বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কিছুদিন পরেই পবিত্র ঈদুল আজহা। আর এ ঈদকে সামনে রেখে অনেক যত্নে পশু লালন-পালনে ব্যস্ত সময় পার করেছেন ভূঞাপুরের খামারিরা। গত বছর পশুর ভালো দাম পেলেও করোনার কারণে এবার সঠিক মূল্য না পাওয়া নিয়ে চিন্তায় প্রহর কাটছে খামারিরা।
গত বছর এ সময়টাতে উপজেলার হাট বাজারগুলোতে ক্রেতাদের আনাগোনা থাকলেও এবার তাদের দেখা না পাওয়ায় লোকসানের শঙ্কায় আছেন তারা। ন্যায্য দাম না পেলে পথে বসতে হবে তাদের।
উপজেলার সর্ববৃহৎ গরুর খামারি ভূঞাপুরের গোবিন্দাসীর দুলাল হোসেন চকদারের খামারে থাকা শতাধিক বড় আকারের গরু নিয়েও পড়েছেন বিপাকে। এখন পর্যন্ত ক্রেতার দেখা না পাওয়ায় আশঙ্কা করছেন ৫০ থেকে ৬০ লাখ টাকা লোকসানের।
ভূঞাপুরের যমুনা বেষ্টিত চরাঞ্চলের গরীব কৃষকরা ঈদকে সামনে রেখে প্রতি বছর দু’একটি করে গরু প্রায় প্রতিটি পরিবারেই লালন পালন করে থাকে। এ বছরেও গাবসারা, গোবিন্দাসী ও অর্জুনা ইউনিয়নের হাজার খানেক গরু মোটাতাজা করে কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য পালন করছে।
গাবসারা ইউনিয়নের পুংলিপাড়া গ্রামের কৃষক আব্দুল লতিফ জানান, প্রতি বছরের ন্যায় আমিসহ চরাঞ্চলের অনেক কৃষক লাভের আশায় গরু লালন-পালন করে থাকে। ঈদের আগে বিক্রি করে বউ বাচ্চাদের নিয়ে খেয়ে পড়ে বাঁচি। কিন্তু এবার আমি দুইটি গরু নিয়ে গুয়াদাইর হাটে গিয়েছিলাম। কোনো ক্রেতা না পেয়ে আবার ফেরৎ নিয়ে আইছি। লাভ তো দূরের কথা যে খরচ হইছে সে দামও কেউ কয় না।
ভূঞাপুর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা শরীফ বাছেদ জানায়, চরাঞ্চলসহ ভ‚ঞাপুরের প্রতিটি গ্রামেই কৃষকরা গরু লালন-পালন করে থাকে। এ রকম ছোট-বড় খামারি ও এর বাইরে অসংখ্য মানুষের ভবিষ্যতে হানা দিয়েছে করোনার থাবা। তারা জানিয়েছেন পাইকার না আসলে তাদের পথে বসতে হবে। তিনি আরও বলেন, ভারত থেকে গরু না আসলে দেশের খামারিরা কিছুটা হলেও ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।