলো।
বন্যার পানির ¯্রােতে জেলা শহরের বড় গরুর হাট সদরের যাত্রাপুর ও ঘোগাদহ ইউনিয়নের একটি সড়কের দুটি জায়গা পানির তোড়ে ভেসে যাওয়ায় বড় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে ঈদের আগে এই হাটের বেচাকেনা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন ইজারাদার ও গরুর খামারীরা। এছাড়াও পানিতে ভেসে গেছে জেলার ২০৭৩টি পুকুরের প্রায় সাড়ে ৭ কোটি টাকার মাছ।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম জানান, উজানে প্রবল বৃষ্টির কারণে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটবে। চলতি মাসে পানি কমাবাড়া করলেও আবহাওয়া ও ফোরকাষ্টের তথ্য অনুযায়ী আগস্টে আরেকটি বন্যা হতে পারে ।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ১৭০ মেট্রিকটন জিআর চাল, ৯ লক্ষ টাকার ত্রাণ উপজেলাগুলোর মাধ্যমে বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও শিশু খাদ্য ও গবাদিপশুর জন্য ৪ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বন্যা পরিস্থিতি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ