Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মজুরী বৃদ্ধির দাবিতে শ্রমিক ধর্মঘটে অচল হয়ে পড়েছে সাতক্ষীরার সুন্দরবন টেক্সটাইল মিলস

প্রকাশের সময় : ১ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

সাতক্ষীরা সংবাদদাতা : মজুরী বৃদ্ধির দাবিতে শ্রমিক ধর্মঘটে অচল হয়ে পড়েছে সাতক্ষীরার সুন্দরবন টেক্সটাইল মিলস।

কাজে যোগ না দিয়ে সোমবার সকালে মিলের প্রধান ফটকে অবস্থান নেন সাড়ে তিনশ’ শ্রমিক। পরে তারা সাতক্ষীরা-খুলনা মহাসড়কে বিক্ষোভ মিছিল করে।

এ সময় আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়াতে পুলিশের পক্ষ থেকে শ্রমিকদের হুমকি দেয়া হলেও দাবিতে অটল রয়েছেন শ্রমিকরা।

আন্দোলনরত শ্রমিকরা জানান, তাদের দিনপ্রতি ১২০ টাকা মজুরী দেওয়া হয়। এ নিয়ে গত এক বছর যাবত মিল কর্তৃপক্ষের কাছে মজুরী বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করার দাবি জানিয়ে আসছেন তারা। কিন্তু তাদের কথায় কর্ণপাত করছে না মিল কর্তৃপক্ষ। এতে বাধ্য হয়ে রাজপথে নামতে হয়েছে তাদের।

শ্রমিকরা জানান, সকালে আন্দোলন থেকে সরে যাওয়ার জন্য পুলিশ তাদের হুমকি দেয়। কিন্তু তারা দাবিতে অটল থাকলে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, তিন-চার গাড়ি পুলিশ এনে শ্রমিকদের বাড়ি খুজে খুজে তাদের ঘর-বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হবে।

শ্রমিক পবিত্র মন্ডল জানান, দৈনিক আট ঘণ্টা কাজ করে তারা ১২০টাকা মজুরী পান। এতে যাওয়া-আসার খরচ বাধ দিয়ে তিনবেলা দু’মুঠো ডাল ভাতও জোটে না তাদের।

শ্রমিক জাকির হোসেন জানান, মিল কর্তৃপক্ষ তাদের সাথে সবসময় অবিচার করে। বিদ্যুৎ না থাকলে তাদের কর্মঘণ্টা কেটে নিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

শ্রমিক নেত্রী রেক্সনা জানান, সারাদেশে কোথাও এতো কম মজুরী নেই। আমরা মাস শেষে ২৫শ থেকে তিন হাজার টাকা বেতন পাই। তাতে ঘর ভাড়াই ওঠে না। দু’মুঠো ভাত না পেলে কাজ করবো কেন।

তিনি বলেন, বেতন ন্যূনতম দৈনিক ৩০০ টাকা করা না হলে মিল অচল করে দেওয়া হবে।

আন্দোলনরত শ্রমিকরা আগামী তিনদিনের মধ্যে দাবি মানা না হলে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট ডাকার হুশিয়ারি দিয়েছেন।

এদিকে, সকালে সুন্দরবন টেক্সটাইল মিলের ব্যবস্থাপক আবু হানিফ আন্দোলনরত শ্রমিকদের সাথে গিয়ে বেতন বৃদ্ধির ব্যাপারে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলেও শ্রমিকরা তাতে কর্ণপাত না করে আন্দোলন চালাতে থাকে।

এ ব্যাপারে ব্যবস্থাপক আবু হানিফ জানান, মিলটি চলছে সার্ভিস চার্জ ভিত্তিতে। বিভিন্ন মিল থেকে মজুরী বৃদ্ধির দাবি উঠছে। আমি বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। উপর থেকে সিদ্ধান্ত আসলে বেতন বৃদ্ধি করা হবে।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ