Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

উপসর্গে মৃত ৫

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২০ জুলাই, ২০২০, ১২:০২ এএম

করোনা উপসর্গ সর্দি, জ্বর, কাশি, গলাব্যথা ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে সারা দেশে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে এদের কারো শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ছিল কিনা তা নিশ্চিত নয় বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
যশোর ব্যুরো জানায়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেণ্টারে গতকাল ঘোষিত করোনার টেস্টের ফলাফলে নতুন আরো ৫৬ জনের কোভিড-১৯ পজেটিভ রিপোর্ট পাওয়া গেছে। যবিপ্রবি সূত্র জানায়, যশোরের ৯৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩১ জনের, মাগুরার ২২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৯ জনের ও সাতক্ষীরার ৭৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৬ জনের নমুনাতে কোভিড-১৯ পজেটিভ পাওয়া গেছে। অর্থাৎ যবিপ্রবির ল্যাবে মোট ১৯২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৫৬ জনের করোনা পজেটিভ এবং ১৩৬ জনের নেগেটিভ ফলাফল হয়।
বরিশাল ব্যুরো জানায়, দক্ষিণাঞ্চলে করোনা সংক্রমণ আগের দিনের চেয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩২ জন কমলেও আক্রান্তের হিসেবে তা ছিল এ মাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এসময়ে পটুয়াখালী, পিরোজপুর ও বরগুনার পরিস্থিতি ছিল উদ্বেগজনক। আগের দিন এ অঞ্চলে আক্রান্তের সংখ্যা ১৬২ থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩০-এ হ্রাস পেয়েছে। ফলে দক্ষিণাঞ্চলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাড়াল ৪ হাজার ৮০১ জন। সাথে ৯৫ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। যার মধ্যে চলতি মাসের প্রথম ১৯ দিনেই ১ হাজার ৭৮১ আক্রান্ত ও ৩৩জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে রবিবার দুপুরের পূর্ববর্তি ২৪ ঘণ্টায় আরো ১৪৭ জন সহ মোট সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২ হাজার ৩৮১জন। আর নতুন ১৪৭ জনসহ এ অঞ্চলে মোট ২ হাজার ৩৮১ জনের সুস্থ হয়ে ওঠার কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় পটুয়াখালীতে আক্রান্তের সংখ্যা আগের দিনের ৪০ থেকে ৪৪ জনে উন্নীত হয়েছে। ফলে জেলাটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৭৮-এ। এপর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২৫জনের। গত মাসের শেষভাগ থেকেই পটুয়াখালীতে প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। জেলাটিতে মোট আক্রান্ত ৮৫৮ জনের মধ্যে চলতি মাসের ১৯ দিনেই ৩৩৭ জন আক্রান্ত হয়েছে। এসময়ে মৃত্যু হয়েছে আরো ৫জনের। পটুয়াখালীর বাউফল ও গলাচিপার অবস্থা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ। তবে জেলাটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ৩৫ জনসহ ৩৭৮ জন সুস্থ হয়ে উঠেছে বলে স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে।
পিরোজপুরেও প্রতিদিন কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। শনিবার দুপুরের পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় আরো ৩৪ জন আক্রান্ত হয়েছে জেলাটিতে। তবে আগের দিন সংখ্যাটা ছিল ৩৮। এপর্যন্ত মোট আক্রান্ত ৫১৫, মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের। এরমধ্যে গত ৫ দিনেই জেলাটিতে প্রায় ১১০ জন আক্রান্ত হয়েছে। এসময়ে মৃত্যুও হয়েছে এক জনের। বরগুনা জেলার অবস্থাও নতুন করে অবনতি হয়েছে। জেলাটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ২৫ জন করোনা সংক্রমিত হয়েছে। এনিয়ে জেলাটিতে ৯ জনের মৃত্যু ও ৪৯১ জন আক্রান্ত হল। জেলাটিতে গত এক সপ্তাহের মধ্যে গতকাল সংক্রমণই ছিল সর্বোচ্চ। তবে এদিন নতুন ৫ জন সহ মোট ২৫৯ জনের সুস্থ হয়ে ওঠার কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
অপরদিকে ভোলাতে আগের দিনের ২১ জন থেকে গতকাল আক্রান্তের সংখ্যাটা একজনে নেমে এসেছে। কোন মৃত্যুও ছিলনা। এ নিয়ে জেলাটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৪৪। মৃতের সংখ্যা পাঁচ। এ জেলায় গতকাল নতুন ২৮ জন সহ মোট ৩০৮ জনের সুস্থ হয়ে ওঠার কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
এদিকে বরিশালে নতুন আক্রান্তের সংখ্যাটা আগের দিনের ৩৭ থেকে গতকাল ২০ জনে হ্রাস পেলেও জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১০৬। মৃত্যুও হয়েছে রেকর্র্ড সংখ্যক, ৩৬ জন। গতকাল নতুন করে ৬৭ জন সহ জেলাটিতে মোট ১ হাজার পাঁচ জন সুস্থ হয়ে উঠেছে। তবে জেলাটিতে মোট আক্রান্তের সিংহভাগই এখনো বরিশাল মহানগরীতে। এনগরীতে স্বাস্থ্য বিধি সম্পর্কে এখন আর কারো কোন আগ্রহ নেই।
ঝালকাঠীতে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ১জন বেড়ে আগের দিনের পাঁচ থেকে ৬ হয়েছে। ফলে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখা ৩৮৭ হলেও মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। গত দুদিন এ জেলায় কারো সুস্থতার খবর দিতে পারেনি স্বাস্থ্য বিভাগ।
এদিকে বরিশাল শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে গত২৪ ঘণ্টায় নতুন কোন রোগী ভর্তি না হলেও এসময়ে ৯ জনকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। ফলে বর্তমানে ৪৪ জন কোভিড-১৯ রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে। অপরদিকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে এসময়ে নতুন ২০ জনকে ভর্তি করা হলেও সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র পেয়েছেন আরো ৮ জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন ৫৪ জন। এনিয়ে হাসপাতালটির এ দুটি ওয়ার্ডে ভর্তিকৃত ১ হাজার ৬জন রোগীর মধ্যে ৭৬৯ জন ছাড়পত্র পেল। মৃত্যু হয়েছে ১৩৯ জনের।
রাজশাহী ব্যুরো জানায়, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গত শনিবার রাতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত দুই রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া করোনার উপসর্গ নিয়ে আরও একজন মারা গেছেন। করোনায় মারা যাওয়া দুইজন হলেন- চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার টিকারপাড়া গ্রামের কাজী আতাউর রহমান (৫৩) এবং পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার রহিমপুর গ্রামের জোহরা খাতুন (৭০)। আর করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম আবদুস সাত্তর খান (৭৩)। তিনি বিদ্যুৎ বিভাগের একজন অবসরপ্রাপ্ত প্রকৌশলী। তার বাড়ি গাজীপুর। তবে ছেলের সঙ্গে তিনি রাজশাহী শহরে থাকতেন।
মৃত আতাউর রহমানের ছেলে মুসফিকুর রহমান কাজল জানান, গত ৫ জুলাই তার বাবার করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছিল। মৃত জোহরা খাতুনের ছেলে জাহিদুল ইসলাম জানান, গত শুক্রবার তার বাবার নমুনায় করোনা শনাক্ত হয়েছিল। আর মৃত আবদুস সাত্তার খানের ছেলে সারজিল খান জানান, শনিবার সকালে তার বাবার নমুনা নেয়া হয়েছে। কিন্তু নমুনা পরীক্ষার আগেই তিনি মারা গেছেন।
রামেক হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস জানান, তিনজনই শনিবার রাতে মারা যান। মৃত্যুর পর বিষয়টি কোয়াণ্টাম ফাউন্ডেশনকে অবহিত করা হয়। গতকাল সকালে কোয়াণ্টাম ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবকরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিজ নিজ গ্রামে নিয়ে গিয়ে লাশ দাফনের ব্যবস্থা করেছে।
এদিকে, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. গোপেন্দ্রনাথ আচার্য্য গতকাল দুপুরে জানান, রাজশাহী অঞ্চলে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার ছুঁই ছুঁই করছে। বিভাগের আট জেলায় এখন মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৯ হাজার ৯৮৯ জন। তিনি জানান, রাজশাহী বিভাগে সর্বোচ্চ ৪ হাজার ১২০ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন বগুড়া জেলায়। এছাড়া রাজশাহীতে ২ হাজার ১০৮ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২৯১, নওগাঁয় ৭৭৯, নাটোরে ৩৫০, জয়পুরহাটে ৬২৭, সিরাজগঞ্জে ১ হাজার ৪৩ জন এবং পাবনায় ৬৭১ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন।
বিভাগে এ পর্যন্ত মারা গেছেন ১২৯ জন। এর মধ্যে শনিবার জয়পুরহাটে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ দিন বগুড়ারও একজন মারা গেছেন। বগুড়ায় এখন মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৭৯ জন। এছাড়া রাজশাহীতে ১৭, নওগাঁয় ১২, নাটোরে ১, সিরাজগঞ্জে ১০ এবং পাবনায় ৯ জন করে মারা গেছেন।
স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, শনিবার রাজশাহী বিভাগে নতুন ১৭৪ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ৬৯ জন করে শনাক্ত হয়েছেন রাজশাহী ও বগুড়ায়। এর বাইরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৫ জন, নাটোরে ১০ জন, জয়পুরহাটে ২ জন এবং সিরাজগঞ্জে ১৯ জন শনাক্ত হয়েছেন।
এ দিন করোনামুক্ত হয়েছেন ২৩৫ জন। এর মধ্যে ১১৯ জনের বাড়ি রাজশাহী। এছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জের ২৩ জন, নওগাঁর ২০ জন, জয়পুরহাটের ৩ জন, বগুড়ার ৪১ জন, সিরাজগঞ্জের ১১ জন এবং পাবনার ১৮ জন সুস্থ হয়েছেন। গোটা বিভাগে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৪ হাজার ৩০৯ জন। এর মধ্যে রাজশাহীর ৭২১ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ১২০ জন, নওগাঁর ৫৫৮ জন, নাটোরের ১১৫ জন, জয়পুরহাটের ১৮৮ জন, বগুড়ার ২ হাজার ১০৬ জন, সিরাজগঞ্জের ২১৮ জন এবং পাবনার ২৮৩ জন করোনামুক্ত হয়েছেন। রাজশাহী বিভাগে এখন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ১ হাজার ২৮ জন কোভিড-১৯ রোগী।
খুলনা ব্যুরো জানায়, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের ছোবলে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন খুলনার শীর্ষ শিল্পপতি শেখ মজনু (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি মাহবুব ব্রাদার্স রিয়েল এ্যাস্টেট ও আকাংখা ডেভেলপার্সের চেয়ারম্যান ছিলেন।
গতকাল দুপুরে তিনি ঢাকার একটি বেসরকাররী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এর আগে প্রায় এক সপ্তাহ আগে তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন।
বগুড়া ব্যুরো জানায়, বগুড়ায় করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ছেই। গতকাল বগুড়া স্বাস্থ্য বিভাগের নিয়মিত ব্রিফিং এ সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ফারজানুল ইসলাম জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। ফলে জেলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৯ জন। একই সময়ে বগুড়ার সরকারি শজিমেক মেডিকেল ও বেসরকারি পিসিআর টিএমসি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবের পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন ৬৯ জন। ফলে এজেলায় করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ১২০ জন ।
স্টাফ রিপোর্টার নারায়ণগঞ্জ থেকে জানান, নারায়ণগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে মারা গেছেন মোট ১২৪ জন। মারা যাওয়া নারী (৫৭) সোনারগাঁয়ের রামগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা। অন্যদিকে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ২২ জন। জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫ হাজার ৫৭৪১ জন।
স্টাফ রিপোর্টার, চাঁদপুর থেকে জানান, চাঁদপুর আরো ৪জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। জেলায় এ নিয়ে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ১ হাজার ৪৬১জন। এর মধ্যে মৃতের সংখ্যা ৬৮জন।
নতুন আক্রান্তদের মধ্যে চাঁদপুর সদরে ৩জন ও মতলব উত্তরে ১জন। চাঁদপুর সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, গতকাল দুপুর ৩০টি রিপোর্ট আসে। এর মধ্যে ৪টি পজেটিভ। ২৬টি নেগেটিভ।
জেলায় ১ হাজার ৪৬১জন করোনা আক্রান্ত রোগীর উপজেলাভিত্তিক পরিসংখ্যান হচ্ছে; চাঁদপুর সদরে ৫৫১জন, মতলব দক্ষিণে ১৬৬জন, শাহরাস্তিতে ১৪৯জন, হাজীগঞ্জে ১৪১জন, ফরিদগঞ্জে ১৭৩জন, হাইমচরে ১১২জন, কচুয়ায় ৬৪জন এবং মতলব উত্তরে ১০৫জন। চাঁদপুর জেলায় করোনায় মৃত ৬৮জনের মধ্যে চাঁদপুর সদরে ২০, হাজীগঞ্জে ১৭, ফরিদগঞ্জে ৯, কচুয়ায় ৫, মতলব উত্তরে ৮, শাহরাস্তিতে ৫ জন, মতলব দক্ষিণে ৩ এবং হাইমচরে ১জন।
গোপালগঞ্জ থেকে স্টাফ রিপোর্টার জানান, গোপালগঞ্জে করোনায় আক্রান্তের সাংখ্যা ১ হাজার ২ শ’ ছাড়িয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১৮ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। গোপালগঞ্জে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২০৬ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় ২০ জন সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৮০১ জন। জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৩৮০ জন । গোপালগঞ্জ সদর, কোটালীপাড়া মুকসুদপুর, কাশিয়ানী ও টুঙ্গিপাড়ায় মারা গেছেন ২৪ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় গোপালগঞ্জ জেলা থেকে করোনা পরীক্ষা করার জন্য ৩৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করে ফরিদপুরে পাঠানো হয়েছিলো। এর মধ্যে নতুন করে ১৮ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। গতকাল সকালে গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ এ তথ্য জানান।
তিনি আরো জানান, নতুন করে গত ২৪ ঘণ্টায় গোপালগঞ্জ সদরে ১০ জন, কোটালীপাড়ায় ৬ জন ও মুকসুদপুরে ২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সিভিল সার্জন জানান, আক্রান্তদের বসতবাড়িসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি বাড়িঘর লকডাউন করা হয়েছে। সেই সাথে আক্রান্তদের পরিবারের সদস্যদের হোম কোয়ারেণ্টিনে থাকার পারমর্শ দেয়া হয়েছে।
তিনি আরো জানান, এ পর্যন্ত ৬ হাজার ৬০৮ টি নমূনা পরীক্ষা করা হয়েছে।এর মধ্যে মুকসুদপুরে ২২৮ জন, কাশিয়ানীতে ২১৩ জন, গোপালগঞ্জ সদরে ৩৮৭ জন, টুঙ্গিপাড়ায় ১৯৩ জন ও কোটালীপাড়া উপজেলায় ১৮৫ জনের দেহে করোনা সনাক্ত হয়েছে।
পঞ্চগড় জেলা সংবাদদাতা জানান, পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় করোনা উপসর্গ নিয়ে মিজানুর রহমান (৫৫) নামে এক পান দোকানদারের মৃত্যু হয়েছে। সে ওই এলাকার সজিরউদ্দিন এর ছেলে। গত শনিবার রাত ৯টার দিকে বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত মিজানুরের বাড়ি বোদা পৌরসভার সাতখামার এলাকায়।
এদিকে, পঞ্চগড় জেলায় করোনায় একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত হয়েছে ১৬ জন। গত শনিবার রাতে স্বাস্থ্য বিভাগের সর্বশেষ আপডেটে এ তথ্য জানানো হয়েছে। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে বোদা উপজেলায় ১০ জন, দেবীগঞ্জে তিন জন, সদরে দুইজন ও তেঁতুলিয়ায় একজন। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২১১ জনে। আর ইতোমধ্যে সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন ১৪৪ জন। চিকিৎসাধীন আছেন ৬৩ জন। এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন চার জন।
ঈশ্বরদী উপজেলা সংবাদদাতা জানান, ঈশ্বরদীতে নতুন করে আরও ১৪ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিহাব রায়হান এর সহধর্মীনি কামরুন্নাহার, ঈশ্বরদী মহিলা কলেজের সাবেক প্রিন্সিপাল আফরোজা বেগম ও তার স্বামী পিজিসিবির সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান মধু রয়েছেন। বাকিরা বিভিন্ন স্তরের শ্রমিক কর্মচারী ও সাধারণ মানুষ।
নাটোর : নাটোরে করোনার উপসর্গ থাকায় চিকিৎসা না পেয়ে এক মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মৃত আব্বাস আলী গাজী (৭৮) সদর উপজেলার আগদিঘা কাটাখালি গ্রামের বাসিন্দা।
সিরাজগঞ্জ : সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার রাণীগ্রামে করোনার উপসর্গ নিয়ে আব্দুল কুদ্দুস (৮৫ ) চিকু নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। গত শনিবার সন্ধ্যায় নিজ বাড়িতে তিনি মারা যান।
পটুয়াখালী জেলা সংবাদদাতা জানান, করোনার উপসর্গ নিয়ে গতকাল সকালে পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক নারী মারা গেছেন। তার বয়স ৫০ বছর। তিনি পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলা শহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা এবং উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের সাবেক মহিলা ইউপি সদস্য ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ