পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদের ছোট ভাই ও তার সহকারী একান্ত সচিব মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই আর নেই। করোনায় আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। বঙ্গভবন প্রেস উইং জানায়, মৃত্যুকালে আবদুল হাই স্ত্রী, এক ছেলে ও ২ মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। আবদুল হাই প্রেসিডেন্টের সহকারী একান্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
প্রেসিডেন্টের ছোটভাই মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাইয়ের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। গতকাল এক শোকবার্তায় তিনি মরহুমের শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
বঙ্গভবন প্রেস উইং জানায়, করোনা উপসর্গ দেখা দেয়ায় গত ২ জুলাই আবদুল হাইয়ের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসলে তাকে ঢাকা সিএমএইচে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে ১২ জুলাই থেকে ভেনটিলেশনে রাখা হয়। সেখানেই তিনি ইন্তেকাল করেন।
আবদুল হাই কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলায় ১৯৫৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন । তিনি মিঠামইন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার, বিআরডিবি›র সভাপতি ও বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হক সরকারি কলেজের সাবেক সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি হাজি তায়েব উদ্দিন স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং শিক্ষক ছিলেন। প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদের পিতা-মাতার ৯ সন্তানের মধ্যে আবদুল হাই ছিলেন অষ্টম।
কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার কামালপুরে জানাজা শেষে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁকে পারিবারিক কবরস্থানে বাবা-মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হবে।
এদিকে ছোট ভাইয়ের লাশ নিয়ে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ আজ রবিবার কিশোরগঞ্জের গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছেন। কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী ও পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ হেলিকপ্টার যোগে দুপুরে ছোট ভাইয়ের লাশের সাথে জন্মস্থান মিঠামইন উপজেলার কামালপুর গ্রামে নিজ বাড়িতে পৌঁছাবেন। পরে তিনি তার ছোট ভাইয়ের জানাজা, দাফন ও দোয়ায় অংশ নেবেন। সন্ধ্যার আগেই তার বঙ্গভবনে ফিরে আসার কথা রয়েছে।
উল্লেখ, আবদুল হাইয়ের ছেলে সাইফ মো. ফারাবি কিছুদিন আগে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তবে তিনি সুস্থ হয়ে উঠেন। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।