পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাবা-মায়ের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন উপমহাদেশের কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী এন্ড্রু কিশোর। আজ বুধবার (১৫ জুলাই) বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে রাজশাহী মহানগরীর বাংলাদেশ খ্রীস্টিয়ান কবরস্থানে নিজের দেখানো স্থানেই সমাহিত করা হয়েছে বাংলা গানের এই বরপূত্রকে।
এর আগে বুধবার সকাল ৯টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের হিমঘর থেকে এন্ড্রু কিশোরের মরদেহ নগরীর সিটি চার্চে নেওয়া হয়েছিল। সেখানে পরিবারের ঘনিষ্ঠজনদের উপস্থিতিতে ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। পরে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে শিল্পীর শেষ ইচ্ছানুযায়ী তাঁকে বাবা-মায়ের পাশে সমাহিত করা হয়।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্ত এই সংগীতশিল্পীর শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তাঁর স্ত্রী লিপিকা এন্ড্রু, দুই সন্তান সপ্তক ও সংজ্ঞা এবং বোন-ভগ্নিপতিসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী। এছাড়া বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা শিল্পীর শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
দীর্ঘ ১০ মাস ক্যান্সারের সঙ্গে যুদ্ধ শেষে গেল সোমবার (৬ জুলাইল) রাজশাহীর মহিষবাথানের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৬৪ বছর।
বেশ কিছুদিন অসুস্থ থাকার পর গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর উড়াল দিয়েছিলেন এন্ড্রু কিশোর। এরপর শরীরে ক্যান্সার ধরা পড়লে সেখানেই তাঁর চিকিৎসা শুরু হয়। কয়েক ধাপে কেমোথেরাপি ও রেডিওথেরাপি দেওয়া হয় তাঁকে। কিছুদিন সুস্থ থাকার পর তাঁর শরীরে ফের দানা বাঁধে লিম্ফোমা নামক ক্যান্সারটি। আর তখনই চিকিৎসকরা শিল্পীর আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন।
নিজের মৃত্যু খুব সন্নিকটে বুঝতে পেরে তড়িঘড়ি করে গত মাসের ১১ জুন এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে দেশে ফিরেন এই সংগীতশিল্পী। তারপর সপ্তাহখানেক ঢাকায় অবস্থান করে রাজশাহীতে বোন ডা. শিখা বিশ্বাসের বাড়িতে উঠেন। সেখানে একটি বেসরকারি হাসপাতালে বোন ও ভগ্নিপতির অধীনে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন তিনি। অবশেষে জীবনযুদ্ধ হার মেনে ৬ জুলাই না ফেরার দেশে পাড়ি জমান এন্ড্রু কিশোর।
তবে শিল্পীর দুই সন্তান অস্ট্রেলিয়াতে থাকার কারণে পরিবারের সবাই এতদিন অপেক্ষা করছিলেন। তারা দেশে ফেরার ৯ দিনের মাথায় বাংলা চলচ্চিত্রের মেলোডি কিংকে রাজশাহীতে বাবা ক্ষিতীশ চন্দ্র বাড়ৈ ও মা মীনা বাড়ৈ এর কবরের পাশে সমাহিত করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।