বিএনপি নেতা সাজুর তত্ত্বাবধানে বিজয় দিবস র্যালিতে বিপুল নেতাকর্মীর অংশগ্রহন
ঢাকা-১৪ আসনের বিএনপি মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ও দারুসসালাম থানা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এস
রিজেন্ট হাসপাতালের অনুমোদনের বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে অবিলম্বে স্বাস্থ্য মন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও স্বাস্থ্য অধিদফতরেরে মধ্যে এখন যুদ্ধ শুরু হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদফতর বলছে যে, আমি তো রিজেন্ট হসপিটালকে অনুমোদন দিতাম না আমাকে যদি মন্ত্রণালয় থেকে না বলা হতো। অর্থ্যাাৎ মিনিস্ট্রি থেকে বলা হয়েছে যে, রিজেন্ট হসপিটালকে অনুমতি দাও তারা পরীক্ষা করবে। তাহলে কে রেসপনসেবল? দি হেলথ মিনিস্টার হিম সেলফ সুড রিজাইন ইমিডিয়েটলি এন্ড হি সুড বি ব্রট ইন দি ট্রায়াল হোয়াই টু দি গিভ ইট।
রোববার (১২ জুলাই) জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে কোভিড-১৯ রোগীদের স্বাস্থ্যসেবায় হটলাইন কল সেন্টার উদ্বোধন উপলক্ষে এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে দুঃখ হয়, লজ্জা হয় যখন দেখি প্রচ- দুঃসময়ের মধ্যে করোনা টেস্ট করতে গিয়ে দুর্নীতি এবং তার সঙ্গে জড়িত কে? আওয়ামী লীগের সদস্য। আজকে গোটা স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ভেঙে ফেলেছে, ভঙ্গুর হয়ে গেছে। যে হারে লুটপাট করেছে আপনারা সবাই দেখেছেন, গণমাধ্যম দেখে। গণমাধ্যমের যারা কর্মী ও সাংবাদিক আছেন তাদেরকে ধন্যবাদ জানাতে চাই যে, এই চরম বৈরিতার মধ্যেও যখন কোনো সংবাদ প্রকাশ করা বিপদজনক তখন তারা অনেকটা প্রকাশ করছেন যেগুলো জনগণ জানতে পারছে এই সরকারের আমলে, আওয়ামী লীগ আমলে কিভাবে দুর্নীতি ব্যাপক থেকে ব্যাপকতর হচ্ছে। করোনা মোকাবিলায় বিএনপির দেয়া দীর্ঘ-মধ্য-স্বল্প মেয়াদী প্রণোদনা প্রস্তাবনায় সরকার সাড়া না দেয়ার কঠোর সমালোচনা করেন বিএনপি মহাসচিব।
করোনাভাইরাস সংক্রামণ মোকাবিলায় জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের নেয়া কর্মসূচিসমূহের প্রশংসা করে তিনি বলেন, একটা কথা বলে রাখতে চাই, গোটা পৃথিবীর সভ্যতা আগের অবস্থায় আর থাকবে না, পরিবর্তন হবে, হচ্ছে। আজকে রাষ্ট্র বিজ্ঞানীরা, অর্থনীতিবিদরা সবাই বলছেন যে, এই করোনাভাইরাসের ফলে ওয়ার্ল্ড উইল রিমেন দি সেইম। এটা বদলাবে। কী বদলাবে, কীভাবে বদলাবে সেটা আমরা সবাই জানি না। বাট চেইজেস কামিং, পরিবর্তনগুলো হচ্ছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদেরকে আজকে ঐক্যবদ্ধ থাকা প্রয়োজন, জনগণকে আরো বেশি ঐক্যবদ্ধ করা প্রয়োজন এবং এই সরকার যারা জোর করে দখলদারী সেজে আমাদের ওপরে অত্যাচার নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। চরম দুর্দিনেও তারা মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে না। তারা লুট করছে। আমরা বৃটিশ আমলে দেখেছি যে, বৃটিশরা সম্পদ লুট করে নিয়ে গেছে, পাকিস্তান আমলে দেখেছি যে, পাকিস্তানিরা সব লুট করে নিয়ে গেলো, এখন দেখছি যে, আওয়ামী লীগ তারা মানুষের পকেট কেটে সব লুট করে নিয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থা থেকে আমরা পরিত্রাণ চাই, আমরা মানুষের জীবন বাঁচাতে চাই এবং জনগণের জীবিকাকে আরো বিকশিত করতে চাই। পরে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের স্বাস্থ্যসেবার কল সেন্টার ০৯৬৭৮১০২১০২ নাম্বারে ফোন করে এই কর্মসূচির উদ্বোধন ঘোষণা করেন মির্জা ফখরুল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।