Inqilab Logo

সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

৫০ বছরের পুরনো রাস্তা বন্ধ করায় ভোগান্তিতে গ্রামবাসী

দেবিদ্বার (কুমিল্লা) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১১ জুলাই, ২০২০, ২:৫১ পিএম

এক প্রভাবশালী গ্রামবাসীর পায়ে হাটার ৫০ বছরের পুরনো রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছেন। ফলে ৭ পরিবারও বাড়ি থেকে বের হতে পারছে না। এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে স্থানীয় প্রভাবশালী জানু মিয়ার বিরুদ্ধে। ভূক্তভোগিরা বিষয়টির প্রতিকার চেয়ে ইউনিয়ন পরিষদে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার নবীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত জানু মিয়া নবীপুর পূর্ব ইউনিয়নের গুঞ্জুর গ্রামের মৃত ছায়েদ আলীর ছেলে।
অভিযোগকারী আবুল কাশেম বলেন, প্রভাবশালী জানু মিয়া দীর্ঘদিন যাবত এলাকার লোকজনকে জিম্মি করে খাল দখল, ভূমির মাটি কেটে ইটভাটিায় বিক্রিসহ নানান অপকর্ম করছেন। ভয়ে কেউ প্রকাশ্যে তার কাজে বাঁধা দেয় না। এখন সে ৫০ বছরের পুরনো রাস্তা বন্ধ করে ওয়াল দিয়েছেন। যার ফলে আমিসহ আরো ৭ পরিবার ঘর থেকে বের হতে পারছি না। এখন নিরূপায় হয়ে জীবনের পরোয়া না করে তার বিরুদ্ধে মুখ খুলেছি। কারণ, এ ভাবে জীবন যাপন করা অসম্ভব।
ভূক্তভোগি জয়নাল মিয়া, ওয়াজেদুল হক বাবু, দুলাল মিয়া ও মনির মিয়া, মিনুয়ারা বেগম ও হালিমা বেগমসহ আরো অনেকে বলেন, যাতায়াতের সুবিধা থাকায় জমি ভরাট করে বাড়ি করেছি। এখন এই রাস্তা প্রভাব খাটিয়ে দখল করায় আমরা ৭ পরিবার বাড়ি থেকে বের হতে পারছি না। এই গ্রামের অনন্ত: ২ শত লোকের পায়ে হাটার একমাত্র রাস্তা এটি। এ রাস্তা বন্ধ হওয়ায় গ্রামবাসীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। আমাদের দেখাদেখি আরো ৪/৫ জন লোক বাড়ি করার জন্য জমি কিনেছে। রাস্তাটি পুনরুদ্ধার হলে সবার ভোগান্তি দুর হবে।
নবীপুর গ্রামের ইউপি সদস্য মনিকা বেগম বলেন, ৫০ বছরের পুরনো রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যার ফলে এলাকাবাসী ভোগান্তিতে পরেছে। জানু মিয়ার পুকুরের পুর্বপাশে সরকারি খাল ছিল। ওই খালটি মাটি ভরাট করে ওয়াল দেওয়ার সময় বলেছিল মানুষ চলাফেরা করার জন্য রাস্তাটি থাকবে। এখন রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ায় ওই ৭ পরিবার গৃহবন্দী হয়ে পড়েছে।
অভিযুক্ত জানু মিয়ার সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি বলেন,এটা গ্রামের মানুষের পায়ে হাটার রাস্তা ছিল। কিন্তু এটা ছিল আমার নিজস্ব জায়গার উপর দিয়ে। আমার এখন জায়গার দরকার হয়েছে, তাই রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছি।
নবীপুর পশ্চিম ইউপি চেয়ারম্যান হাজী কামাল উদ্দিন বলেন, ভুক্তভোগিরা আমার কাছে অভিযোগ দিয়েছেন। আমি উভয় পক্ষকে নোটিশ দিয়েছি।
মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিষেক দাশ বলেন, ‘আমার কাছে কেউ এ ধরনের অভিযোগ নিয়ে আসেনি। অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ