Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

টাঙ্গাইলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, ১৫১টি গ্রাম প্লাবিত

টাঙ্গাইল জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৬ জুলাই, ২০২০, ১১:১৫ এএম

দ্বিতীয় দফায় অতিবর্ষণ ও অব্যাহত উজান থেকে আসা ঢলের কারনে টাঙ্গাইলের যমুনা ও ধলেশ্বরী নদীসহ অভ্যন্তরীন নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। টাঙ্গাইল সদর, কালিহাতী, ভূঞাপুর, গোপালপুর, নাগরপুর ও দেলদুয়ার উপজেলার ১৫১টি গ্রাম নতুন করে বন্যা কবলিত হয়েছে। যমুনার পানি বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় বিপদসীমার যোকারচর পয়েন্টে ৮৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ধলেশ্বরীর পানি এলাসিন পয়েন্টে বিপদ সীমার ১২৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্র জানিয়েছে।
পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। নাগরপুরে একটি স্কুল নদীগর্ভে বিলিন হয়েছে। আরও ১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। নাগরপুরের সলিমাবাদ ইউনিয়নের পাইকশা, মাইধাইল, নিশ্চিন্তপুর, কাঠালতলি গ্রামে দুই কিলোমিটার এলাকা জুড়ে নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে।
এদিকে সদর উপজেলার কাকুয়া, মামুদ নগর, কালিহাতী উপজেলার গোহালিয়াবাড়ি, ভূঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসী, অর্জুনা ইউনিয়নের বেশকিছু এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে।
জেলা ত্রান ও পূর্নবাসন অফিস সূত্র জানায়, জেলায় এখন পর্যন্ত টাঙ্গাইল সদর, নাগরপুর, দেলদুয়ার, ভূঞাপুর, কালিহাতী ও গোপালপুর ২৬ টি ইউনিয়নের প্রায় ১৫১টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। অপরদিকে কালিহাতী উপজেলার এরেঙ্গা পৌরসভার আশিংক এলাকা প্লাবিত হয়েছে। জেলায় পানি বন্দি হয়ে পড়েছে ৮৪ হাজার ৭১২ জন। ৬৬৫টি ঘর-বাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। আশিংক বিলীন হয়েছে ১৬২৪ টি ঘরবাড়ি।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বন্যা পরিস্থিতি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ