Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ডাকাতিয়া নদীতে ব্রিজ আছে সড়ক নেই!

স্টাফ রিপোর্টার, চাঁদপুর থেকে | প্রকাশের সময় : ১৪ জুলাই, ২০২০, ৩:৪৪ পিএম

চাঁদপুর ডাকাতিয়া নদীতে নির্মিত হয়েছে বিশাল ব্রিজ। দু’পাশের সংযোগ (এ্যাপ্রোস) সড়ক এখনো নির্মাণ হয়নি। প্রায় ৩৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ব্রিজটি দুই উপজেলার মানুষের মধ্যে সেতুবন্ধন করতে পারেনি। দুই উপজেলাবাসী এখনো নৌকা দিয়ে নদী পারাপার করছেন। ফলে ব্রিজের সুফল সুবিধা ভোগ করতে পারছে না চাঁদপুর সদর ও ফরিদগঞ্জের মানুষ।

ভাষাবীর এম এ ওয়াদুদ এর নামে তৈরী করা সেতুর মূল কাজ সম্পন্ন। কিন্তু এখনো সংযোগ সড়কের খবর নেই! স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর বলছে, সেতুর সংযোগ সড়কের নকশা অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। অপেক্ষাটা আরো দীর্ঘ হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

চাঁদপুর সদর উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের ছোটসুন্দর গ্রামে ডাকাতিয়া নদীর উপর নির্মিত উল্লেখিত সেতুটি চাঁদপুর সদর উপজেলা ও ফরিদগঞ্জ উপজেলার সাথে সংযোগ সৃষ্টি করবে। এটি চালু হলে দুই উপজেলার যোগাযোগের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের উন্মোচন হবে। উভয় জেলার হাজার হাজার মানুষ এখন সেতু চালুর অপেক্ষায় প্রহর গুণছে।

নির্মাতা প্রতিষ্ঠান নবারুণ ট্রেডার্স লিমিটেড ৩৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৭৪.২০ মিটার দৈর্ঘ্যরে সেতুটির মূল কাজ শেষ করেছে। বাকী রয়েছে দু’পাড়ের সংযোগ সড়ক। সংযোগ সড়ক না থাকায় আপাতত মানুষের কাজে লাগছে না সেতুটি। সংযোগ সড়ক না হওয়ায় দুই উপজেলাবাসী নৌকা দিয়ে নদী পারাপার হচ্ছে।

দৃষ্টিনন্দন এই সেতুটি চাঁদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির পিতা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সহচর, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ভাষাসৈনিক এম এ ওয়াদুদের নামে নামকরণ করা হয়েছে। সুবিধাভোগী লোকজন দ্রুত সেতুটির সংযোগ সড়ক নির্মাণ করে দুই উপজেলাবাসীর সেতুবন্ধনের সূচনার দাবি জানিয়েছেন।

রামপুর ইউপি চেয়ারম্যান.আল মামুন পাটোয়ারী বলেন, আমার ইউনিয়নে যে সেতুটি নির্মিত হয়েছে তা ভাষাবীর এম এ ওয়াদুদ নামে নামকরণ করায় সংশ্লিষ্টদের কাছে কৃতজ্ঞ। এই সেতুটি চালু হলে চাঁদপুর ও ফরিদগঞ্জের সড়কপথের দূরত্ব অনেকাংশ কমে আসবে। বিশেষ করে চাঁদপুর সদরের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল ও ফরিদগঞ্জের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মানুষ অনেক উপকৃত হবে।

নির্মাতা প্রতিষ্ঠান নবারুণ ট্রেডার্স লিমিটেডের প্রকৌশলী সুব্রত বলেন, যত দ্রুত সম্ভব সংযোগ সড়ক করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরাও চাই দ্রুত সংযোগ সড়ক নির্মাণ করে সেতুটি চালু হোক।

চাঁদপুরস্থ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইউনুছ হোসেন বিশ্বাস বলেন, সেতুটি শিক্ষামন্ত্রীর পিতা ভাষাবীর এম এ ওয়াদুদ এর নামে নামকরণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে মূল সেতুর কাজ শেষ হয়েছে। নকশা অনুমোদন হলে চলতি অর্থবছরেই এ্যাপ্রোস সগকের কাজ সম্পন্ন করে সেতু চালু করা সম্ভব হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ