পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনায় বিদ্যমান শ্রমবাজারের সংকট নিয়ে তিনটি সুপারিশ করেছেন বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হান। প্রথম সুপারিশটি হলো, একটি কর্মসংস্থান কমিশন গঠন। ওই কমিশন বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করবে। অপর দুটি সুপারিশ হলো- সামাজিক নিরাপত্তা কর্মস‚চি ঢেলে সাজানো এবং অর্থনৈতিক কার্যক্রম পুনরুজ্জীবিত করা। গতকাল শনিবার বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) আয়োজিত কর্মসংস্থান নিয়ে এক ওয়েবিনারে তিনি এই তিনটি সুপারিশ করেন। ওই ওয়েবিনারে অর্থনীতিবিদ ও গবেষকেরা অংশ নেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সানেমের গবেষণা পরিচালক সায়েমা হক।
আলোচনায় অংশ নিয়ে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইন্সস্টিউিটটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনুসর বলেন, কোভিড পরিস্থিতিতে কর্মসংস্থানের চ্যালেঞ্জ ও করণীয় নির্নয়ের জন্য পর্যাপ্ত তথ্য উপাত্ত নেই। কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে বড় উদ্বেগ হলো- করোনা পরবর্তী বিনিয়োগ পরিবেশ স্বাভাবিক না হলে বেসরকারি বিনিয়োগ আসবে না। তাই সরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা উচিত। যদিও রাজস্ব আদায় কাঙ্খিত হারে হচ্ছে না, তাই সরকারি বিনিয়োগেও সাধ্য কম। তিনি মনে করেন, কোভিড পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বেশির লোক তার কাজ ফিরে পাবে।
সানেমের চেয়ারম্যান্য বজলুল হক খন্দকার বলেন, শ্রমবাজারের সঠিক তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ অপারিহার্য। এ জন্য তিনি বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোকে (বিবিএস) শক্তিশালী করতে হবে।
ব্র্যাক ইন্সস্টিটিউট অব গভর্নেন্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (বিআইজিডি) নির্বাহী পরিচালক ইমরান মতিন বলেন, আগামী তিন মাস সবচেয়ে বেশি গুরত্বপ‚র্ণ। অর্থনীতি খুলতে শুরু করছে। শ্রমবাজার কি ধরনের আচরণ করে- সেটাই দেখার বিষয়।
আন্তর্জাতিক শ্রমসংস্থা (আইএলও) কান্ট্রি ডিরেক্টর টুমো পওতিয়ানেন বলেন, করোনাসংকটে শ্রমবাজার উন্নয়নে সরকারি বেসরকারি- সব প্রতিষ্ঠানের এগিয়ে আসা উচিত। সরকারের কেনাকাটায় শ্রমঘন বিষয়টি প্রাধান্য দিলে অনেক কর্মসংস্থান হবে। এ ছাড়া গ্রামের অতিক্ষুদ্র-ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্পকে সহায়তা দিলে বেশি কর্মসংস্থান হবে।
ওয়েবিনারে অংশ গ্রহণকারী অন্যান্য বক্তারা বলেন, করোনা পরিস্থিতি শ্রমবাজারের উপর বাড়তি চাপ সৃস্টি করছে। শহর-গ্রাম নির্বিশেষে প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বা আংশিক খোলায় অনেক লোক বেকার হয়েছেন। আবার বহু লোক গ্রামে চলে গেছেন, ফলে গ্রামীণ শ্রমবাজারেও তা প্রভাব ফেলছে। শ্রমবাজারের চলমান সংকট মোকাবিলার বিষয়টি সরকারের প্রণোদনার অর্থ সঠিকভাবে ব্যবহারের উপর নির্ভর করছে। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।