পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভার্চুয়াল নয়- ভার্চুয়াল পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা স্বরূপ শারীরিকভাবে উপস্থিত হয়েও বিচারিক আদালতে দেওয়ানি মামলার শুনানি করা যাবে। এ বিষয়ে নতুন আদেশ জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। ভার্চুয়াল আদালত চালুর পর এই প্রথম সশরীর উপস্থিতিতে বিচার কার্যক্রম পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিলো আদালত কর্তৃপক্ষ।
সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর গতকাল শনিবার এ বিষয়ে আদেশ জারি করেন। আদেশ অনুযায়ী শারীরিক উপস্থিতির মাধ্যমে শুধুমাত্র দেওয়ানি মোকদ্দমা, এ সংক্রান্ত জরুরি দরখাস্ত এবং সাকসেশন (উত্তরাধিকার ঘোষণা) মোকদ্দমার শুনানি ও নিষ্পত্তি হবে।
আদেশে বলা হয়, প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র বিচারপতিদের সঙ্গে আলোচনাক্রমে এই মর্মে সিদ্ধান্ত নেন। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, স্বাস্থ্য অধিদফতর কর্তৃক জারিকৃত স্বাস্থ্যবিধি এবং শারীরিক ও সামাজিক দূরত্ব কঠোরভাবে অনুসরণ করে অধস্তন আদালতে শুধু দেওয়ানি মামলায় জরুরি দরখাস্তসমূহ এবং সাকসেশন মামলা শুনানি ও নিষ্পত্তি করা যাবে। এ বিষযে বিচারকগণ তাদের এজলাস কক্ষে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনসহ সামাজিক দূরত্ব বজায় নিশ্চিতকরণে প্রয়োজনীয় পদ্ধতি নির্ধারণ করবেন। শুনানি সংক্রান্ত পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন।
সংশ্লিষ্ট বিচারক সাকসেশন মামলাসমূহ স্বাস্থ্যবিধি প্রতি পালনপূর্বক সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব বজায় নিশ্চিত করে প্রয়োজনীয় সাক্ষ্য গ্রহণ চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি করবেন। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট আদালত সাকসেশন মামলা শুনানির জন্য প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করে শুনানি সম্পন্ন করবেন। মামলা শুনানি ও নিষ্পত্তির পদ্ধতি ও সময়সূচি এমনভাবে নির্ধারণ ও সমন্বয় করতে হবে যাতে আদালত প্রাঙ্গণে ও ভবনে ঝুঁকিপূর্ণ জনসমাগম না ঘটে।
আদালত প্রাঙ্গণ ও এজলাস কক্ষে প্রত্যেককে কমপক্ষে ৬ ফুট দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে। সব ধরনের জনসমাগম পরিহার করতে হবে। এজলাস কক্ষে একত্রে ৬ জনের বেশি মানুষের সমাগম করা যাবে না। শুনানিতে মামলার পক্ষসমূহের উপস্থিতির আইনগত আবশ্যকতা না থাকলে এজলাস কক্ষে শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট মামলায় উভয়পক্ষে নিযুক্ত আইনজীবী উপস্থিত থাকবেন। এজলাস কক্ষে প্রত্যেককে আবশ্যিকভাবে মুখাবরণ (ফেস মাস্ক) পরিহিত অবস্থায় থাকতে হবে। আদালতে প্রবেশের সময় প্রত্যেকের শারীরিক তাপমাত্রা পরীক্ষা করার ব্যবস্থা নেয়া আবশ্যক।
এজলাসে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনসহ শারীরিক দূরত্ব কঠোরভাবে বজায় নিশ্চিত করণার্থে তাৎক্ষণিক উদ্ভূত যেকোনো পরিস্থিতি বিবেচনায় বিচারক শুনানি করা থেকে বিরত থাকাসহ প্রয়োজনীয় আনুষঙ্গিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, গত ২৫ মার্চের পর থেকে করোনা বিবেচনায় দেশের অধস্তন আদালতে মামলা দায়েরের বন্ধ রেখেছিল সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। পরে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে সীমিত পরিসরে বিচার কার্যক্রম চালু করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।