বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
গত দুই/ তিন দিন ধরে অব্যাহত ভারী বর্ষণ ও ভারতের মেঘালয় রাজ্য থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে নেত্রকোনার দুর্গাপুর, কলমাকান্দা ও বারহাট্টা উপজেলায় পূনরায় বন্যা দেখা দিয়েছে।
গত শুক্রবার থেকে নেত্রকোনায় ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকায় এবং ভারতের মেঘালয় রাজ্য থেকে পাহাড়ী ঢলের পানি নেমে আসায় নেত্রকোনার প্রধান প্রধান নদ-নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
নেত্রকোনা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, রবিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে উব্দাখালী নদীর পানি কলমাকান্দা পয়েন্টে ৩৭ সেন্টিমিটার, সোমেশ্বরী নদীর পানি দুর্গাপুর পয়েন্টে ৩৩ সেন্টিমিটার, বিজয়পুর পয়েন্টে ১ সেন্টিমিটার কংশ নদীর পানি জারিয়া পয়েন্টে ২০ সেন্টিমিটার ও কংশ নদীর পানি নেত্রকোনা পয়েন্ট ৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পাহাড়ী ঢলের তোড়ে রবিবার ভোরে দুর্গাপুর উপজেলার গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়নের বন্দ উষান গ্রামের নেতাই নদীর বেরিবাধটি ভেঙ্গে গেছে। এছাড়াও দুর্গাপুর, কলমাকান্দা ও বারহাট্টা উপজেলার প্রায় ২০টি ইউনিয়নের বিস্তৃর্ণ নিন্মাঞ্চল বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে বেশীর ভাগ গ্রামীণ সড়ক। ফলে গ্রামাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা একবারে ভেঙে পড়েছে। বয়স্ক ও শিশুদের নিয়ে চরম উদ্বেগ উৎকন্ঠার মধ্যে রয়েছেন পানি বন্দি পরিবার গুলো। বন্যার পানিতে অসংখ্য পুকুর তলিয়ে যাওয়ায় লক্ষ লক্ষ টাকার মাছ ভেসে গেছে। বন্যার পানিতে আমন ধানের বীজতলা বিনষ্ট হয়ে গেছে। সাধারণ মানুষ নৌকা ও কলার ভেলা তৈরি করে প্রয়োজনীয় কাজ সেরে নেওয়ার চেষ্টা করছে।
গাওকান্দিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মোতালেব জানান, রবিবার ভোরে বন্দ উষান গ্রামের নেতাই নদীর বাঁধটি প্রবল পাহাড়ী ঢলের তোড়ে ভেঙে গেছে। আশা করি সরকার অতিদ্রুত এ বাঁধ নির্মাণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা খানম জানান, গাওকান্দিয়া ইউনিয়নের বন্দ উষান গ্রামের বেরি বাঁধটি ভেঙে যাওয়ার খবর পেয়েছি। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে জরুরী ভিওিতে যাতে বেরি বাঁধটি নির্মাণ করা হয় তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নেত্রকোনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আক্তারুজ্জামান জানান, ভেঙ্গে যাওয়া বেরি বাঁধটি নির্মাণে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।