Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ফরিদপুরে সারদা সুন্দরী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিপনী বিতান নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ

ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২০ জুলাই, ২০২০, ৪:২৩ পিএম

ফরিদপুর শহরের গোয়ালচামট ভাঙ্গা রাস্তার মোড়ে অবস্থিত সারদা সুন্দরী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সম্পাদক মনির“ল ইসলাম এর বির“দ্ধে বিপনী বিতান নির্মাণে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে ফরিদপুর জেলা প্রশাসক এর নিকট অভিযোগ দাখিল করে সারদা সুন্দরী বিপনী বিতানের ভাড়াটিয়ারা। সম্প্রতি স্কুল কমিটি তৃতীয় তলা বিপনী বিতানের ভবন নির্মাণ করে নিচ তলায় অগ্রীম নেন ৬ লক্ষ টাকা, ২য় তলায় ৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা এবং তৃতীয় তলায় অগ্রীম নেন ৪ লক্ষ টাকা। কিন্তু দোকান বরাদ্দ দেওয়ার সময় কোন ভাড়া নির্ধারণ করেন নাই স্কুল ম্যানেজিং কমিটি। পরবর্তীতে স্কুলের প্রধান শিক্ষক তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী নিচ তলায় সাড়ে তিন হাজার, দ্বিতীয় তলায় আড়াই হাজার এবং তৃতীয় তলায় দেড় হাজার টাকা ভাড়া নির্ধারণ করে। যাহা বাজারের অন্যান্য মার্কেটের সাথে সামঞ্জস্যহীন। অভিযোগকারীদে পক্ষে মোঃ মেহেদী হাসান বিপনী বিতান নির্মাণের বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ এবং ১৬ ফুট লম্বা ও ১০ ফুট ৭ ইঞ্চি চওড়া দোকান দেওয়ার কথা থাকলেও তা না করে আকারে ছোটো করা হয়েছে মর্মে অভিযোগ তুলে ধরে গত ১২/৭/২০২০ইং তারিখে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক, সহকারী পরিচালক দুদক, ফরিদপুর, ফরিদপুরে পুলিশ সুপার, সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ফরিদপুর প্রেসক্লাব ফরিদপুরের বরাবরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। জেলা প্রশাসক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইটিসি) মোঃ সাইফুল কবিরকে এবং পুলিশ সুপার উপপুলিশ পরিদর্শক কামর“জ্জামানকে তদন্তের দায়িত্ব দেন। অপরদিকে মার্কেটের তৃতীয় তলায় নিয়মবর্হিভূতভাবে বিল বোর্ড নির্মাণ করেছেন যা কোন দুর্ঘটনা ঘটলে ভেঙ্গে পড়ে মানুষের ক্ষয়ক্ষতিসহ প্রাণনাশের ঝঁুকি রয়েছে। প্রথমবারের দোকান বরাদ্দ বাতিল করে পুনরায় দোকান বরাদ্দের আবেদন করে স্কুল ম্যানেজিং কমিটি। এতে জনগনের প্রশ্ন উঠেছে কেন প্রথমবারের দোকান বরাদ্দ বাতিল করা হলো। কার ইশারায় দ্বিতীয়বার দোকান বরাদ্দ দেওয়া হলো। তদন্ত করলে বেড়িয়ে আসবে দুর্নীতিবাজদের আসল পরিচয়।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইটিসি) মোঃ সাইফুল কবির বলেন, আমাকে সারদা সুন্দরী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের বিপনী বিতান নির্মানের অনিয়মের বিষয়ে অভিযোগের তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছে জেলা প্রশাসক। আমি অভিযোগকারী এবং স্কুল কর্তৃপক্ষ উভয়কে আলাদাভাবে ডেকে তাদের বক্তব্য শুনেছি। বিষয়টি তদন্তনাধীন আছে। পরবতর্ীতে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
ফরিদপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও সারদা সুন্দরী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মির্জা জাকির হোসেন বলেন, আমি প্রথমে দোকান বরদ্দের কমিটিতে ছিলাম, পরবতর্ীতে অনিয়মের আচ পেয়ে আমি কমিটিতে থেকে সরে এসেছি। তবে বিপনী বিতানের ভাড়া অস্বাভাবিক করা হয়েছে বলে আমার মনে হয়েছে।
এ বিষয়ে সারদা সুন্দরী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের আজীবন দাতা সদস্য ডাঃ অহিদুজ্জামান অহিদ বলেন, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি নিয়ম মাফিক বিপনী বিতান তৈরী করেছেন এতে কোন দুর্নীতি বা অনিয়ম হয় নাই।
এ বিষয়ে পুলিশ সুপার উপপুলিশ পরিদর্শক কামরুজ্জামান জানান, আমি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত শেষে পুলিশ সুপার বরাবরে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।

সারদী সুন্দরী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সম্পাদক মনির“ল ইসলামকে বিপণী বিতান নির্মানে অনিয়ম ও দূর্নীতি অভিযোগে তার মুঠোফোন এ ফোন করে জিঙ্গাসা করলে তিনি জানান, বিপনী বিতান নির্মনে কোনো দূর্নীতি ও অনিয়ম হয়নি। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ততকালীন জেলা প্রশাসকের নির্দেশে প্রথম বারের বরাদ্দ বাতিল করে দ্বিতীয় বারের,মতো বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ