বিএনপি নেতা সাজুর তত্ত্বাবধানে বিজয় দিবস র্যালিতে বিপুল নেতাকর্মীর অংশগ্রহন
ঢাকা-১৪ আসনের বিএনপি মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ও দারুসসালাম থানা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এস
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, সরকার দিনের ভোট রাতে করেছে। মানুষের ভোটাধিকার নিয়ে জালিয়াতি করেছে। এই সরকারের সময়ে ভোট নিয়ে যদি জালিয়াতি হয় তাহলে মানুষের অসুস্থতা নিয়ে জালিয়াতি হবে না কেন? তিনি বলেন, ভোট ছাড়া রাতের অন্ধকারের সরকার ক্ষমতায় আছে বলেই সাহেদ-সাবরিনাদের উত্থান হয়েছে। আপনি দিনের ভোট রাতে নেবেন তাহলে সমাজে সাহেদ-সাবরিনার উত্থান হবে না? সোমবার (২০ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দল আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি একথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ভোট কেন্দ্রে ভোটার নেই, নির্বাচন কমিশন বলে দিল সুষ্ঠু ভোট হয়েছে এবং ৪০%, ৪৫%, ৫০%, ৬০%, ৭০% ভোট কাস্ট হয়েছে। অথচ ভোট কেন্দ্রে ভোটার নেই, চতুষ্পদ জন্তু ঘুরে বেড়াচ্ছে। সংবাদপত্র চাপের মধ্যেও, হুমকির মধ্যেও এগুলো প্রকাশ করেছে, এমনকি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোও এগুলো প্রকাশ করেছে। তাহলে এই সমাজে সাহেদদের উত্থান হবে না কেন? যারা ভোট নিয়ে জালিয়াতি করে তারা মানুষের অসুস্থতা নিয়ে জালিয়াতি করবে না কেন?
ভুয়া সার্টিফিকেটের কারণে মানুষের আস্থা নড়ে গেছে এবং সে কারণেই সাম্প্রতিক সময়ে করোনাভাইরাসের পরীক্ষা কমে গেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, মানুষ আর পরীক্ষা করাতে যাচ্ছে না। অসুস্থ না হয়েও যদি তাকে পজিটিভ সার্টিফিকেট দেওয়া হয়, তাহলে তো তার সবই শেষ। আর যে অসুস্থ আছে, যে আক্রান্ত হয়েছে, তাকে যদি দেয় নেগেটিভ সার্টিফিকেট! এই আতঙ্ক নিয়ে কেনো মানুষ হাসপাতালে যাবে? কেনো পরীক্ষা করাবে? এই কারণে করোনা পরীক্ষার সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে।
এই পরিস্থিতির জন্য সরকারকে দায়ী করে বিএনপি নেতা রিজভী বলেন, এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে অনাচার-অবিচার, রাজনৈতিক মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে ভয়ঙ্করভাবে দমন করার মধ্য দিয়ে। এই দমন করার মধ্য দিয়েই আমরা দেখেছি এই অনাচারগুলো, সমাজের মধ্যে বিশৃঙ্খলাগুলো, এই জাল-জালিয়াতি, এই বাটপারি তৈরি হয়েছে, সমাজের মধ্যে সাহেদদের উত্থান হয়েছে।
বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের সীমানায় এসে অন্য দেশের জেলেরা মাছ ধরে নিয়ে যাচ্ছে অভিযোগ করে সেজন্যও সরকারের সমালোচনা করেন রিজভী। তিনি বলেন, আমার দেশের স্বাধীনতা কোথায়? আমার মাছ আমি খেতে পারব না, অন্য দেশের লোক এসে মাছ ধরে নিয়ে যাবে। কারণ একটি দায়িত্বশীল সরকার নেই, জনগণের ম্যান্ডেট পাওয়া সরকার নেই, একটি সুষ্ঠু ভোটে নির্বাচিত সরকার নেই বলে আজকে আমার দেশের স্বাধীনতা, আমার সার্বভৌমত্ব সকল কিছু বিপন্ন হয়ে গেছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে আন্দোলন গড়ে তুলতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব।
মানববন্ধনে সংগঠনের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম মাহতাব ও সদস্য সচিব আবদুর রহিমের পরিচালনায় অন্যদের মধ্যে ওমর ফারুক, আমির হোসেন, জহিরুল ইসলাম বাশার বক্তব্য দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।