Inqilab Logo

রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, ৩০ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

বিজিবির কড়া প্রতিবাদ

আনন্দবাজারের সংবাদ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১২ জুলাই, ২০২০, ১২:০৩ এএম

গত ৭ জুলাই ভারতীয় আনন্দবাজার পত্রিকায় ‘অরক্ষিত জমিতে পা পড়ছে বাংলাদেশির’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত সংবাদটি ভিত্তিহীন, বানোয়াট এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। পত্রিকায় ঘটনাস্থল রানীনগর সীমান্তের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু প্রকৃৃতপক্ষে সেখানে কোনো ঘটনা ঘটেনি। উল্লেখিত এলাকাটি রাজশাহী বিজিবির দায়িত্বপূর্ণ এলাকা চারঘাট বিওপি থেকে শুরু করে তালাইমারি বিওপি পর্যন্ত বিস্তৃত এবং পদ্মা নদী বরাবর শূন্য লাইন অতিক্রম করেছে। এর উভয়পার্শ্বে বিস্তীর্ণ চরাঞ্চল।

গতকাল বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, ওই সংবাদে বলা হয় সীমান্তের রানীনগর ১ ও ২ ব্লক এবং জলঙ্গি জুড়ে প্রায় ২২ হাজার একর অরক্ষিত জমিতে বাংলাদেশিরা অবাধে চাষাবাদ করছে। এই প্রসঙ্গে দেখা যায় বাস্তব চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। ভারতের অভ্যন্তরে গিয়ে চাষাবাদ করা তো দূরের কথা, বর্তমানে আন্তর্জাতিক সীমারেখা বরাবর চাষাবাদ করাই অসম্ভব একটি ব্যাপার। সেখানে প্রতিনিয়ত শূন্য লাইন বরাবর বিজিবি সদস্যরা রাত দিন টহল করে সীমান্ত রক্ষা করছে।

প্রকাশিত সংবাদে আরও বলা হয়, দিন কয়েক আগে দুজন বাংলাদেশি সীমান্ত পেরিয়ে ভারতীয় এলাকায় চলে আসলে বিএসএফ তাদের আটক করে এবং ফলশ্রুতিতে তার মুক্তিপণ স্বরূপ রানীনগর সীমান্তের গ্রাম থেকে দুইজন গ্রামবাসীকে তুলে নিয়েছে বাংলাদেশি দুস্কৃতিকারীরা। কিন্তু বাস্তবে আসল ঘটনা সম্পূর্ণ উল্টো এবং প্রকাশিত সংবাদটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। মূলত গত ২ জুলাই জলঙ্গি সীমান্তে দুটি ঘটনা ঘটে যা পত্রিকার মূল বক্তব্যের সম্পূর্ণ বিপরীত। গত ২ জুলাই আনুমানিক সাড়ে ১১টায় নয়ন শেখ এবং শহিদুল শেখ নামে দুইজন জলঙ্গি নিবাসী ভারতীয় চোরাকারবারি অবৈধভাবে জলঙ্গি সীমান্ত দিয়ে আন্তর্জাতিক সীমারেখা অতিক্রম করে এবং বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ইউসুফপুর গ্রামে মাদক ব্যবসা এবং অর্থ লেনদেনকে কেন্দ্র করে স্থানীয় লোকজনের ওপর চড়াও হয়।

স্থানীয়রা ব্যাপারটিকে সহজভাবে না নিয়ে তাদেরকে ঘেরাও করে ফেলে। পরবর্তীতে ইউসুফপুর বিজিবি ক্যাম্প খবর পেয়ে ভারতীয় দু’জনের নিরাপত্তার কথা ভেবে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে নেয়। অপরপক্ষে একই দিন ১২টায় বিএসএফ টহল দল অবৈধভাবে আন্তর্জাতিক সীমারেখা অতিক্রম করে ৩০০ মিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে (পিলার ৭২/৪-এস বরাবর) প্রবেশ করে ইউসুফপুর এলাকা থেকে তিনজন নিরীহ ও নিরপরাধ কৃষককে ধরে নিয়ে যায়। যারা চর এলাকায় চাষাবাদ করে বাড়ি ফিরছিল।

বিজিবির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উভয় ঘটনার রেশ ধরে একই দিনে বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে ৩ জুলাই শান্তিপূর্ণভাবে উভয় দেশের নাগরিক হস্তান্তর-গ্রহণের মাধ্যমে ব্যাপারটি সুষ্ঠুভাবে মীমাংসা হয়েছে। মূলত স্থানীয় মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় বিএসএফের সাথে জনগণের বৈরী সম্পর্ক, স্থানীয় গরু চোরাকারবারী কর্তৃক এই মৌসুমে কোন কাজ করতে না পারা, মাছ ধরার সময় বিএসএফ কর্তৃক স্থানীয় জেলেদের থেকে চাঁদা আদায় এবং সর্বোপরি স্থানীয় বিএসএফ ব্যাটালিয়নের ব্যর্থতাকে ঢাকার জন্য ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদটি স্থানীয় ভারতীয় জনগণ অথবা স্বার্থান্বেষীমহল কর্তৃক প্রদান করা হতে পারে বলে অনুমেয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিজিবি

১৯ আগস্ট, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ