বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কুমিল্লা নগরীর ২৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলমগীর হোসেন ও তার ভাইদের হামলায় আক্তার হোসেন নামের এক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ১০জনকে আসামি করে শনিবার সকালে সদর দক্ষিণ থানায় মামলা করেন নিহতের স্ত্রী রেখা বেগম। কাউন্সিলরের তিন ভাই আমির হোসেন, বিল্লাল হোসেন ও জাহাঙ্গীর হোসেন গ্রেপ্তার। প্রধান আসামি কাউন্সিলর আলমগীর হোসেন পলাতক।
শুক্রবার বেলা ১টা ৫০ মিনিটে চাঙ্গিনী মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে কাউন্সিলর আলমগীর হোসেনের তিন ভাইকে আটক করেছে। নিহত আক্তার হোসেন কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা প্রয়াত আলী হোসেনের ছেলে। তিনি পেশায় হোটেল ও মাটির ব্যবসায়ি ।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, নগরের চাঙ্গিনী এলাকার আক্তার হোসেন ও কাউন্সিলর আলমগীর হোসেন সম্পর্কে চাচাতো ভাই। আক্তারদের জায়গা জামি নিয়ে কাউন্সিলরের সঙ্গে তাঁর দ্বন্দ্ব রয়েছে। শুক্রবার সকাল এ নিয়ে আক্তার ও কাউন্সিলরের এক ভাইয়ের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয়। এরপর কাউন্সিলর আলমগীর, তাঁর পাঁচ ভাই, ভাতিজা ও পরিবারের সদস্যরা মসজিদের কাছে নামাজের আগে লোহার রড, পাইপ ও চাপাতি মজুত করেন। দুপুর ১টা ৫০ মিনিটের দিকে চাঙ্গিনী মসজিদে জুমার নামাজ পড়া শেষে আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে তাঁর ভাই ও ভাতিজারা মসজিদ থেকে আক্তারকে টেনেহিঁচড়ে বের করে আনেন। এরপর প্রকাশ্যে দিবালোকে কয়েক শ মানুষের সামনে আক্তারকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করেন। আক্তারকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে হামলায় আহত হয়েছেন নামাজ আদাই করতে আসা মুসল্লিদের কয়েক জন। পরে দ্রুত তাঁদের নগরের বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়। কুমিল্লা নগরের মুন হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান আক্তার হোসেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউন্সিলর আলমগীর হোসেনের তিন ভাই জাহাঙ্গীর হোসেন, তফাজ্জল হোসেন ও আমির হোসেনকে আটক করেছে। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে লোহার পাইপ জব্দ করা হয়। কাউন্সিলরের পরিবারের অন্য সদস্যরা পালিয়ে যান।
আক্তারের ছেলে মো. সোহাগ হোসেন বলেন, সবার সামনে কাউন্সিলর, তাঁর ভাই, ভাতিজা ও পরিবারের সদস্যরা আমার বাবাকে মসজিদ থেকে টেনেহিঁচড়ে বের করে হত্যা করেছে। আমি এর বিচার চাই। আমিও বাবাকে বাঁচাতে গিয়ে আহত হয়েছি।’
সদর দক্ষিণ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম ইনকিলাবকে বলেন, ‘ ১০ জনকে আসামি করে নিহতের স্ত্রীর দায়ের করা মামলার আসামিদের মধ্যে ৩ জনকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বাকি ৭ জনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।