পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনা দুর্যোগে দক্ষিণ-পশ্চিমের অধিকাংশ এনজিও কার্যত হাতগুটিয়ে রয়েছে। দারিদ্য বিমোচন ও আত্মনির্ভশীলতার স্বপ্ন দেখিয়ে রীতিমতো গরীবকে আরো গরীব বানিয়ে নিজেদের আখের গোছানো এনজিও প্রধানরা রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হলেও তারা মানুষের বিপদে ভ‚মিকা রাখছেন না-এই অভিযোগ সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষের।
এ অঞ্চলের বিশিষ্ট রাজনৈতিক নেতা ইকবাল কবীর জাহিদ গতকাল শনিবার দৈনিক ইনকিলাবকে প্রসঙ্গক্রমে বলেন, করোনাকালে এনজিওদের কোন ভ‚মিকা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। তারা জনগণের কল্যাণের কথা বলে। অথচ বাস্তবে করে উল্টো। গ্রামগঞ্জে কথা আছে ফকিরের পকেট কেটে বড়লোক হওয়া এনজিও মানুষের বিপদে এগিয়ে আসছে না বরং কিস্তি আদায়ে তোড়জোড় করছে। মানবাধিকারের ফেরিওয়ালারাও চুপচাপ বসে আছে।
তার কথা, যেহেতু নন গভারমেন্ট অর্গানাইজেশন (এনজিও) সেহেতু সরকারের পাশাপাশি তাদের ভ‚মিকা রাখা দরকার ছিল। একই সাথে সুশীল সমাজের ভ‚মিকাও প্রশ্নবিদ্ধ।
যশোর, খুলনা, ঝিনাইদহ, সাতক্ষীরা ও কুষ্টিয়ার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রশ্ন- এনজিওগুলো দেশের মহাসঙ্কটে চুপচাপ বসে আছে এটি দুঃখজনক। এদের ব্যাপারে এ মুহূর্তে সরকারি নির্দেশনা জরুরি। যশোর শহরের ঘোপ এলাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী কবিরুল ইসলাম, পালবাড়ির কাঁচা তরকারি ব্যবসায়ী টুটুল, ঝিনাইদহের আরাপপুরের আব্দুর রহিম. খুলনার নিউ মার্কেট এলাকার তবারক হোসেনসহ বেশ কয়েকজন এনজিও’র ঋণ গ্রহীতা বলেন, ওরা শুধু নেয়, দেয় না। তাদের কথা, এই মহাবিপদে অধিকাংশ এনজিও’র কোন সেবামূলক ভ‚মিকা নেই।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১০ জেলায় এনজিও’র সংখ্যা ৮ হাজার ৩ শ’ ৩৬টি। যার সিংহভাগই সুদের কারবার করে। ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বেশ কয়েকজন বললেন, গ্রামীণ দরিদ্র্য জনগোষ্ঠীর ভাগ্য বদলের দোহাই দিয়ে এনজিও’র ক্রেডিট প্রোগ্রামের নামে প্রায় সব গ্রামেই চলে ফ্রিস্টাইলে সুদের কারবার। এতে গরীব ও অসহায় মানুষ স্বনির্ভরতার বদলে হয় সর্বস্বান্ত। অথচ অধিকাংশ ক্রেডিট প্রোগ্রামের এনজিও মালিকরা রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে। আর গরীবরা আরো গরীব হচ্ছে। দেশের এ মহাসঙ্কটে হাতগুটিয়ে রয়েছে এনজিও তৎপরতা।
সমাজসেবা অধিদফতর এনজিওগুলোর রেজিস্ট্রেশন দিয়েই দায়িত্ব শেষ করে। বাংলাদেশ ব্যাংকের মাইক্রোক্রেডিট অথরিটি থেকে লাইসেন্স নিয়ে ক্রেডিট প্রোগ্রাম করে থাকে এনজিওগুলো। তারা পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) থেকে নামমাত্র সুদে ক্রেডিট প্রোগ্রামের অর্থ সংগ্রহ করে এলাকাভিত্তিক ঋণ দেয়। কিন্তু আদায় করে ২৫-৩০% সুদ।
অর্থনীতিবিদ যশোর মাইকেল মধুসূদন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের নাসিম রেজা বললেন, গ্রামীণ দরিদ্র্য জনগোষ্ঠীর ভাগ্য বদলের দোহাই দিয়ে যেসব এনজিও বছরের পর বছর সুদের কারবার চালায়, তারা অন্তত দেশের মহাসঙ্কটে এগিয়ে আসা জরুরি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।