Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জনস্বাস্থ্যে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে মেডিক্যাল বর্জ্য

সরকারকে লিগ্যাল নোটিশ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৩ জুলাই, ২০২০, ১২:৪০ এএম

মেডিকেল বর্জ্য (ব্যবস্থাপনা ও প্রক্রিয়াজাতকরণ) বিধিমালা-২০০৮ এর বিধি-বিধান পরোপুরি কার্যকরের জন্য লিগ্যাল নোটিশ দেয়া হয়েছে। গতকাল ‘ল অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশন’র পক্ষে ব্যারিস্টার হুমায়ুন কবির পল্লব এ নোটিশ পাঠান। পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সচিব ছাড়াও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য বিভাগের মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিভাগীয় পরিচালক, বন ও পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়রসহ সকল সিটি করপোরেশনের মেয়রের কাছে ই-মেইলে নোটিশটি পৌঁছানো হয়। প্রাপ্তির ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এ বিষয়ে প্রত্যাশিত পদক্ষেপ না নিলে সংশ্লিষ্টদের বিষয়ে জনস্বার্থে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে মর্মে হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে নোটিশে।

এতে বলা হয়, মেডিকেল বর্জ্য বিধিমালা ২০০৮ এর বিধি-বিধান পূর্ণাঙ্গরূপে বাস্তবায়নের জন্য বিবাদীদের অনুরোধ করা হচ্ছে। উক্ত বিধিমালার বিধি ৩ অনুযায়ী দেশের সকল বিভাগে স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিভাগীয় পরিচালকের সভাপতিত্বে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি কর্তৃপক্ষ গঠনের কথা বলা হয়েছে। এসব কর্তৃপক্ষ চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য উপযুক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স প্রদান করতে পারবে। লাইসেন্সপ্রাপ্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বিধি অনুযায়ী চিকিৎসাবর্জ্য এমনভাবে ব্যবস্থাপনা ও প্রক্রিয়াজাত করবে যাতে মানব স্বাস্থ্য ও পরিবেশের ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব না পড়ে এবং এই বিধির তফসিল ৬ অনুযায়ী চিকিৎসা বর্জ্য পরিশোধনের যে মানদন্ড দেয়া হয়েছে তা অবশ্যই বজায় রাখতে হবে। চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও প্রক্রিয়াজাতকরণের সাথে সংশ্লিষ্ট নথিপত্র ন্যূনতম তিন বছর সংরক্ষণ করতে হবে। এছাড়া বিধিতে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে চিকিৎসা বর্জ্য মজুত, পরিবহন, বিশোধন এবং বিনষ্ট করার আগেই তফসীল অনুযায়ী উৎপাদনের স্থানে পৃথক করে রাখতে হবে। বিধি ৪ অনুযায়ী ঢাকনাযুক্ত করতে হবে। বিশেষভাবে উল্লেখ্য, অশোধিত কোনো চিকিৎসা বর্জ্য ৪৮ ঘণ্টার বেশি মজুত করে রাখা যাবে না। কেবল সুনির্দিষ্ট এবং সুরক্ষিত এলাকায় এই চিকিৎসা বর্জ্য মজুত করা যাবে।

নোটিশে বলা হয়, আমরা আশঙ্কা ও গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি, কর্তৃপক্ষ বিধিমালা অনুযায়ী তেমন কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। ফলশ্রুতিতে অন্যান্য বর্জ্যের মতো চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রেও অস্বাস্থ্যকর ও পরিবেশ দূষণ ঘটছে। বিশেষ করে বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে এই আশঙ্কা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য ব্যাপক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে। সরকারিভাবে লাখ লাখ পিপিই সরবরাহ করা হয়েছে। এছাড়া ব্যক্তি উদ্যোগে কোটি কোটি মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস ব্যবহৃত হচ্ছে। একইসাথে করোনা পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য বিপুল পরিমাণ অন্যান্য মেডিকেল সরঞ্জামাদি সরবরাহ ও ব্যবহার করা হচ্ছে। এসব চিকিৎসা বর্জ্যের যথাযথ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে না পারলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে বড় ধরণের স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ