Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

লালপুরে পানি বন্দি ৩শতাধিক পরিবার

লালপুর (নাটোর) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৪ জুলাই, ২০২০, ১০:২২ এএম

পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় আষাঢ়ের ভারি বর্ষণের পানি জমে পানি বন্দি হয়ে পড়েছে নাটোরের লালপুর উপজেলার ওয়ালিয়া ইউনিয়নের ৩শাধিক পরিবার। পানি বন্দি হয়ে পড়ায় সব চেয়ে বেশি বিপদে পড়েছে পানি বন্দি পরিবারে বসবাসকারী শিশু ও বৃদ্ধারা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টির পানি নামতে না পাড়ায় পানি জমে উপজেলার ওয়ালিয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ওয়ালিয়া পূর্ব কারিগর পাড়া, আমিন পাড়া ও হিন্দুুপাড়া গ্রামের প্রায় ৩শাতাধিক পরিবার ১০ দিন যাবত পানি বন্দি হয়ে আছে। বসত ঘর ও বাড়ির উঠানে জমে আছে হাটু পানি। প্রতিদিন পানি মারিয়ে দৈনন্দিন কাজ করতে হচ্ছে এই ৩শতাধিক পরিবারকে। দীর্ঘ সময় পনি বন্দি হয়ে থাকায় পরিবার গুলিতে দেখা দিতে শুরু করেছে পনি বাহিত রোগ। এসময় কথা হয় আতিয়া, ফজলুর, রনি ও কহিনুর বেগমের সঙ্গে তারা বলেন, ‘আগে যে জমি দিয়ে এই তিন গ্রামের পনি নিস্কাশন হতো সেই জাইগায় মাটি দিয়ে বন্ধ করার ফলে এবার আষাঢ়ের লাগাতার বৃষ্টির পানি নিস্কাশন না হতে পেরে পানি জমে বাড়িতে উঠেছে। এখন আমরা তিন গ্রামের ৩শতাধিক পরিবারের মানুষ এখন পনি বন্দি হয়ে পড়েছি।’ তারা আরো বলেন, ‘এই পানি নিস্কাশনের জন্য জমির মালিক কে অনেক অনুরোধ করেও পানি নামতে না দেওয়ায় এখন আমাদের ঘরের মধ্যে পানি উঠেছে। পানি নিস্কাশনের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট আমার লিখিত অভিযোগ ও করেছি।’
ওয়ালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলে, ‘এই তিন গ্রামের মানুষের বাড়ির পানি আগে পূর্ব পাড়ার গ্রামের গ্রামীন টাওয়ারের নিকট দিয়ে একটি ব্যক্তি মালিকানা জমির উপর দিয়ে খলিসা ডাঙ্গা নদীতে নামতো। কিন্তু এবার সেই জমির ড্রেন বন্ধ করে দেওয়ার ফলে পানি নামতে না পারায় এই তিন গ্রামের মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। তিনি আরো বলেন, ‘তবে পানি নিস্কাশনের জন্য স্থায়ী ব্যবস্থা করতে হলে সরকারী উদ্ধুর্তন কর্তৃপক্ষের মাধ্যেমে একটি প্রকল্প দিয়ে ড্রেন নির্মানের মাধ্যমে পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে। এজন্য প্রায় ২০ লক্ষ টাকা প্রয়োজন।’
লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মুুল বানীন দ্যুতি জানান, ‘এ সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভুগীরা। যে জমি দিয়ে পানি নিস্কাশন হতো সেই জমির মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। আশা করছি খুব দ্রুত পানি নিস্কাশনে ব্যবস্থা করা হবে বরে তিনি জানান।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বন্যা পরিস্থিতি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ