সুধা সদনের লোক দুর্নীতি করলে তাদের হাওয়া ভবনের লোক বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, সাহেদের মা আওয়ামী মহিলা লীগের নেতা। তাহলে সাহেদ হাওয়া ভবনের লোক হয় কী করে? তার কেলেংকারী ফাঁস হওয়ার আগে তো তিনি আওয়ামী লীগেরই লোক ছিলেন। তার অতীতের টকশোতে বক্তব্যে শোনা যায় যে, সেনাপ্রধান থেকে শুরু করে সিপাহী এবং আইজিপি থেকে কনস্টেবল পর্যন্ত ও সচিব থেকে চৌকিদার পর্যন্ত সবাই এই সরকারকে চায়। আর এখন হাওয়া ভবনের লোক বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এটাই আওয়ামী লীগের নীতি। 

গতকাল বুধবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হোমিওপ্যাথিক ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এইচ-ড্যাব) আয়েঅজিত করোনাভাইরাস প্রতিরোধে লক্ষণভিত্তিক চিকিৎসা ক্যাম্প ও বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, আসলে কয়লা ধুইলে যেমন ময়লা যায়না। তেমনই স্বভাব যায় না মলে। স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতির সাথে সরকার ও তাদের মন্ত্রী এমপিদের ছেলে মেয়েরা জড়িত। কিন্তু তাদের কাউকেই ধরা হচ্ছে না। আর আমাদের মানিকগঞ্জের ছোটো মেয়ে পলি, নোয়াখালীর টিটু হায়দার ও ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আকরামকে গ্রেফতার করেন। তারা (সরকার) তো মৃত মানুষের নামে হজ্জ পালনরত মানুষের নামে মামলা দিয়েছে। কারণ জিয়াউর রহমানের জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে শেখ হাসিনা এসব করছে। আজকে খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তার কারণে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মূলত যারাই জনগণের জন্য কাজ করে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়।
তিনি আরো বলেন, হঠাৎ করেই পুলিশ এখন শরীয়তপুরের ধানের শীষের প্রার্থী মিয়া নূর উদ্দিন অপুকে রিমান্ডে নিয়েছে। কারণ তাকে চাপ দিয়ে জোর করে কোনো বক্তব্য বলাতে। এটা নাটক ছাড়া কিছু নয়। যাতে সাহেদ ও জেকেজির কেলেংকারী আড়াল হয়ে যায়।
রিজভী বলেন, আজকে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে হোমিওপ্যাথি ড্যাবের উদ্যোগে বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণ করছে। এটা মানবতাবাদী কর্মকান্ড। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বের প্রতি আস্থা রেখে যারা এই কাজ করছেন তারা সত্যিকারের করোনা যোদ্ধা।
ডা. অহিদুল ইসলাম চৌধুরী স্বপনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জাতীয়তাবাদী হোমিওপ্যাথিক ফোরামের সভাপতি ডা. শামসুজ্জোহা আলম, সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহবুবুল আলম সেলিম, মহাসচিব ডা. শাহজালাল আহমেদ প্রমুখ।###