পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
![img_img-1719990546](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678437663_IMG-20230310-WA0005.jpg)
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, করোনাভাইরাসের প্রকোপ আরও বাড়লে বিচার কার্যক্রম চালু রাখতে ভার্চুয়াল কোর্টের সাহায্য নিতেই হবে। তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাস আমাদেরকে কতদিনে ছেড়ে যাবে তা আমরা জানিনা। যদি করোনাভাইরাসের প্রকোপ আরও বাড়ে তাহলে আমাদেরকে ভার্চুয়াল কোর্টের সাহায্য নিতেই হবে। কারণ বিচার ব্যবস্থার কার্যক্রম চালু রাখতে হবে। স্বাধীন ও ন্যায় বিচার প্রাপ্তির জন্য জনগণের আশা পূরণ করতেই হবে।’
আজ অধস্তন আদালতের আইনজীবীদের “ভার্চুয়াল আদালত পদ্ধতি ব্যবহারে দক্ষতা উন্নয়ন’ শীর্ষক এক অনলাইন প্রশিক্ষণের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত হয়ে আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আইন ও বিচার বিভাগের উদ্যোগে এবং জিআইজেড বাংলাদেশ এর কারিগরী সহযোগিতায় এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। উদ্বোধনী দিনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও নরসিংদী জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্যদেরকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।
আনিসুল হক বলেন, করোনা পরিস্থিতি ভালো হলে স্বাভাবিক আদালত স্বাভাবিকভাবেই চলবে। ভার্চুয়াল আদালত কেবল বিশেষ পরিস্থিতিতে বা বিশেষ বিশেষ প্রয়োজনে ব্যবহার করা হবে।
তিনি বলেন, সারা বিশ্ব এবং দেশের সব বিভাগ কিন্তু ভার্চুয়ালের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে। বিচার বিভাগ যদি ভার্চুয়ালের দিকে এগিয়ে না যায় তাহলে শুধু বিশ্বে নয় দেশেও পিছিয়ে থাকবে। আমরা সমালোচনার সম্মুখীন হবো। জনগণ আমাদের উপর আস্থা রাখতে চিন্তা করবে। সেসব ক্ষেত্র বিবেচনা করেই ভার্চুয়াল আদালত সম্পর্কিত প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছে সরকার।
আইনমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে পর্যায়ক্রমে সারা দেশের আইনজীবীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছে সরকার।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে সারা বিশ্বে অনেক আদালত বন্ধ হয়েছে। শেখ হাসিনার সরকার সেখানে একটি বিকল্প ব্যবস্থা করে আদালত চালাতে পেরেছে। এই আদালত পূর্ণাঙ্গভাবে চালাতে গেলে আইনজীবীদের আবশ্যিকভাবে প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। প্রশিক্ষণ ছাড়া, ভৌত অবকাঠামো গড়া ছাড়া ভার্চুয়াল কোর্ট পদ্ধতি সম্পূর্ণভাবে চালু করা সম্ভব নয়। বিচার বিভাগের ডিজিটাইজেশনের জন্য সরকার প্রায় ২ হাজার ৮০০ কোটি টাকার ই-জুডিসিয়ারি প্রকল্প হাতে নিয়েছে বলে তিনি জানান।
মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে ভার্চুয়াল আদালতে জামিন শুনানী চলছে। এ পদ্ধতির মাধ্যমে প্রায় ৫০ হাজার আসামীকে জামিন দেয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি প্রধান বিচারপতি গত সপ্তাহে সাভাবিক আদালতে সারেন্ডারের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন এবং অন্যান্য আরও কিছু জিনিস তিনি সাভাবিক আদালতে চালু করার কথা বলেছেন। সেগুলো চালু হবে।
আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে যুগ্ম সচিব উম্মে কুলসুম, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা জজ মো. শফিউল আজম, নরসিংদীর জেলা জজ মোস্তাক আহমেদ, জিআইজেড বাংলাদেশ এর ‘রুল অভ ল’ প্রোগ্রামের প্রধান প্রমিতা সেনগুপ্ত, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও নরসিংদী জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি যথাক্রমে এডভোকেট মো. শফিউল আলম ও এডভোকেট মিজানুর রহমান বক্তৃতা করেন।
সূত্র: বাসস
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।