পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রাম বন্দর এবং বাংলাদেশের মহাসড়ক ব্যবহার করে ভারতের পণ্য পরিবহন শুরু হচ্ছে। প্রথম চালানে চার কন্টেইনার পণ্য যাবে সে দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরা ও আসামে। কলকাতার শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বন্দর (সাবেক কলকাতা বন্দর) থেকে স্টিল ও ডালবাহী এসব কন্টেইনার নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের পথে রয়েছে বাংলাদেশি একটি জাহাজ।
গতকাল বৃহস্পতিবারের মধ্যে ‘এমভি সেঁজুুতি’ নামের ওই জাহাজটি ট্রানজিটের প্রথম চালান নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছার কথা থাকলেও শ্যামাপ্রসাদ বন্দরে বার্থিং পেতে দেরি হওয়ায় সিডিউল পিছিয়ে গেছে। ভারতের হলদিয়া বন্দর হয়ে আগামী ২০ জুলাই সোমবার ‘এমভি সেঁজুুতি’ চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। বন্দরে আসার পর চারটি কন্টেইনার খালাস করে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের হেফাজতে আখাউড়া-আগরতলা স্থলবন্দর সীমান্তে পৌঁছে দেওয়া হবে।
এটি হবে দেশের অর্থনীতির স্বর্ণদ্বার চট্টগ্রাম বন্দর ও দেশের সড়কপথ ব্যবহার করে ট্রানজিটের মাধ্যেমে ভারতীয় পণ্য পরিবহনের প্রথম পরীক্ষামূলক কার্যক্রম-ট্রায়াল রান। চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক গতকাল ইনকিলাবকে বলেন, জাহাজটি যথাসময়ে না আসায় পরীক্ষামূলক পণ্যপরিবহন শুরু হয়নি। তবে জাহাজটি বন্দরে ভিড়লে ভারতের কন্টেইনার খালাস করে দেওয়া হবে। বন্দর তাদের নির্ধারিত চার্জ আদায় করবে। ওই দিন কোন আনুষ্ঠানিকতা থাকছে না।
‘এমভি সেঁজুতি’ জাহাজের এজেন্ট ম্যাঙ্গো লাইন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ইয়াকুব সুজন ভ‚ঁইয়া ইনকিলাবে বলেন, কলকাতার শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বন্দরে বার্থিং পেতে দেরি হওয়ায় জাহাজটি আসতে দেরি হচ্ছে। তবে ট্রানজিটের পণ্য নিয়ে জাহাজটি বৃহস্পতিবার শ্যামাপ্রসাদ বন্দর ছেড়ে গেছে। হলদিয়া বন্দর হয়ে আগামী সোমবার চট্টগ্রামে এসে পৌঁছবে। ওই দিনই চট্টগ্রাম বন্দরে বার্থিং পাওয়া যাবে বলেও জানান তিনি।
তিনি জানান, পরে চট্টগ্রাম কাস্টসমের হেফাজতে বন্দর থেকে সরাসরি কন্টেইনার পরিবহনকারী প্রাইম মুভার ট্রেলারে আখাউড়া সীমান্তে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখান থেকে ভারতের আগরতলায় যাবে এসব কন্টেইনার। জানা গেছে আগরতলা থেকে স্টিল ও রডের চালান নেওয়া হবে পশ্চিম ত্রিপুরার জিরানিয়ায়। চালানটি ভারতের এস এম কর্পোরেশনের। অপরদিকে আগরতলায় ইন্টিগ্রেটেড চেক পোস্ট বা আইসিপিতে খালাস করে ডালের চালান ভারতীয় ট্রাকে আসামের করিমগঞ্জে জেইন ট্রেডার্সে নেওয়া হবে। ট্রানজিটের প্রথম এই চার কন্টেইনার চালান ভারতের সিজে ডার্সেল লজিস্টিকস লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠানের।
এ চালানে পণ্য পরিবহন বাবদ ভাড়া ও প্রস্তাবিত বিভিন্ন মাশুল পাবে চট্টগ্রাম বন্দর, কাস্টমস এবং সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ। তবে প্রথম ট্রায়াল রানের জন্য সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের প্রযোজ্য প্রশাসনিক ফি মওকুফ করা হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর ও কাস্টসম সূত্রে জানা গেছে, নির্ধারিত সাতটি মাশুল বাবদ বাংলাদেশ প্রতি কন্টেইনারে ৪৮-৫৫ ডলার পাবে। এই মাশুলের বাইরে চট্টগ্রাম বন্দরের চার্জ যুক্ত হবে। আর সড়কপথে পণ্য পরিবহন ভাড়া পাবে বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান।
বিগত ২০১৮ সালের অক্টোবরে দিল্লিতে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহার করে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যেগুলোতে পণ্য সরবরাহ করতে দুই দেশের মধ্যে চুক্তি হয়। তার এক বছর পর ২০১৯ সালের ৫ অক্টোবর ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকে এ সংক্রান্ত পরিচালন পদ্ধতির মান বা এসওপি সাক্ষর হয়। চুক্তির স্বল্প সময়ের মধ্যেই ভারতকে দেওয়া ট্রানজিট সুবিধা কার্যকর হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।