Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

উপসর্গে মৃত্যু ৯

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৮ জুলাই, ২০২০, ১২:০০ এএম

করোনা উপসর্গ সর্দি, জ্বর, কাশি, গলাব্যথা ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে সারা দেশে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে এদের কারো শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ছিল কিনা তা নিশ্চিত নয় বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
যশোর ব্যুরো জানায়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেণ্টারে গতকাল ঘোষিত করোনার টেস্টের ফলাফলে আরো ৫৬ জনের কোভিড-১৯ পজেটিভ রিপোর্ট পাওয়া গেছে। যবিপ্রবির জনসংযোগ কর্মকর্তা আব্দুর রশীদ অর্ণব দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, যশোরের ৫১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৬ জনের, মাগুরার ৫২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২২ জনের ও সাতক্ষীরার ৪৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৮ জনের নমুনাতে কোভিড-১৯ পজেটিভ পাওয়া গেছে। অর্থাৎ যবিপ্রবির ল্যাবে মোট ১৪৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৫৬ জনের করোনা পজেটিভ এবং ৯২ জনের নেগেটিভ ফলাফল এসেছে।
রাজশাহী ব্যুরো জানায়, রাজশাহী বিভাগের আট জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ১৮৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বগুড়ায় দুইজন ও নওগাঁয় একজন মোট তিনজন করোনা আক্রান্ত রোগী মারা গেছেন। একই সময় সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন ৩৬০ জন।
গতকাল গতকাল সকাল পর্যন্ত রাজশাহী বিভাগে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৪৭৪ জনে। এ বিভাগে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ১২২ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৪০২৩ জন। দুপুরে এক প্রতিবেদনে রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তারের পরিচালক ডা. গোপেন্দ্র নাথ আচার্য্য এ তথ্য জানান।
ডা. গোপেন্দ্র নাথ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন শনাক্তের মধ্যে রাজশাহীর ৫৩ জন, চাঁপাইনবাগঞ্জের ১৪ জন, নওগাঁর ৩ জন, নাটোরের ২১ জন, বগুড়ায় ৫৭ জন, সিরাজগঞ্জে ৩৪ জন ও পাবনায় ১ জন।
তিনি জানান, রাজশাহী বিভাগে আক্রান্তদের মধ্যে সর্বোচ্চ বগুড়ায় ৩৯৮০ জন। এছাড়াও মহানগরীতে ১৫৪৯ জনসহ রাজশাহী জেলায় ১৯৭৪ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২৪১ জন, নওগাঁয় ৭৪০ জন, নাটোরে ৩২৭ জন, জয়পুরহাটে ৫৯৮ জন, সিরাজগঞ্জে ৯৮৬ জন ও পাবনায় ৬২৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তিনি বলেন, সরকারি হিসেবে এ পর্যন্ত বিভাগের আট জেলার মধ্যে ছয় জেলায় মৃতের সংখ্যা ১২২ জন। এর মধ্যে রাজশাহীতে ১৫ জন, নওগাঁয় ১২ জন, নাটোরে একজন, বগুড়ায় ৭৫ জন, সিরাজগঞ্জে ১০ জন ও পাবনায় নয়জনের মৃত্যু হয়েছে করোনাভাইরাসে। সরকারি হিসেবে এখনো জয়পুরহাট ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে কোন করোনা আক্রান্ত রোগী মারা যায়নি। এ পর্যন্ত রাজশাহী বিভাগে সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন ৪০২৩ জন করোনা আক্রান্ত রোগি। এর মধ্যে রাজশাহীর ৬০২, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৯৭ জন, নওগাঁয় ৫৩১ জন, নাটোরে ১১৫ জন, জয়পুরহাট ১৮৫ জন, বগুড়ায় ২০৩১ জন, সিরাজগঞ্জ ২০৩ জন ও পাবনায় ২৫৯ জন।
বগুড়া ব্যুরো জানান, বগুড়ায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরও ৩ জনের মৃত্যুর প্রেক্ষিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৭ জন। অবশ্য গতকাল দেওয়া বগুড়ার স্বাস্থ্য বিভাগের অনলাইন ব্রিফিং এ দু’জনের মৃত্যুর কথা স্বীকার করা হয়েছে। মৃত ৩ জনের একজন হলেন অবসর প্রাপÍ রেল কর্মকর্তা বগুড়ার শেরপুর পৌরসভার উলিপুর নিবাসী মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম (৬৭)। তার স্বজনরা জানিয়েছেন, করোনায় আক্রান্ত হয়ে তিনি বগুড়ার টিএমএসএস মেডিকেলের করোনা ইউনিটে চিকিৎসা নেন। এরপর বাড়িতে ফিরে আসলে গত বৃহস্পতিবার রাতে তার মৃত্যু হয়। উপজেলা প্রশাসন এই মৃত্যুর কথা স্বীকার করেছে । এছাড়া বগুড়া শহরের খান্দার এলাকার ব্যবসায়ী ইমতাজ (৬০) ও জ¦লেশ^রীতলা এলাকার আব্দুল হান্নান (৫৫) বৃহষ্পতিবার টিএমএসএস মেডিকেলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান । টিএমএসএস মেডিকেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রহিম এই দুটি মৃত্যুর কথা স্বীকার করেছেন। এদিকে নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিং এ বগুড়ার স্বাস্থ বিভাগের পক্ষে ডেপুটি সিভিল সার্জন মুস্তাফিজুর রহমান তুহিন জানিয়েছেন করোনা পরীক্ষায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ৫৭ জন পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে।
স্টাফ রিপোর্টার, কুষ্টিয়া থেকে জানান, কুষ্টিয়ায় করোনা আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় তিনজন মারা গেছেন। এদের মধ্যে একজন চিকিৎসক ও একজন কলেজের অধ্যাপক রয়েছেন। অপরজন আদালতের আইনজীবীর সহকারী। এ নিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন ২৪ জন। এ ছাড়া করোনা উপসর্গে মারা গেছেন আরও এক কিশোর।
জেনারেল হাসপাতাল সূত্র জানায়, গত ৩ জুলাই নুর উদ্দিনের শরীরে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়। ডায়বেটিস রোগী হওয়ায় অবস্থার অবনতির আশঙ্কায় তাকে ওই দিন রাতেই ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। সেখানে তার শরীরের অবস্থা উন্নতির দিকেই যাচ্ছিল। হঠাৎ করে গতকাল বৃহস্পতিবার তাঁর অবস্থার অবনতি হতে থাকে। গতকাল রাত তিনটার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, জেলায় কোভিড আক্রান্ত হয়ে প্রথম কোনো চিকিৎসকের মৃত্যু হলো। তিনিসহ জেলায় এ পর্যন্ত ২২ জনের মৃত্যু হলো। সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, গতকাল কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে কুষ্টিয়ার ১৩৮ টি নমুনা পরীক্ষা শেষে জেলায় নতুন করে ৩৩ জনের শরীরে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়। এ নিয়ে জেলায় ১ হাজার ১০৩ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হলো। তার মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৬২০ জন। বাড়িতে আইসোলেশনে (বিচ্ছিন্ন থেকে) চিকিৎসাধীন ৪১৯ জন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৪৩ জন।
স্টাফ রিপোর্টার নারায়ণগঞ্জ থেকে জানান, নারায়ণগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৫ হাজার ৬৯৮ জনে। জেলায় নতুন করে করোনায় সদর উপজেলার আরও ১ জনের মৃত্যু হয়েছে , মোট মৃত্যু ১২৩ জনের। গতকাল (১৭ জুলাই) নারায়ণগঞ্জ সিভিল সার্জন অফিস এ তথ্য জানান।
স্টাফ রিপোর্টার, চাঁদপুর থেকে জানান, চাঁদপুর আরো ৪০ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। জেলায় এ নিয়ে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ১৪২২জন। এরমধ্যে মৃতের সংখ্যা ৬৭জন। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে চাঁদপুর সদরে ২০জন, হাইমচরে ৪ জন, মতলব দক্ষিণে ৬জন, ফরিদগঞ্জে ৫জন হাজীগঞ্জ ১জন এবং শাহরাস্তিতে ৪জন। চাঁদপুর সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, গতকাল দুপুরে ১২৪টি রিপোর্ট আসে । এর মধ্যে ৪০টি পজেটিভ। ৮৪টি নেগেটিভ। জেলায় ১৪২২জন করোনা আক্রান্ত রোগীর উপজেলাভিত্তিক পরিসংখ্যান হচ্ছে; চাঁদপুর সদরে ৫৪৪ জন, মতলব দক্ষিণে ১৬৮ জন, শাহরাস্তিতে ১৪৫ জন, হাজীগঞ্জে ১৩৫ জন, ফরিদগঞ্জে ১৭১ জন, হাইমচরে ১১০জন, কচুয়ায় ৫৯জন এবং মতলব উত্তরে ৯০ জন। চাঁদপুর জেলায় করোনায় মৃত ৬৭জনের মধ্যে চাঁদপুর সদরে ২০ জন, হাজীগঞ্জে ১৬জন, ফরিদগঞ্জে ৯জন, কচুয়ায় ৫ জন, মতলব উত্তরে ৮জন, শাহরাস্তিতে ৫জন , মতলব দক্ষিণে ৩জন এবং হাইমচরে ১জন।

স্টাফ রিপোর্টার, গোপালগঞ্জ থেকে জানান, গোপালগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ২৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। গোপালগঞ্জে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৫৮ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় ২৬ জন সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৭৪৮ জন। জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৩৮৬ জন। গোপালগঞ্জ সদর, কোটালীপাড়া মুকসুদপুর, কাশিয়ানী ও টুঙ্গিপাড়ায় মারা গেছেন ২৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় গোপালগঞ্জ জেলা থেকে করোনা পরীক্ষা করার জন্য ৭৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করে ফরিদপুরে পাঠানো হয়েছিলো। এর মধ্যে নতুন করে ২৩ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। গতকাল সকালে গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ এ তথ্য জানান।
তিনি আরো জানান, নতুন করে গত ২৪ ঘণ্টায় গোপালগঞ্জ সদরে ১১ জন, টুঙ্গিপাড়ায় ৩ জন, কোটালীপাড়ায় ৩ জন কাশিয়ানী ৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সিভিল সার্জন জানান, আক্রান্তদের বসতবাড়িসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি বাড়িঘর লকডাউন করা হয়েছে। সেই সাথে আক্রান্তদের পরিবারের সদস্যদের হোম কোয়ারেণ্টিনে থাকার পারমর্শ দেয়া হয়েছে।
সাতক্ষীরা জেলা সংবাদদাতা জানান, করোনা আক্রান্তে ও উপসর্গ নিয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অবসর প্রাপ্ত এক ব্যাংক কর্মকর্তাসহ তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল ভোর থেকে দুপুর সাড়ে ১২ টার মধ্যে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশনে তারা মারা যান।
মৃত ব্যক্তিরা হলেন, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাঁশদহা গ্রামের মৃত মহিবুর রহমানের ছেলে কৃষক বেলাল হোসেন (৫৫), শহরের পুরাতন সাতক্ষীরা এলাকার মৃত রমজান আলীর ছেলে অবসরপ্রাপ্ত অগ্রনী ব্যাংক ম্যানেজার গোলাম ইছাহাক (৯০) ও শহরের মুন্সিপাড়ার গহর আলীর ছেলে ইব্রাহীম হোসেন (৬০)।
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. রফিকুল ইসলাম জানান, গত ১২ জুলাই জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি হন কৃষক বেলাল হোসেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল ভোর চারটার দিকে তিনি মারা যান। তার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে।
এদিকে, গত ১৫ জুলাই জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি হন অবসর প্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা গোলাম ইছাহাক। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে তিনি মারা যান। গত ১৬ জুলাই তারও নমুনা সংগ্রহ করে পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হলেও রিপোর্ট এখনও পাওয়া যায়নি। অপরদিকে, গতকাল বেলা ১১ টার দিকে জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসোলেশনে ভর্তি হন শহরের মুন্সিপাড়ার ইব্রাহীম হোসেন। এরপর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মারা যাওয়ার পর তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এছাড়া, গতকাল সাতক্ষীরায় পুলিশ সদস্যসহ নতুন ১৯ জন করোনা শনাক্ত হয়েছেন।
শেরপুর জেলা সংবাদাতা জানান, শেরপুরের নতুন করে আরও ১ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এই একজন শেরপুর সদরের বাসিন্দা। এ নিয়ে জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ২৮৬ । এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২৪১ জন। মারা গেছেন ৫ জন। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাব থেকে পাঠানো প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে সিভিল সার্জন ডা. একেএম আনওয়ারুর রউফ ওইসব তথ্য জানান।
টাঙ্গাইল জেলা সংবাদদাতা জানান, টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখীপুর) আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলামসহ নতুন করে জেলায় ৫৬ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। জেলায় সর্বমোট আক্রান্ত ১০৯৮ জন।
আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়েছে ৫৯৯ জন। মারা গেছে ২১ জন। বাড়িতে ও আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন আছে ৪৫৮ জন। নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পেন্ডিং রয়েছে ১৭৮টি। টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. মো. ওয়াহিদুজ্জামান গতকাল বার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আক্রান্তদের মধ্যে টাঙ্গাইল সদর উপজেলায় ৩০, দেলদুয়ার ২, মির্জাপুর এক পুলিশ সদস্যসহ ৯, বাসাইলে ৩, কালিহাতী ২, ঘাটাইল ৩, মধুপুর ৪ ও ভূঞাপুর উপজেলায় ৩ জন।
টাঙ্গাইল সদর উপজেলায় মোট আক্রান্ত ২৮৭, এদের মধ্যে সুস্থ হয়েছে ১৪১, মারা গেছে ৫ জন এবং বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছে ১৪১ জন। নাগরপুরে মোট আক্রান্ত ৪৩ জন। মোট সুস্থ ৩৫, মারা গেছে ১ জন, বর্তমানে চিকিৎসাধীন ৫। দেলদুয়ারে মোট আক্রান্ত ৫৭, সুস্থ হয়েছে ৩১ জন, মারা গেছে ১ জন এবং বর্তমানে চিকিৎসাধীন ২৫। সখীপুরে মোট আক্রান্ত ৪৫, সুস্থ ২০, মারা গেছে ১, চিকিৎসাধীন রয়েছে ২৪জন। মির্জাপুরে মোট আক্রান্ত ৩৫১, সুস্থ ১৯৬, মারা গছে ৬ জন, চিকিৎসাধীন রয়েছে ১৪৯ জন। বাসাইলে মোট রোগী ২৩ জন, সুস্থ ১২ জন, মৃত্যু ১, চিকিৎসাধীন ১০ জন। কালিহাতী আক্রান্ত ৫১, সুস্থ ৩২, বর্তমানে চিকিৎসাধীন ১৯ জন। ঘাটাইলে আক্রান্ত ৪৪, সুস্থ ২০, মারা গেছে ২ ও বর্তমানে চিকিৎসাধীন ২২ জন। মধুপুরে আক্রান্ত ৭২, সুস্থ হয়েছে ৩১জন, মারা গেছে ১ জন, চিকিৎসাধীন ৪০জন। ভূঞাপুরে মোট আক্রান্ত ৪৬, সুস্থ ২৫, মারা গেছে ১ জন এবং বর্তমানে চিকিৎসাধীন ২০ জন। গোপালপুরে আক্রান্ত রোগী ৪৫, সুস্থ রোগী ৩২, চিকিৎসাধীন ১৩। ধনবাড়ীতে মোট আক্রান্ত ৩৪, সুস্থ হয়েছে ২২ জন, মারা গেছে ২ জন এবং চিকিৎসাধীন রয়েছে ১৭ জন। জেলায় এই নিয়ে সর্বমোট ১০৯৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে।
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. সদর উদ্দিন জানান, হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে মোট ৩২ জন ভর্তি হয়। তাদের মধ্যে ২৪ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে। বর্তমানে ৫ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বাউফল উপজেলা (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা জানান, পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় এক দিনে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক রাসেদুল হক ও গ্রামীন ব্যাংকের এরিয়া ম্যানেজার রতন কুমার মজুমদার করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। গতকাল গতকাল সকালে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
নওগাঁ : জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে ওসমানি গণি (৭২) নামের এক মুক্তিযোদ্ধা মারা গেছেন। তাঁর বাড়ি নওগাঁর মান্দা উপজেলার ভারশো ইউনিয়নে। গতকাল সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মুহাম্মদ মশিউর রহমান ওই মুক্তিযোদ্ধার মারা যাওয়ার বিষয়টি জানান।
চুয়াডাঙ্গা : বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সভাপতি আসাদুল হোসেন জোয়ার্দ্দার লেমন (৬৮) করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন।
ঢাকায় নেওয়ার পথে গত বৃহস্পতিবার দিনগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের নিকটে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে নেয়া হয় নিকটস্থ হাসপাতালে। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আসাদুল হোসেন জোয়ার্দ্দার লেমন চুয়াডাঙ্গা রেলপাড়ার মৃত এমদাদ হোসেন জোয়ার্দ্দার ও সায়মা খাতুন জোয়ার্দ্দারের ছেলে। তার মৃত্যুর খবরে জেলার সকল ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক মহল এবং বিভন্ন শ্রেণির পেশার মানুষ শোক প্রকাশ করেছে।
আমতলী (বরগুনা) : করোনা উপসর্গ নিয়ে বরগুনার তালতলী উপজেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার, উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য, বীর মুক্তিযোদ্বা মো. আলী আকবার মিয়া (৮০) মারা গেছেন। করোনা উপসর্গ জ্বর শ্বাসকষ্ট নিয়ে গত বৃহস্পতিবার রাতে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই তিনি মারা যান।
নেত্রকোনা : নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলায় এবার করোনা উপসর্গ নিয়ে হারাধন বর্মন (৬০) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তিনি পেশায় একজন কবিরাজ ছিলেন। গতকাল সকালে সামাজিক নিয়ম কানুন মেনে স্বাস্থ্যকর্মীসহ কেন্দুয়া থানার ওসি ও ইএনওর উপস্থিতিতে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে।
কুমিল্লা : কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার লক্ষণ-উপসর্গ নিয়ে এক নারীসহ আরও তিনজন মারা গেছেন। হাসপাতালের আইসিইউতে দুইজন ও আইসোলেশন ওয়ার্ডে একজন মারা যান। গতকাল কুমেক হাসপাতালের সহকারী সার্জন ডা. মোয়াজ্জেম এ সব তথ্য জানান। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় কুমেক হাসপাতালের আইসিইউ ও আইসোলেশন ওয়ার্ডে মারা যান কুমিল্লার শুভরামপুর এলাকার আয়াত আলীর ছেলে শামছুজ্জামান (৫০), মুরাদনগর উপজেলার রুহুল আমিনের ছেলে জসিম উদ্দিন (৫৯) ও কুমিল্লা নগরীর টমছমব্রিজ এলাকার একামত উল্লাহর মেয়ে মমতাজ বেগম (৫৩)।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ