পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনার শুরু থেকেই দেশে দেশে চলছে ওষুধ-টিকা ও ভ্যাকসিন আবিস্কার নিয়ে দিন-রাত বিজ্ঞানীদের যুদ্ধ। ব্যাপারটি অসাধ্য হলেও যেন অসম্ভব নয় তা প্রমাণ করলো বিজ্ঞানীরা। অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে চীন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, বাংলাদেশ ও ভারত এমন আরও অনেক দেশ ইতোমধ্যে তার প্রমাণ রেখেছে। আর সব অসম্ভবকে সম্ভব করে ভ্যাকসিন প্রাপ্তির সু-খবর দিলো অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীরা। গতকাল তারা বলেছে, তাদের আবিষ্কৃত ভ্যাকসিনটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে। এটি নিরাপদ। করোনা মোকাবেলায় এই ভ্যাকসিন যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করবে বলেও আশাবাদ অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীদের।
গবেষকদের একাংশ বলছে, সেপ্টেম্বরে ভ্যাকসিন আনার ব্যাপারে তারা শতভাগ নিশ্চিত। যদিও বাংলাদেশও ভ্যাকসিন আবিষ্কারে পিছিয়ে নেই। ইতোমধ্যে গ্লোব বায়োটেকের প্রি-ক্লিনিকাল ট্রায়াল বিশ্বে ব্যাপক আলোড়ন তুলেছে। এখানেই শেষ নয়; করোনা প্রতিরোধে চীনা কোম্পানির তৈরি করা ভ্যাকসিন ট্রায়ালের অনুমোদন পেয়েছে আন্তর্জাতিক উদারাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর,বি)। গত রোববার বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ সেন্টার (বিএমআরসি) এই অনুমোদন দিয়েছে। এটি হবে চীনা প্রতিষ্ঠান সিনোভ্যাক রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের উদ্ভাবিত কোভিড-১৯ টিকার তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল। আর তাই করোনাভাইরাস নিয়ে বিশ্বব্যাপি হাজারো নেতিবাচক আলোচনার মধ্যে খুশির খবর ভ্যাকসিন আবিষ্কার। গোটা বিশ্বের মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় আছে কার্যকর ভ্যাকসিনের দিকে। চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া ফেব্রুয়ারি থেকেই টিকা নিয়ে কাজ করছে। বিজ্ঞানীরা আশবাদী আগস্টেই ভ্যাকসিন বাজারে চলে আসবে। কারণ এর আগেও ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, ইনফ্লুয়েঞ্জা, রুবেলা, মিসেলস, মামস, চিকুনগুনিয়াসহ অজানা রোগকে জয় করেছে মানুষ। আর তাই করোনার ভয়াবহতাকে পেছনে ফেলে স্বাভাবিক জীবনে ফিরছে বাংলাদেশসহ বিশ্ব। তবে আগস্টে করোনার ভ্যাকসিন এলে এটিই হবে আগের যে কোন মহামারির চেয়েও দ্রæত ভ্যাকসিন আবিষ্কার।
চীনের সিনোভ্যাকের ট্রায়াল বাংলাদেশের মানুষের জন্য করোনা মোকাবিলায় আরেক ধাপ সাফল্য বয়ে আনবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সরকারের রোগতত্ত¡, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এএসএম আলমগীর ইনকিলাবকে বলেছেন, চীনের ভ্যাকসিন ট্রায়াল আমাদের জন্য অনেক লাভ। একটি অধিকার থাকবে। দ্রুততার সঙ্গে ভ্যাকসিন পেতে অগ্রাধিকার পাবো আমরা।
চীনের এই ভ্যাকসিন আবিষ্কার করলেও বাংলাদেশই যাতে প্রথম পায় সে বিষয়েও ইতোমধ্যে কথা বলে রেখেছেন বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এখানে বাংলাদেশের সুবিধা হলো- চীনের ভ্যাকসিনটি যখন বাজারে আসবে, তখন আমরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পাব। কারণ, আমরা এটার ট্রায়াল পার্টনার। স্বাস্থ্য সচিব এম এ মান্নান গতকাল বলেছেন, ভ্যাকসিন আবিষ্কৃত হলে বাংলাদেশ আগে পাবে। স্বাস্থ্য সচিব বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডবিøউএইচও) একটি নিয়ম আছে, যেসব দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় চার হাজার ডলারের নিচে, তারা ভ্যাকসিন ফ্রিতে পাবে। সেই হিসেবে আমরা ফ্রিতে পাবো। আমরা চেষ্টা করবো, বাংলাদেশ যেন আগে পায়।
যদিও ইউরোপ-আমেরিকার অনেক দেশে সীমিত পর্যায়ে ভ্যাকসিনের প্রয়োগও শুরু করেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের টিকার ইতিবাচক খবরের মধ্যে চমকপ্রদ খবর দিয়েছে রাশিয়া। দেশটির বিজ্ঞানীরা বলেছেন, তারা আগস্টের মধ্যে করোনার টিকা আনার ব্যাপারে আশাবাদী।
অক্সফোর্ড ও ম্যাডোনা ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা : করোনাভাইরাসের সম্ভাব্য ভ্যাকসিন হিসেবে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির উদ্ভাবিত ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেট। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে গবেষণায় নিয়োজিত বিজ্ঞানীরা আশার কথা শুনিয়েছেন। ফার্মাসিউটিক্যালস জায়ান্ট আস্ট্রাজেনেকার সঙ্গে ভ্যাকসিন উৎপাদনেরও চুক্তি হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে আন্তর্জাতিক মেডিক্যাল জার্নাল ল্যানসেটে প্রকাশিত হয় প্রথম ধাপের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের বিস্তারিত প্রতিবেদন। এতে বলা হয় ভ্যাকসিনটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে। এটি গ্রহণকারীদের দেহে ভাইরাসটির বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি তৈরি করতে সক্ষম। পাশাপাশি এটি নিরাপদ। অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনের ট্রায়াল শুরু হয়েছিল এপ্রিল থেকেই। প্রথম দুই পর্যায়ের ট্রায়ালের রিপোর্ট ইতিবাচক বলে জানা যাচ্ছে। ওই ট্রায়াল রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চালাচ্ছিল অক্সফোর্ড। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও বলছে, ভ্যাকসিন তৈরিতে অক্সফোর্ডই সবার থেকে এগিয়ে।
অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্রের মর্ডার্না তাদের প্রথম পর্যায়ে ভ্যাকসিন ট্রায়ালের রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ৪৫ জন প্রাপ্তবয়স্ককে ২৫ মাইক্রোগ্রাম, ১০০ মাইক্রোগ্রাম ও ২৫০ মাইক্রোগ্রাম ডোজে ২৮ দিনের ব্যবধানে ভ্যাকসিনের দুটি করে শট দেওয়া হয়। তারা এতদিন পর্যবেক্ষণে ছিলেন। দেখা গেছে, প্রত্যেকের শরীরেই আরএনএ ভাইরাসের প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে।
সিনোভ্যাকের ট্রায়াল বাংলাদেশে: আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) চীনা প্রতিষ্ঠান সিনোভ্যাকের অংশীদার হিসেবে ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালাবে। এই ভ্যাকসিনটি ২১শ’ জনের উপর প্রয়োগ করে পরীক্ষা চালানো হবে। দেশের সাতটি হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর এর পরীক্ষা চলবে। এর আগে ৭৪৩ জনের মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষা চালিয়েছিল, যাতে কোনো বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি এবং প্রতিরোধী প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। বার্ষিক ১০ কোটি ডোজ তৈরির জন্য কারখানা তৈরি করছে তারা।
তৃতীয় ধাপের ট্রায়ালে চীনা ক্যানসিনোর ভ্যাকসিন: তৃতীয় ধাপের ট্রায়ালে যাচ্ছে চীনা প্রতিষ্ঠান ক্যানসিনো বায়োলজিকস-এর করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন। এ ব্যাপারে রাশিয়া, ব্রাজিল, চিলি ও সউদী আরবের মতো দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেছে প্রতিষ্ঠানটি। টিকাটির নাম দেওয়া হয়েছে অ্যাড৫-এনকভ। গত মার্চে চীনের এ ভ্যাকসিনটির প্রথম ধাপের ট্রায়াল সম্পন্ন হয়। ইতোমধ্যে ভ্যাকসিন সেনাসদস্যদের ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে চীনের সামরিক বাহিনী। চীন ও চীনের বাইরে পরীক্ষা চালানোর পর অ্যাড৫-এনকোভ ভ্যাকসিন নিরাপদ প্রমাণিত হয়েছে।
দ্রুত শেষ টানতে চাইছে সিনোফার্ম: চীনের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সিনোফার্ম করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরির বিশ্ব প্রতিযোগিতায় এগিয়ে যেতে কর্মীদের শরীরে ‘প্রি-টেস্ট’ করছে। পরীক্ষার সরকারি অনুমোদনের আগেই সিনোফার্ম এর উর্ধ্বতন কর্মকর্তা থেকে শুরু করে নানা পর্যায়ের কর্মীর শরীরে ভ্যাকসিন দিচ্ছে। কারা আগে করোনার ভ্যাকসিন বাজারে আনতে পারে, সেই প্রতিযোগিতায় বিশেষত: যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটিশ কোম্পানিগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত চীনা কোম্পানিটি। এতে চীন বেশ শক্ত অবস্থানেই রয়েছে।
সম্ভাবনাময় সিঙ্গাপুরের ভ্যাকসিন: সিঙ্গাপুরের ডিউক-এনইউএস মেডিকেল স্কুলের গবেষকেদের একটি ভ্যাকসিন করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ার পাশাপাশি এটি রোগ নিরাময়েও ব্যবহার করা যাবে। স¤প্রতি গবেষকেরা এ দাবি করেছেন। আগস্ট মাসে এর পরীক্ষা শুরু হচ্ছে।
এগোচ্ছে সানোফির ভ্যাকসিন: অক্সফোর্ড বা মর্ডার্নার চেয়ে কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও ফরাসি ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা সানোফির তৈরি এই ভ্যাকসিনের অগ্রগতিও আশানুরূপ। একাধিক টিকা প্রস্তুত করছে তারা।
ভ্যাকসিন আনছে গ্ল্যাক্সোস্মিথ: মানুষের দেহে করোনা ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু করেছে গ্ল্যাক্সোস্মিথ। গ্ল্যাক্সোস্মিথের প্রধান মেডিকেল অফিসার থমাস ব্রিউয়ার বলেছেন, সংস্থাটি ধীরে কাজ করে একটি সঠিক ভ্যাকসিন উদ্ভাবনে বেশি বিশ্বাসী। ব্রিটেনের এই সংস্থা একটি প্রজেক্টে তারা ইতোমধ্যেই ভ্যাকসিনের ক্লিনিকাল ট্রায়ালের শেষ পর্যায়ে।
কাজে লাগতে পারে বর্তমান ভ্যাকসিন: চিকিৎসা বিজ্ঞান সংক্রান্ত সাময়িকী এমবায়োতে স¤প্রতি প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, মিজলস, মামস ও রুবেলা বা এমএমআর প্রতিরোধে যে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়, সেটা করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রেও কার্যকর হতে পারে। এদিকে মার্কিন কোম্পানি ফাইজার ও জার্মানির বায়োএনটেক করোনার সম্ভাব্য যে দুটি ভ্যাকসিন তৈরি করেছে, সেগুলোকে ‘ফাস্ট ট্র্যাক স্ট্যাটাস’ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন। এর ফলে ভ্যাকসিন দুটির রেগুলেটরি পর্যালোচনা প্রক্রিয়া দ্রুত করা হবে।
ইম্পেরিয়ালের ভ্যাকসিনে অগ্রগতি: ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনের বিজ্ঞানীরা আত্মপরিবর্ধনকারী আরএনএ প্রযুক্তির ওপর ভিত্তি করে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী ভ্যাকসিন তৈরি করছেন। ভ্যাকসিনটির ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা চলছে। পরীক্ষা সফল হলে ছয় হাজার মানুষকে নিয়ে আগামী অক্টোবরে পরবর্তী পরীক্ষার পরিকল্পনা করেছেন বিজ্ঞানীরা।
দেশে করোনা ভ্যাকসিনের ট্রায়ালের বিষয়ে প্রখ্যাত মেডিসিন বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. এবিএম আবদুল্লাহ বলেন, চীনের ভ্যাকসিনটির চ‚ড়ান্ত ধাপের ট্রায়াল আইসিডিডিআর,বিকে দেয়া হয়েছে। এটি যদি মানবদেহে কার্যকর হয়, তাহলে তো এটি উৎপাদনের পর বাংলাদেশেও সরবরাহ করা হবে। এতে আমাদের মানুষ উপকৃত হবে। তবে, কয়েকদিন গেলে এটা নিয়ে আরও ভালোভাবে আমরা বুঝতে পারব। সব মিলিয়ে এই ব্যাপারে আমি আশাবাদী উল্লেখ করেন তিনি।
ডবিøউএইচও’র দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সাবেক আঞ্চলিক উপদেষ্টা প্রফেসর ডা. মোজাহেরুল হক বলেন, আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর ভ্যাকসিনটির ট্রায়াল হবে। আমাদের সুবিধা হলো- ভ্যাকসিনটি যখন বাজারে আসবে, তখন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পাব। কারণ, আমরা এটার ট্রায়াল পার্টনার। এটাকে সলিডারিটি ট্রায়াল বলে। ফলে চীন যদি ভ্যাকসিনটি উৎপাদন করে, সেক্ষেত্রেও আমরা অগ্রাধিকার পাব। আরেকটা হতে পারে রয়্যালটি নিয়ে আমরা আমাদের দেশেই এটি উৎপাদন করতে পারি। এসব কারণে জনগণ উপকৃত হবে। যদি সফলতার সঙ্গে ট্রায়ালটি সম্পন্ন করতে পারি, তাহলে বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশের সুনামও বয়ে আসবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। সব মিলিয়ে এর সফলতায় আমি সম্পূর্ণ আশাবাদী।##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।