পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশে মেডিকেল বর্জ্যরে সঙ্গে যুক্ত হওয়া কোভিড বর্জ্য করোনা ছড়ানোর উৎস হতে পারে। কোভিড বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ে গাইডলাইন না থাকায় করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে। এমন অবস্থায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নীতিমালার দাবি জানিয়েছে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা)। গতকাল এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটি এ দাবি জানায়।
অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে আলোচক ছিলেন প্রফেসর ডা. রশীদ-ই-মাহবুব, প্রফেসর ডা. শুভাগত চৌধুরী, প্রকৌশলী আ. সোবহান (সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক, পরিবেশ অধিদফতর), ডা. পংকজ কান্তি সূত্রধর প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন পবার চেয়ারম্যান আবু নাসের খান।
অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে কী পরিমাণ কোভিড বর্জ্য হয়েছে তার হিসাব নেই। তবে অনুমান করা যায় এটি বিশাল হবে। সঠিক ব্যবস্থাপনার আওতায় আনা না হলে এগুলো কোভিড ছড়ানোর উৎস হয়ে উঠতে পারে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সংক্রামক রোগব্যাধি ছড়ানোর একটি অন্যতম উৎস হচ্ছে মেডিকেল বর্জ্য। এর ভাঙা কাচ, ধাতব পদার্থ, সুঁই ইত্যাদি মানুষ ও প্রাণির জন্য ক্ষতিকর। ওষুধ ও বিভিন্ন রাসায়নিক মিশ্রিত তরল-মাটি, পানি ও বায়ুর দূষণ ঘটায়। প্লাস্টিক ও প্লাস্টিকজাত দ্রব্য ও পলিথিন মাটির জন্য ভয়াবহ রকমের ক্ষতিকর। এ বর্জ্যের দ্রবণীয় ক্ষতিকর পদার্থ নানাভাবে মানুষের, স্থলচর ও জলচর প্রাণীর খাদ্যচক্রে প্রবেশ করে। পুরো ব্যাপারটিই মানুষের অসুস্থতা এবং পরিবেশের দূষণের সঙ্গে গভীরভাবে সম্পর্কযুক্ত।
সাধারণ মেডিকেল বর্জ্যের সঙ্গে করোনাকালে যুক্ত হয়েছে কোভিড বর্জ্য। কোভিড বর্জ্য দুই ধরনের। প্রথমত কোভিড অথবা সন্দেহভাজন কোভিড রোগীর ব্যবহৃত মাস্ক, গ্লাভস, ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী, হাচি-কাশি, কফ ইত্যাদি পরিষ্কার করার কাজে ব্যবহৃত কাপড়, টিস্যু পেপার, তোয়ালে/গামছা ইত্যাদি। দ্বিতীয়ত কোভিড রোগীর চিকিৎসায় সরাসরি কিছু বর্জ্য তৈরি হয় যেমন- নেজাল ক্যানুলা, অক্সিজেন ক্যানুলা, ব্রিদিং ইনস্ট্রুমেন্ট, অক্সিজেন মাস্ক ইত্যাদি।
সংগঠনটি উদ্বেগ প্রকাশ করে জানায়, রাস্তার দুপাশে প্রতিদিন ফেলে রাখা শতশত মাস্ক গ্লাভস দেখা যায়। রাস্তার মোড়ে মোড়ে আবর্জনার গাদায় ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী ফেলা হয়। বাড়িতে আইসোলেশনে থাকা কোভিড বর্জ্য কীভাবে কোথায় ফেলতে হয় সেটা অধিকাংশ মানুষ জানে না। তারা বেশিরভাগই রাস্তার পাশে এসব ফেলে আসে। যেসব মহল্লায় স্থানীয় উদ্যোগে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বর্জ্য সংগ্রহ করা হয় সেখানে অন্য সব বর্জ্যের মতো কোভিড বর্জ্যকে ছেঁড়াফাটা ব্যাগে সংগ্রাহকের হাতে কোনমতে তুলে দেয়া হয়। যে সব ল্যাবরেটরিতে নমুনা সংগ্রহ ও করোনা পরীক্ষা করা হয় তাদের অনেকেই সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ধার ধারছে না। বিশেষ করে যেসব স্থানে করোনাপূর্ব কাল থেকেই মেডিক্যাল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ছিল না সেসব জায়গার অবস্থা ভয়াবহ। সব মিলিয়ে বলা যায়, অনেক স্থানে কোভিড বর্জ্য করোনা সংক্রমণের উৎস হয়ে উঠেছে। পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে গবেষণায় প্রমাণিত।
এই পরিস্থিতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও জাতিসংঘের পরিবেশ কার্যক্রমের নির্দেশনা অনুযায়ী জরুরি ভিত্তিতে ‘জাতীয় মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা’ গাইডলাইন তৈরি করার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। এছাড়া মেডিকেল বর্জ্য খোলা জায়গা কিংবা খাল-বিল-নদী-নালায় না ফেলার আহ্বান জানায়। প্রয়োজনে নিয়ম লঙ্ঘন করে দোষীদের জরিমানা কিংবা শাস্তির আওতায় আনার সুপারিশ করে সংগঠনটি। এ ছাড়া উপজেলা পর্যায়ে মেডিকেল বর্জ্যরে জন্য ডাম্পিং স্টেশন কিংবা বিজ্ঞানসম্মত চুল্লি স্থাপনের অনুরোধ জানায় সংগঠনটি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।