Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

উজান থেকে ধেয়ে আসছে পানি, ব্যারেজ এলাকায় মাইকিং করছে পানি উন্নয়নর র্বোড, সর্তকতা জারি

লালমনিরহাট জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১২ জুলাই, ২০২০, ৮:১১ পিএম

উজান থেকে পানি ধেয়ে আসার কারনে রবিবার দুপুরে তিস্তা ব্যারেজ ও আশেপাশের চরাঞ্চলের মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান। সেই সাথে চরঞ্চলের বিশেষ সর্তকতা জারি করা হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, রবিবার বিকেলে লালমনিরহাটে তিস্তার ব্যারেজ পয়েন্টে বিপদসীমার ৩০ সেন্টিমিটার , ধরলা কুলাঘাট পয়েন্ট বিপদসীমার ৫২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত। ক্রমেই পানি বাড়ছে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড।
এদিকে পানি উন্নয় বোর্ডের লালমনিহাটের উপ বিভাগীয় প্রোকৌশলী মহিবুল হক জানান,ক্রমেই ধেয়ে আসছে পানি। ফলে তিস্তা ধরলা ফুলে ফেপে উঠে লোকালয়ে প্রবেশ করে নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে। পানি বন্দি হয়ে পড়েছে জেলার অন্তত ৬০ হাজার মানুষ। ৪র্থ দফা বন্যার কারনে এসব এলাকায় দেখা দিয়ে চরম খাদ্য সংকট, বিশুদ্ধ পানির অভাবে ছড়িয়ে পড়ছে নানা রোগ ব্যাধী।
তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায়,সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, রাজপুর, গোকুন্ডা, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, কাকিনা, হাতীবান্ধা উপজেলার সিন্ধুর্ণা, গড্ডিমারী, ডাউয়াবাড়ি এবং পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়নের প্রায় ৬০ হাজারের অধিক মানুষ আবারও পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে এসব এলাকার চরাঞ্চল ও নদীতীরবর্তী নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার উপক্রম হয়েছে বহু কাঁচা-পাকা সড়কে পানি উঠে পড়ায়।
এছাড়া তিস্তা-ধরলার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সৃষ্ট বন্যায় চরাঞ্চলের সবজি, বাদামসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন চাষিরা। অনেক মৎস খামারের মাছ পানিতে ভেসে গেছে। ফসলের ক্ষেত বন্যার পানিতে ডুবে গিয়ে ফসলহানীর শঙ্কায় চিন্তিত কৃষকরা। তিস্তার তীরবর্তী নি¤œাঞ্চলের পানিবন্দি পরিবারগুলো শিশু-বৃদ্ধ ও গবাদি পশুপাখি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক, মোঃ আবু জাফর জানান, ,ত্রাণ পর্যাপ্ত থাকায় প্রতিদিনেই ত্রাণ দেয়া অব্যাহত আছে। আমরা এই বিষয়ে তৎপর আছি । এ জেলার বানভাসি মানুষের পাশে। আমরা তাদের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ