পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আর দিন দশেক পরই পবিত্র ঈদুল আজহা। অথচ নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার খামারগুলোতে লালন-পালন করা গরু-ছাগলের জন্য এখনও পা রাখেনি পাইকাররা। এতে খামারে লালন-পালন করা গরু-ছাগল নিয়ে চরম দুশ্চিতায় খামারিরা। এ অবস্থায় তারা ভালো দাম পাওয়া তো দূরের কথা বরং গরু-ছাগল বিক্রি নিয়েই চরম শঙ্কায় তারা। ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে ততই শঙ্কা বাড়ছে খামারিদের।
সৈয়দপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় ৭৬টি খামার রয়েছে। এ সব খামারে ৯১৯০টি গরু-ছাগল কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬৫৯৬টি গরু এবং ২৫৯৪টি ছাগল ও ভেড়া।
সৈয়দপুরের বেশ কয়েকজন খামার মালিক জানান, মূলত কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে লাভের আশায় তারা গরু-ছাগল লালন পালন করে থাকেন। খামারে লাখ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছেন। কিন্তু করোনা প্রভাবে এখন পর্যন্ত খামারে কোন পাইকারের আগমন দেখা যাচ্ছে না। অথচ প্রতি বছর ঈদুল ফিতরের পর পরই ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের গবাদিপশুর পাইকাররা এসে গরু ছাগলের দরদাম ঠিক করে টাকা বায়না দিতেন। কিন্তু এবার করোনাকালে পাইকারদের যেমন দেখা মিলছে না, তেমনি স্থানীয়দেরও আগমন হচ্ছে না। এ অবস্থায় তারা গরু-ছাগল বিক্রি নিয়ে চরম দুশ্চিন্তা ও খামারে বিনিয়োগ করা অর্থ তুলে আনা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন খামারিরা।
সৈয়দপুরের স্থানীয় গবাদি পশু খামার ব্যবসায়ীরা বলেন, এবারে তার খামারে কোরবানির জন্য দুই শতাধিক গরু লালন-পালন করেছেন। গরুর শারীরিক গঠন অনুযায়ী দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৮০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ তিন লাখ টাকা পর্যন্ত। তিনি বলেন, প্রতি বছরই রোজার ঈদের পরই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের পাইকাররা খামারে এসে গরু কিনতেন। কিন্তু এবার এখন পর্যন্ত কেউ তার সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। ফলে কিছুটা হতাশ হয়ে পড়েছেন তিনি।
উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের আদানী মোড়ের রাদিয়া ট্রেডার্সের নারী উদ্যোক্তা খামারি আফসানা ও সবুজ বাংলা খামারের মালিক আরজিনা বেগম জানান, তারা ব্যাংক ঋণ নিয়ে ১৮-২০টি গরু সারা বছর ধরে লালন-পালন করেছেন। এতে তাদের নিজেদেরও অনেক টাকা ব্যয় হয়েছে। কিন্তু তাদের খামারেও এখন পর্যন্ত কোন পাইকার আসেনি। ফলে করোনা পরিস্থিতিতে হাট-বাজারে ক্রেতা মিলবে কি-না এবং মিললেও সঠিক দাম পাওয়া যাবে কি-না এ নিয়ে চরম উৎকন্ঠায় পড়েছেন তারা।
সৈয়দপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. রাশেদুল হক বলেন, এখনও সময় আছে খামারিদের গরু-ছাগল বিক্রির। খামারিরা যাতে হাট-বাজারে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে গরু-ছাগল বিক্রি করতে পারেন এবং হয়রানির শিকার না হয় এজন্য প্রশাসনের সঙ্গে সম্মিলিতভাবে প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।