Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ভূঞাপুরে গরুর খামারে করোনার থাবা

লোকসানের আশংকায় খামারীরা

ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১১ জুলাই, ২০২০, ৩:২২ পিএম

কিছুদিন পরেই পবিত্র ঈদুল আজহা। আর এ ঈদকে সামনে রেখে পরম যতেœ পশু লালন-পালনে ব্যস্ত সময় পাড় করেছেন ভূঞাপুরের খামারিরা। গত বছর পশুর ভাল দাম পেলেও করোনার কারণে এবার কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে সঠিক মূল্য না পাওয়া নিয়ে চিন্তায় প্রহর কাটছে খামারীদের। আশঙ্কা রয়েছে লোকসানের।

গত বছর এই সময়টাতে উপজেলার হাট বাজারগুলোতে ক্রেতাদের আনাগোনা থাকলেও এবার তাদের দেখা না পাওয়ায় বিরাট লোকসানের শঙ্কায় আছের তারা। ন্যায্য দাম না পেলে পথে বসতে হবে তাদের।
উপজেলার সর্ববৃহৎ গরুর খামারি ভূঞাপুরের গোবিন্দাসীর দুলাল হোসেন চকদারের খামারে থাকা শতাধিক বড় আকারের গরু নিয়েও পড়েছেন বিপাকে। এখন পর্যন্ত ক্রেতার দেখা না পাওয়ায় আশঙ্কা করছেন ৫০ থেকে ৬০ লাখ টাকা লোকসানের।
ভূঞাপুরের যমুনা বেষ্টিত চরাঞ্চলের গরীব কৃষকরা ঈদকে সামনে রেখে প্রতি বছর দুএকটি করে গরু প্রায় প্রতিটি পরিবারেই লালন পালন করে থাকে। এবছরেও গাবসারা, গোবিন্দাসী ও অর্জুনা ইউনিয়নের হাজার খানেক গরু মোটাতাজা করে কোরবানীর ঈদে বিক্রির জন্য পালন করছে। গাবসারা ইউনিয়নের পুংলিপাড়া গ্রামের কৃষক আব্দুল লতিফ জানান, প্রতি বছরের ন্যায় আমিসহ চরাঞ্চলের অনেক কৃষক লাভের আশায় গরু লালন-পালন করে থাকে। ঈদের আগে বিক্রি করে বউ বাচ্চাদের নিয়ে খেয়ে পড়ে বাঁচি। কিন্তু এবার আমি দুইটি গরু নিয়ে গুয়াদাইর হাটে (গোবিন্দাসী) গিয়েছিলাম কোন ক্রেতা না পেয়ে আবার ফেরৎ নিয়ে আইছি। লাভ তো দুরের কথা যে খরচ হইছে সে দামও কেউ কয় নাই।

খামারের শ্রমিকরা জানিয়েছেন, ঈদকে কেন্দ্র করে গরু মোটাতাজা করতে তারা নির্ঘুম রাত পাড় করছেন। এখন পর্যন্ত কোনও পাইকারের দেখা মিলছে না। খামার মালিক যদি গরুর ন্যায্য দাম না পায় তাহলে তাদের শ্রম ও মজুরি পাওয়া নিয়ে সমস্যা হবে। খামারে কাজ করে তাদের সন্তানদের লেখাপড়া ও সংসার চলে বলে জানান তারা।

ভূঞাপুর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা শরীফ বাছেদ জানায়, চরাঞ্চলসহ ভূঞাপুরের প্রতিটি গ্রামেই কৃষকরা গরু লালন-পালন করে থাকে। এরকম ছোট-বড় খামারি ও এর বাহিরে অসংখ্য মানুষের ভবিষ্যতে হানা দিয়েছে করোনার থাবা। তারা জানিয়েছেন পাইকার না আসলে তাদের পথে বসতে হবে। তিনি বলেন ভারত থেকে গরু না আসলে দেশের খামারীরা কিছুটা হলেও ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ