পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনা শনাক্তে আরটি-পিসিআর পরীক্ষার ফি নির্ধারণের পর প্রতিনিয়ত পরীক্ষার সংখ্যা কমলেও বাড়ছে শনাক্তের হার। সর্বশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় ১১ হাজার ৫৯টি নমুনা পরীক্ষা করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আরও দুই হাজার ৬৬৬ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২৪ দশমিক ১১ শতাংশ। গতকাল দুপুর আড়াইটার দিকে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে অনলাইনে স্বাস্থ্য অধিদফতরের দৈনন্দিন স্বাস্থ্য বুলেটিন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
গত ৬ জুলাই ১৪ হাজার ২৪৫টি নমুনা পরীক্ষা করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আরও তিন হাজার ২০১ জন শনাক্ত হয়। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ছিল ২২ দশমিক ৪৭ শতাংশ। ৭ জুলাই ১৩ হাজার ১৭৩টি নমুনা পরীক্ষা করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আরও তিন হাজার ২৭ জন শনাক্ত হয়। ওই দিন পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ছিল ২২ দশমিক ৯৮ শতাংশ। ৮ জুলাই ১৫ হাজার ৬৭২টি নমুনা পরীক্ষা করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আরও তিন হাজার ৪৮৯ জন শনাক্ত হয়। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ছিল ২২ দশমিক ২৬ শতাংশ। ৯ জুলাই ১৫ হাজার ৬৩২টি নমুনা পরীক্ষা করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আরও তিন হাজার ৩৬০ জন শনাক্ত হয়। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ছিল ২১ দশমিক ৪৯ শতাংশ। ১০ জুলাই ১৩ হাজার ৪৮৮টি নমুনা পরীক্ষা করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আরও দুই হাজার ৯৪৯ জন শনাক্ত হয়। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ছিল ২১ দশমিক ৮৬ শতাংশ। ১১ জুলাই ১১ হাজার ১৯৩টি নমুনা পরীক্ষা করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আরও দুই হাজার ৬৮৬ জন শনাক্ত হয়। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ছিল ২৪ দশমিক শূন্য শতাংশ।
গত ৬ জুলাই থেকে ১২ জুলাই পর্যন্ত প্রতিদিনের শনাক্তের হার বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ৬ জুলাই শনাক্তের হার ২২ দশমিক ৪৭ শতাংশ থাকলেও ৭ জুলাই তা বেড়ে ২২ দশমিক ৯৮ শতাংশে দাঁড়ায়। ৮ জুলাই শনাক্তের হার ছিল ২২ দশমিক ২৬ শতাংশ। ৯ জুলাই শনাক্তের হার ছিল ২১ দশমিক ৪৯ শতাংশ। ১০ জুলাই আবার বেড়ে ২১ দশমিক ৮৬ শতাংশে দাঁড়ায়। সর্বশেষ ১১ জুলাই শনাক্তের হার বেড়ে ২৪ দশমিক শূন্য শতাংশ এবং সর্বোচ্চ ২৪ দশমিক ১১ শতাংশে দাঁড়াল।
ফি নির্ধারণের পর পরীক্ষার সংখ্যা কমলেও শনাক্তের হার বাড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, এখন আসলে যার দরকার, সেই পরীক্ষা করছেন। আগে হয়তো দরকার নেই এমন অনেকে পরীক্ষা করতেন। এখন সেটি হচ্ছে না। এ ছাড়া, আমরা তো কন্টাক্ট ট্রেসিং করে পরীক্ষা করছি। এর বাইরে আরও লোক পরীক্ষা করাতেন। তাই তখন শনাক্তের হারও কম ছিল। এখন যাদের পরীক্ষা করা দরকার, তারাই করছেন। তাই হারও বাড়ছে। তিনি বলেন, পরীক্ষার সংখ্যা কমার ক্ষেত্রে ফি একটা কারণ হতে পারে। কিন্তু, শতভাগ কারণ ফি নয়। আরকেটা বড় ব্যাপার হলো— সুস্থ হওয়ার যে ক্রাইটেরিয়াটা আমরা করে দিয়েছি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডবিøউএইচও) মত অনুযায়ী, শেষ তিন দিন উপসর্গ না থাকলে, ওষুধ না খেলে তাকে সুস্থ বলা হবে। সেক্ষেত্রে দ্বিতীয়বার পরীক্ষার দরকার হচ্ছে না। এটাও পরীক্ষা কমার একটি কারণ। এ ছাড়াও, আগে বাসায় গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করা হতো। সেক্ষেত্রে দেখা যেত, একটি বিল্ডিংয়ে গেলে ৪০ জনের নমুনা আনতে হতো। এখন তো আর সেটাও হচ্ছে না। এটাও একটা কারন।
উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয় বলে জানায় সরকারের রোগতত্ত¡, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। আর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যুর সংবাদ জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশে এখন পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা এক লাখ ৮৩ হাজার ৭৯৫ জন। আর মারা গেছেন দুই হাজার ৩৫২ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৯৩ হাজার ৬১৪ জন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।